India vs West Indies: অক্ষরের ব্যাটে অবিশ্বাস্য সিরিজ জয় ভারতের

শেষ ওভারে প্রয়োজন ৮ রান। 'মহম্মদ সিরাজ' হয়ে উঠতে পারলেন না কাইল মেয়ার্স।

India vs West Indies: অক্ষরের ব্যাটে অবিশ্বাস্য সিরিজ জয় ভারতের
ম্যাচ জেতানো ইনিংস অক্ষরের।Image Credit source: TWITTER
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 25, 2022 | 5:04 AM

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩১১-৬ (৫০ ওভার)

ভারত ৩১২-৮ (৪৮.২ ওভার)

পোর্ট অব স্পেন : অক্ষর প্যাটেল (Axar Patel) ফিনিশেস অফ ইন স্টাইল। এমনটা কেউ বলেননি। লিখতে দ্বিধা নেই। ভারতে যারা রাত জেগে ম্যাচ দেখেছেন, স্বার্থক। ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ (INDvWI) সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচও টানটান উত্তেজনার। কতটা রুদ্ধশ্বাস, লিখে বোঝানো যাবে না। বার বার বলা যায়, এ কী হল! ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ৩০০-র উপর রান তাড়া করে জেতার পরিসংখ্যান অনেক রয়েছে। তবে কুইন্স পার্ক ওভালে ছিল না। সেই পরিসংখ্যান বদলে দিল ভারত। ২ বল বাকি থাকতে ২ উইকেটে জয়। ২-০ সিরিজও নিশ্চিত করল ভারত (Team India)। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মহাকাব্যিক একটা ইনিংস অক্ষরের ব্যাটে। ছয় মেরে ম্যাচ শেষ করলেন তিনি। ৩৫ বলে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস অক্ষরের।

লক্ষ্য ৩১২ রান। শুরুটা ভালো দেওয়ার চেষ্টা করলেন শিখর ধাওয়ান ও শুভমন গিল। প্রথম ম্যাচের মতো হল না। সাময়িক বৃষ্টি বিরতিও মনসংযোগে ব্যাঘাত ঘটাল। শিখর ধাওয়ান ফিরলেন অনবদ্য একটা ক্যাচে। তবে শুভমনের আউট! হাস্যকর এবং মজার। দিল স্কুপ শট খেলতে চেয়েছিলেন শুভমন। কিছুক্ষণের জন্য কেউই বুঝতে পারেনি বল ঠিক কোথায়। যতটা গতি আশা করেছিলেন, বল কিছুটা আটকে এল। শুভমনের ব্যাটের মাথায় লেগে বোলার কাইল মেয়ার্সের কাছে সহজ ক্যাচ। টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজের আগে ছয় ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে, ৫০ ওভার ব্যাটিংই করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারতের বিরুদ্ধে টানা দুই ম্যাচে ৩০০-র বেশি স্কোর। প্রথম ম্যাচে জয়ের দরজা থেকে ফিরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ম্যাচেও একই পরিণতি নিকোলাস পুরানদের।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটিংয়ে ভারতকে সবচেয়ে বেশি চাপে রাখে শাই হোপ-নিকোলাস পুরান জুটি। চতুর্থ উইকেটে ১২৬ বলে ১১৭ রান যোগ করে তারা। কেরিয়ারের শততম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ১১৫ রানের অনবদ্য ইনিংস শাই হোপের। নিকোলাস পুরান করেন ৭৪। শেষ ১০ ওভারে ৯৩ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। রান তাড়ায় ভারতকে ম্যাচে রাখে শ্রেয়স আইয়ার-সঞ্জু স্যামসন জুটি। শ্রেয়স ৭১ বলে ৬৩ রানে ফেরেন। ওয়ান ডে কেরিয়ারে প্রথম অর্ধশতরান সঞ্জু স্যামসনের (৫৪)। হতাশাজনক রান আউটে ফেরেন তিনি। শেষ ১০ ওভারে ভারতের প্রয়োজন ছিল ১০০। ক্রিজে দীপক হুডা-অক্ষর প্যাটেল জুটি। ম্যাচ থেকে হারিয়ে যেতে দেননি দলকে। ৩৩ বলে ৫১ রান যোগ করেন তারা। দীপক হুডা ফিরতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে ফের উচ্ছ্বাস। অক্ষর প্যাটেল তখনও লড়াই চালিয়ে গেলেন। শেষ ৫ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৮ রান।

অক্ষর প্যাটেলের ব্যাটিংয়ে ভরসা করা যায়। সঙ্গী শার্দূল ঠাকুর। তাঁকেও অলরাউন্ডার বলা যায়। আলজারি জোসেফের বোলিংয়ে সোজা ব্যাটে তাঁর অনবদ্য ছয়। খেই হারান আলজারি। পরের বলটিই কোমরের উপরের উচ্চতায়। নো বল এবং ফ্রি-হিট। পরের বলেও নো। এবারও বিমার। ভারতের জয়ের আশা বাড়তে থাকে। এই ওভারেই শার্দূলের স্কোয়ার কাট ফিল্ডারের হাতে। ফের একবার ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের দিকে ঝোঁকে। অভিষেককারী আবেশ খান প্রথম বলেই রান আউট থেকে বাঁচেন। স্ট্রাইক পেয়ে বাউন্ডারিও মারেন। মাত্র ২৭ বলে কেরিয়ারের প্রথম ওয়ান ডে অর্ধশতরান অক্ষর প্যাটেলের। শেষ ওভারে প্রয়োজন ৮ রান। ‘মহম্মদ সিরাজ’ হয়ে উঠতে পারলেন না কাইল মেয়ার্স।

সংক্ষিপ্ত স্কোর : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩১১-৬ (শাই হোপ ১১৫, নিকোলাস পুরান ৭৪, শার্দূল ঠাকুর ৩-৫৪)। ভারত ৩১২-৮ (অক্ষর প্যাটেল অপরাজিত ৬৪, শ্রেয়স আইয়ার ৬৩, আলজারি জোসেফ ২-৪৬)।