BIG BASH LEAGUE: বিগ ব্যাশেও আইপিএলের ছোঁয়া, পরের মরসুমে ড্রাফ্ট সিস্টেম

ড্রাফ্টের আগে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারকে জানাতে হবে, তাঁকে টুর্নামেন্টে কতটা সময়ের জন্য পাওয়া যাবে।

BIG BASH LEAGUE: বিগ ব্যাশেও আইপিএলের ছোঁয়া, পরের মরসুমে ড্রাফ্ট সিস্টেম
Image Credit source: TWITTER
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 22, 2022 | 6:55 PM

মেলবোর্ন : ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (IPL) মতো এবার অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশেও (BBL) শুরু হচ্ছে ড্রাফ্ট সিস্টেম। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এতদিন ফ্র্যাঞ্চাইজি দল গুলি নিজেদের পছন্দ মতো বিদেশি প্লেয়ার সই করাত। এবার বিদেশিদের প্লেয়ার্স পুল থেকে নিতে হবে। তবে ড্রাফ্টে (Draft) রিটেনশন পদ্ধতিও থাকছে। বিদেশি ক্রিকেটারদের স্যালারিও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। মূলত গোল্ড, সিলভার এবং ব্রোঞ্জ ক্যাটেগরিতে ভাগ করা হবে বিদেশিদের। তবে সর্বাধিক স্যালারির ক্রিকেটারদের জন্য প্ল্যাটিনাম ক্যাটেগরিও থাকছে। গত দুবছর থেকেই ড্রাফ্ট সিস্টেম চালুর ভাবনা ছিল। তবে কোভিডের কারণে তা করা যায়নি। বিশ্বের সেরা টি ২০ তে প্লেয়ারদের জন্য ডলার খরচ করতে প্রস্তুত ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। প্ল্যাটিনাম ক্যাটেগরির প্লেয়ারদের পুরো টুর্নামেন্টে না পাওয়া গেলেও তাদের স্যালারি বাড়াতে প্রস্তুত অসি বোর্ড।

দক্ষিণ আফ্রিকা, আরব আমির শাহি ক্রিকেট বোর্ডও নতুন টি ২০ লিগ চালুর পরিকল্পনা করছে। সে কারণেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্বের সেরা টি ২০ ক্রিকেটারদের বিগ ব্যাশে পেতে মরিয়া অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড। কোন ক্যাটেগরির স্যালারি কী হবে, তা অবশ্য প্রকাশ করেনি তারা। তবে ব্রোঞ্জ ক্যাটেগরির প্লেয়ারদের তুলনায় তিন গুণ বেশি পাবেন প্ল্যাটিনামের প্লেয়াররা। কবে থেকে ড্রাফ্ট শুরু হবে এবং দলগুলি ক্রিকেটারদের সই করাতে পারবে তা নিশ্চিত করেনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ক্রিকেটাররা ড্রাফ্টে নাম লেখাতে পারবেন এদিন থেকেই। ড্রাফ্টের আগে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারকে জানাতে হবে, তাঁকে টুর্নামেন্টে কতটা সময়ের জন্য পাওয়া যাবে।

বিগ ব্যাশের সময় এই সমস্যা নতুন নয়। আইসিসি পূর্ণ সদস্যের দেশগুলির দ্বিপাক্ষিক সিরিজও থাকে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে। অনেক ক্রিকেটারকেই পুরো টুর্নামেন্টের জন্য পাওয়া যায় না। সে কারণেই ড্রাফ্টের আগে পরিষ্কার হতে চাইছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ড্রাফ্টে রিটেনশন পদ্ধতিও থাকছে। গত মরসুমে আফগানিস্তানের লেগস্পিনার রশিদ খান অ্যাডিলেড স্ট্রাইকারে খেলেছিলেন। আন্দ্রে রাসেল খেলেছিলেন মেলবোর্ন স্টার্সে। ড্রাফ্ট থেকে তাদের ধরে রাখার অগ্রাধিকার পাবে গতবারের ক্লাব। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার জন্য নিজেদের ক্রিকেটারদের নিয়েও চ্যালেঞ্জ থাকছে। ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথ, প্যাট কামিন্সদের বিগ ব্যাশে কতটা পাওয়া যাবে, তা নিয়েও সন্দীহান ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।