কলকাতা: শেষ ওভারে ১৭ রান। ডিফেন্ড করতে পারলেন না সদ্য জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া পেসার মুকেশ কুমার (Mukesh Kumar)। মুস্তাক আলি ট্রফির (Syed Mushtaq Ali Trophy) কোয়ার্টার ফাইনালেই ছিটকে গেল বাংলা। ঘরের মাঠে কোয়ার্টার ফাইনালে হিমাচল প্রদেশের কাছে ৪ উইকেটে হার বাংলার। শেষ আটের ম্যাচ হেরে আগেভাগেই বিদায় নিল লক্ষ্মীরতন শুক্লার ছেলেরা। খেলার ফয়সালা হয় শেষ বলে। স্কোরবোর্ডে ১৯৯ রান তুলেও ম্যাচ জিততে ব্যর্থ বাংলা (Bengal)। বোলিং বিভাগে মুকেশ কুমার, আকাশদীপরা চূড়ান্ত ব্যর্থ। ৩ ওভারে ৪৪ রান হজম করেন আকাশদীপ। ৪ ওভারে ৪০ রান দেন মুকেশ কুমার।
টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় হিমাচল প্রদেশ। ৩৭ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলা। অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ করেন ২০ রান। রনজ্যোৎ সিং খাইরা আউট হন ১৪ রানে। সুদীপ ঘরামি (৭) ব্যর্থ। ২১ রান করেন করণ লাল। ৯২ রানে ৪ উইকেট পড়ে গেলেও বাংলার স্কোরকে টেনে তোলেন শাহবাজ আহমেদ, ঋত্বিক রায়চৌধুরী, অগ্নিভ পানরা। ৩২ বলে ৫৯ করেন শাহবাজ। ১১ বলে ৩২ রানে অপরাজিত ঋত্বিক। ১০ বলে ২৮ করেন অগ্নিভ পান।
রান তাড়া করতে নেমে একটা সময় ৭১ রানে ৪ উইকেট পড়ে যায় হিমাচল প্রদেশের। রবি কুমার, শাহবাজ, প্রদীপ্তদের দাপুটে বোলিংয়ে তখন সেমির স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিয়েছে বঙ্গব্রিগেড। আকাশ বশিষ্ঠ, নিখিল গাংটা জুটিই বাংলার সেমির স্বপ্নকে ছারখার করে দিল। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ওঠে ১১২ রান। ব্যক্তিগত ৫০ রানে রান আউট হন গাংটা। ১৯তম ওভারে বেশ আটোসাটো বোলিং করেন রবি কুমার। তবে মুকেশের শেষ ওভারটাই ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াল।
শেষ ওভারে হিমাচলের অধিনায়ক ঋষি ধাওয়ান পরপর দুটো চার মারেন। ওখানেই ম্যাচ ঘুরে যায়। তার আগে একটি ছক্কা হাঁকান বশিষ্ঠ। শেষ বলেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় হিমাচল প্রদেশ। বোলারদের ব্যর্থতাতেই জয় হাতছাড়া হয় বাংলার। প্রত্যেক বছরই নক আউট পর্বে ব্যর্থতার জন্য খেতাব থেকে ছিটকে যেতে হয়। এ বছরও তার পুনরাবৃত্তি।