Ranji Trophy: ‘কিউরেটরের হিসেবে ভুল হয়েছে’, বলছেন বাংলার কোচ-অধিনায়ক
Ranji Trophy, Eden Pitch Controversy: কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা বলছেন, 'এমন ঘটনা প্রথম, না আগে হয়েছে, আমি নিশ্চিত নই, মনে পড়ছে না, বলতেও পারছি না। ম্যাচ রেফারির সঙ্গে এখনও কিছু কথা হয়নি। সকালে আম্পায়ারদের দেখে মনে হল কিছু করতে পারে। বাইরের কিউরেটর, তাঁর হিসেবে গন্ডগোল হয়েছে। গ্রুপ লিগে আমরা ভালো জায়গায় রয়েছি, না হলে অবশ্যই ঝুঁকি পূর্ণ হত।'
কলকাতা : সারা দিনে খেলা হওয়ার কথা ৯০ ওভার। কখনও মন্দ আলোর কারণে আগে ভাগে দিনের খেলা শেষ করা হয়। কিন্তু ইডেনে হল অন্য কান্ড। বৃষ্টি পড়েনি, মন্দ আলোও নয়। পিচ ভেজা থাকায় ম্যাচই শুরু হল চার ঘণ্টা পর। সারা দিনে খেলা হল মাত্র ৩৫ ওভার। রঞ্জি ট্রফি ফিরেছে হোম অ্যাওয়ে ফরম্য়াটে। ঘরের মাঠে খেলা হলেও নিরপেক্ষ পিচ কিউরেটর রাখা হচ্ছে। ইডেনে বাংলা বনাম ওড়িশা ম্যাচের জন্যও বোর্ডের নিরপেক্ষ কিউরেটর ছিলেন অশোক ভার্মা। ম্যাচের আগের দিন পিচে অতিরিক্ত জল দেওয়ান। যার ফল ভুগতে হল দু-দলকেই। বাংলার কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। না হলে! দিনের খেলার শেষে কী বলছেন বাংলার কোচ ও অধিনায়ক? বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
ঘরের মাঠে খেলা হলেও বোর্ডের নিরপেক্ষ কিউরেটরের ভুলেই যে ৪ ঘণ্টা নষ্ট হল এ বিষয়ে সরাসরি কোনও বিতর্কিত মন্তব্য়ে নারাজ বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লাও এই প্রসঙ্গে এক সুরেই কথা বললেন। বাংলা শিবির যে ক্ষুব্ধ এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। সকালে খেলা শুরু হলে প্রথম সেশনে বোলাররা সুবিধা নিতে পারতেন। যেটা নেওয়া হল না। টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলা অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। প্রথম দিন ৩৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৯৬ রান তুলেছে ওড়িশা।
ম্যাচ শেষে বাংলা অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি শান্ত ভাষায় যেন বিদ্রুপ করে গেলেন পিচ কিউরেটরকে। মনোজ বলছেন, ‘নিরপেক্ষ কিউরেটরের হিসেবে হয়তো একটু ভুল হয়েছে। হয়তো ভেবেছিল, রোদ উঠবে, পিচ শুকিয়ে যাবে। ততটা রোদ ওঠেনি।’ দেরীতে খেলা শুরু হলেও বাংলা ক্রিকেটারদের মানসিকতায় এর কোনও প্রভাব পড়েনি বলেই জানালেন মনোজ। কিন্তু পিচ না শুকোনোয় দেরীতে খেলার শুরু ঘটনা কী আগে ঘটেছে মনোজের দীর্ঘ কেরিয়ারে? বললেন, ‘অনেক বারই হয়েছে, মন্দ আলোর জন্য খেলা দেরী হয়েছে। তবে পিচ ভেজা থাকার কারণে ম্যাচ এত দেরীতে শুরুতে হয়েছে, এমনটা আমার কেরিয়ারে ঘটেছে কী না, মনে পড়ছে না। আমাদের নকআউট নিশ্চিত হয়েছে। মাস্ট উইন ম্যাচ হলে অবশ্যই চিন্তার বিষয় ছিল।’
বাংলার কোয়ার্টার ফাইনালের খেলাও ইডেনে হতে পারে। এখন থেকেই তাই নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরু করে দিয়েছে বাংলা শিবির। অধিনায়ক জানালেন, ‘গত কালই নিজেদের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল। আরও দুটি পিচ তৈরি করা হচ্ছে। ইডেনে গ্রিন টপেই খেলতে অভ্যস্ত। কোয়ার্টার ফাইনাল পাঁচ দিনের খেলা। ক্রমশ উইকেট ভালো হবে। বোলারদেরও আইডিয়া হয়ে যাবে। এই ম্যাচেও আমরা জেতার জন্যই খেলব। প্রথম লক্ষ্য তিন পয়েন্ট। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে কন্ডিশন জোরে বোলারদের সহায়ক থাকলে ভালো বোলিং করতে হবে। ডিসিপ্লিন বোলিং করতে হবে। আর ডিসিপ্লিন বোলিং করেই কিন্তু আমরা এই জায়গায় রয়েছি। কোন জায়গায় বল করলে উইকেট আসবে, কোথায় রান আটকানো সম্ভব, আমাদের বোলাররা জানেন।’
কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা বলছেন, ‘এমন ঘটনা প্রথম, না আগে হয়েছে, আমি নিশ্চিত নই, মনে পড়ছে না, বলতেও পারছি না। ম্যাচ রেফারির সঙ্গে এখনও কিছু কথা হয়নি। সকালে আম্পায়ারদের দেখে মনে হল কিছু করতে পারে। বাইরের কিউরেটর, তাঁর হিসেবে গন্ডগোল হয়েছে। গ্রুপ লিগে আমরা ভালো জায়গায় রয়েছি, না হলে অবশ্যই ঝুঁকি পূর্ণ হত।’