India vs England: প্রথম সেশনেই জয়, সিরিজ ড্র করল ইংল্যান্ড

৭ উইকেটের জয়ে সিরিজ ২-২ ড্র করল ইংল্য়ান্ড।

India vs England: প্রথম সেশনেই জয়, সিরিজ ড্র করল ইংল্যান্ড
জো রুট-বেয়ারস্টো জুটিImage Credit source: TWITTER
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 05, 2022 | 6:38 PM

বার্মিংহাম: ইংল্যান্ডের মাটিতে ভারত শেষ বার টেস্ট সিরিজ জিতেছিল ২০০৭ সালে। অধিনায়ক ছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। এবার তিনি কোচ। সিরিজে ২-১ এগিয়ে ছিল ভারত। এক যুগেরও বেশি সময় পর ইংল্য়ান্ডে টেস্ট সিরিজ জেতার সুযোগ ছিল। কিন্তু কোনও পরিকল্পনাই কাজে এল না। জো রুট (Joe Root) এবং জনি বেয়ারস্টো (Jonny Bairstow) জুটি যেন অপ্রতিরোধ্য। এজবাস্টন টেস্টের শেষ দিন আরও ১১৯ রান প্রয়োজন ছিল ইংল্য়ান্ডের। রেকর্ড ৩৭৮ রান তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ১০৭ রান জুড়েছিল ইংল্য়ান্ড। দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে সাময়িক চাপে পড়ে। সেখান থেকে জনি বেয়ারস্টো-জো রুটের অবিচ্ছিন্ন ২৬৯ রানের জুটি। ম্যাচ জিতে সিরিজ ড্র করল ইংল্য়ান্ড। ৩৭৭ রান হাতে। ভারতের বিশ্ববন্দিত বোলিং লাইন আপ। তারপরও ৭ উইকেটের সহজ জয় ইংল্য়ান্ডের। শেষদিন ১১৯ রান প্রয়োজন ছিল। প্রথম সেশনেই এই রান তুলে নিল ইংল্য়ান্ড। এমন ফলে প্রশ্ন ওঠারই কথা। আদৌ কি জেতার মতো পারফর্ম করেছে ভারত!

প্রথম ইনিংসে ৪১৬ রান করেছিল ভারত। ঋষভ পন্থ-রবীন্দ্র জাডেজার ২২২ রানের পার্টনারশিপ। প্রথম পাঁচে সর্বাধিক জুটি ২৭ রানের। বোলারদের সৌজন্যে ১৩২ রানের লিড নেয় ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে সেই সুবিধা নিতে ব্যর্থ। উঠল মাত্র ২৪৫ রান। সর্বাধিক রানের জুটি চেতেশ্বর পূজারা-ঋষভ পন্থের ৭৮। আর কোনও জুটি ৫০-র ঘরই পেরোয়নি। ইংল্য়ান্ডের পরিকল্পনার ফাঁদে পা দিয়েছে। বিশেষত শর্ট বল থিয়োরি। শ্রেয়স আইয়ার কিছুটা থিতু হতেই ইংল্যান্ড কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম ইশারা করেন। ‘আন্ডারটেকারের’ গলা কাটার স্টাইল দেখান এবং ক্যাচিং পজিশনে ফিল্ডার রাখার সিগন্যাল দেন। খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। পুল খেলার চেষ্টায় শর্ট মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শ্রেয়স। ভারতের আরও বেশ কয়েকজন শর্ট বলেই আউট হলেন। সব মিলিয়ে ২৪৫ রান। পিচে কোনও জুজু ছিল না, ইংল্য়ান্ডের রান তাড়ায় পরিষ্কার।

ইংল্য়ান্ডের মাটিতে সর্বাধিক ৩৫৯ রান তাড়া করে জয়ের নজির ছিল। তেমনই এজবাস্টনে সর্বাধিক ২৮১ রান তাড়ায় সাফল্য এসেছে। সব নজির ছাপিয়ে গেল নতুন ইংল্যান্ড। ওপেনিং জুটিতে শতরান অ্যালেক্স লিস এবং জ্যাক ক্রলির। এক বছর পর ওপেনিং জুটিতে শতরান পেরোয় ইংল্যান্ড। অল্প সময়ের ব্যবধানে তিন উইকেট হারালেও প্য়ানিক করেনি ইংল্য়ান্ড। স্বপ্নের ছন্দে থাকা জো রুট-জনি বেয়ারস্টো জুটি বাকিটা সামলে নিলেন। দুজনেই শতরান করলেন। বেয়ারস্টো প্রথম ইনিংসেও শতরান করেছিলেন। টানা চারটি শতরান করলেন বেয়ারস্টো। রুট এ বছর পঞ্চম শতরান করলেন। এই সিরিজে ৭৩৬ রান জো রুটের।

ভারতের কাছে কোনও বিকল্প পরিকল্পনা ছিল বলেও সন্দেহ রয়েছে। পিচে ফুটমার্কস রয়েছে। ডান হাতি ব্যাটার ক্রিজে। রবীন্দ্র জাডেজা টানা ওভার দ্য উইকেট বোলিং করে গেলেন। এমনকি শেষ দিনও কয়েক ওভার একই পরিকল্পনা। রাউন্ড দ্য উইকেট বোলিং করলে হয়তো সুযোগ তৈরি হত। ভারতের ফিল্ডিংও প্রশ্ন তোলার জায়গা রাখল। চতুর্থ দিন জনি বেয়ারস্টোর ক্য়াচ ফেলেছিলেন হনুমা বিহারি। দ্বিতীয় স্লিপে (ওয়াইড) কেন হনুমা! শুভমন গিল কেন নয়! হনুমা নিয়মিত স্লিপ ফিল্ডার নন। কোনওদিন নেতৃত্ব না দেওয়া জসপ্রীত বুমরাকে সিরিজ নির্ণায়ক টেস্টে অধিনায়ক করার সিদ্ধান্তও কি বুমেরাং হয়ে দেখা দিল!

কোচ রবি শাস্ত্রী এবং অধিনায়ক বিরাট কোহলি জুটিতে সিরিজে ২-১ এগিয়ে ছিল ভারত। ব্রেন্ডন ম্যাকালামের কোচিংয়ে নিউজিল্য়ান্ডকে ৩-০ হারানোর পর এজবাস্টনে ভারতের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটের জয়ে সিরিজ ২-২ ড্র করল ইংল্য়ান্ড।