Friendship in Cricket: বন্ধু চল…বাইশ গজ কাঁপাচ্ছেন মুম্বইয়ের জয়-বীরু

মুম্বইকে রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে তোলার নেপথ্যে এই 'দোস্তানা'-র গপ্পো ঘুরছে আনাচে কানাচে । ঠোঁট আর পেয়ালার ব্যবধান মেটাতে মরিয়া দুই বন্ধু। নিজেদের অস্ত্রে শান দিয়ে মহারণের জন্য তৈরি । 

Friendship in Cricket: বন্ধু চল...বাইশ গজ কাঁপাচ্ছেন মুম্বইয়ের জয়-বীরু
আরমান এবং সরফরাজImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 20, 2022 | 11:22 AM

বেঙ্গালুরু: ব্যাট বলকে কেন্দ্র করে আরব সাগরের পাড়ে এক নয়া বন্ধুত্বের গল্প। সরফরাজ খান এবং আরমান জাফর। মুম্বইকে রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে তোলার নেপথ্যে এই ‘দোস্তানা’-র গপ্পো ঘুরছে আনাচে কানাচে । বাইশ গজের প্রতি প্রেম তাঁদের বন্ধুত্বকে মজবুত করেছে।  শুধু কি বন্ধুত্ব ? নাহ, এর মাঝেও রয়েছে প্রতিযোগিতা। একে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার। রেষারেষি নয়, বরং নিজেদের আরও নিখুঁত করে তোলাই লক্ষ্য মুম্বই ক্রিকেট দলের জয়-বীরুর।

মুম্বই স্কুল ক্রিকেটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নতুন নয়। স্কুল পর্যায়ে দ্বিশতরান, ত্রিশতরান এমনকী পাঁচ শতরানের রেকর্ডও গড়া হয়েছে। সেইসব কাহিনী স্কুল বারান্দায় কান পাতলেই শোনা যাবে। স্কুল ক্রিকেটে নজর কাড়তে পারলে রাজ্য দলে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ থাকে। জীবন এক লহমায় বদলে যায়। তবে স্কুল জীবনে শেখা প্রতিদ্বন্দ্বিতার অভ্যাসটা রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে থাকে। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ সরফরাজ ও আরমান। একদা স্কুল ক্রিকেট দলের টিম মেট এখন মুম্বইয়ের রঞ্জি দলের সতীর্থ। মুম্বইয়ের হয়ে রানের পাহাড় খাড়া করার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন দু’জনে।

বয়সের ফারাক মোটে একবছরের। সরফরাজ-জাফরের প্রথম মোলাকাত ২০০৮ সালে। রিজভি স্প্রিংফিল্ড হাইস্কুলে পড়ার সময়। একে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার জেদটা তখন থেকেই। একজন ২০০ রান করলে অপরজন চাইত ৩০০-র গণ্ডি পার করতে । কারও ব্যাটে ৩০০ রান পার হলে অন্যজনের লক্ষ্য থাকত ৪০০। এই নিঃশব্দ প্রতিযোগিতাকে ধোঁয়া দেওয়ার কাজ করতেন দু’জনের বাবা। ২০০৯ সালে হ্যারিস শিল্ড টুর্নামেন্টে সরফরাজের তোলা ৪২১ বলে ৪৩৯ রানে ভেঙে খান খান হয়েছিল সচিন তেন্ডুলকরের ৪৫ বছরের পুরনো রেকর্ড। পরের বছরই অনূর্ধ্ব ১৪ গিলস শিল্ডে জাফরের ব্যাটে ওঠে ৪৯৮ রান।

স্কুলজীবনে একে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার সেই খিদে নেই। বরং কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই দেওয়ার বাসনা। বন্ধুত্ব এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে বাইরে ম্যাচ থাকলে হোটেলে আরমান-সরফরজারের ঘর থাকে পাশাপাশি। নিজেদের বিখ্যাত মুম্বইয়ের লোকাল ট্রেনের সঙ্গে তুলনা করেন । ডাক নামও রয়েছে। সরফরাজ বলছিলেন, আরমানটা একইরকম রয়ে গেল। তখনও ধীরগতির ব্যাট করত, এখনও তাই। ওকে আমরা স্লো লোকাল বলে ডাকতাম। আর আরমান ঠিক উল্টোটা। দ্রুতগতিতে রান তুলতে ভালোবাসেন। পরিস্থিতি যাই থাকুক, আরমান থাকলে ড্রেসিংরুমের পরিবেশ থাকে কুল। হাসি ঠাট্টায় মাতিয়ে রাখেন। স্কুলের দিনগুলোতেও এমনই ছিল।

পাঁচবছর পর রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে পা রেখেছে মুম্বই। ৪২তম খেতাবের সামনে প্রতিপক্ষ মধ্যপ্রদেশ। ঠোঁট আর পেয়ালার ব্যবধান মেটাতে মরিয়া দুই বন্ধু। নিজেদের অস্ত্রে শান দিয়ে মহারণের জন্য তৈরি ।