Vinod Kambli: ‘সংসার চালাতে কাজ চাই’, হাতজোড় করে সাহায্য প্রার্থনা ‘বেকার’ কাম্বলির

সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে ক্রিকেট কেরিয়ারের শুরু। অথচ বর্তমানে দু'জনে অবস্থান একেবারে বিপরীত মেরুতে। কথা হচ্ছে, প্রাক্তন ক্রিকেটার বিনোদ কাম্বলির। ক্রিকেটে সফল হননি। সিনেমা, টিভি, ধারাভাষ্যে ভাগ্য পরীক্ষা করেছেন। তাতেও সাফল্যের মুখ দেখেননি। বর্তমানে আর্থিক সমস্যায় ভুগছেন কাম্বলি।

Vinod Kambli: 'সংসার চালাতে কাজ চাই', হাতজোড় করে সাহায্য প্রার্থনা 'বেকার' কাম্বলির
কাম্বলির যন্ত্রণাImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 17, 2022 | 2:17 PM

মুম্বই: বছর তিরিশ আগের ঘটনা। কেরিয়ারের শুরুর দিকের সাতটি ম্যাচে ৭৯৩ রান তুলে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন মুম্বইয়ের তরুণ বিনোদ কাম্বলি (Vinod Kambli)। ১৯৯৩ সালে কোনও ব্যাটার যখন ১১৩.২৯ স্ট্রাইক রেটে টেস্ট ম্যাচে ব্যাটিং করে তখন বোঝাই যায় সেই ব্যাট কতটা ধ্বংসলীলা চালাতে পারে। সেবছর ২২৪ এবং ২২৭ রান ছিল কাম্বলির সেরা স্কোর। ভারতীয় ক্রিকেটের (Indian Cricket) সেই উজ্জ্বলতম তারা একদিন কোথায় যেন হারিয়ে গেলেন। কেরিয়ারের শুরুটা হয়েছিল সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে। মাস্টার ব্লাস্টারের সফল কেরিয়ারের যে কোনও ক্রিকেটারের কাছে একইসঙ্গে ঈর্ষণীয় এবং শিক্ষণীয়। সচিনের (Sachin Tendulkar) কাছের বন্ধু হয়েও সম্পূর্ণ বিপরীত স্রোতে চলা কাম্বলি এখন চরম আর্থিক সমস্যায় ভুগছেন। পরিবার চালাতে হাতজোড় করে কাজ চাইছেন। বেকারত্ব নিয়ে যুঝতে থাকা কাম্বলি বলছেন, সংসার চালাতে যে কোনও কাজ করতে রাজি আছি। শুধু একটা কাজ দিন!

বিনোদ কাম্বলির নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে গলায় মোটা সোনার চেন, হাতে ব্রেসলেট, বড় ঘড়ি পরা এক তরুণ। সেসব বৈভব আর নেই। মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কফিশপে সাংবাদিকদের সামনে যখন এলেন, তাঁকে চেনা দায়। ৫০ বছরের কাম্বলির মুখে কাঁচা পাকা দাঁড়ি, মাথায় টুপি। মোবাইল ফোনের স্ত্রিন ভেঙে গিয়েছে। সারানোর সাধ্য নেই। ক্লাবে পৌঁছনোর জন্য পরিচিত একজনের সাহায্য নিয়েছিলেন!

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফে ৩০ হাজার টাকা পেনশন পান। রোজগারের একমাত্র পথ এটাই। শেষবার ২০১৯ সালে মুম্বই টি-২০ লিগের একটি টিমের হয়ে কোচিং করিয়েছিলেন। কাম্বলির কথা উঠলে স্বাভাবিকভাবেই সচিনের প্রসঙ্গ উঠে আসে। নাম, যশ, খ্যাতি কোনও কিছুর অভাব নেই তাঁর। বন্ধুর দুর্দিনের কথা মাস্টার ব্লাস্টার কি জানেন? প্রশ্নের উত্তরে সবাইকে অবাক করে দিয়ে প্রাক্তন বাঁহাতি ব্যাটার শুধু বলেন, ‘সচিন সব কিছু জানে।’ তিনি আরও বলেন, “ওর কাছ থেকে কিছু আশা করি না। ও আমাকে তেন্ডুলকর মিডল সেক্স গ্লোবাল অ্যকাডেমির দায়িত্ব দিয়েছিল। ভীষণ খুশি হয়েছিলাম। আমার খুব ভালো বন্ধু। আমার পাশে সবসময় দাঁড়িয়েছে।” ২০০০ সালে শেষবার জাতীয় দলের খেলেছিলেন কাম্বলি। মাত্র ২৩ বছর বয়সে দল থেকে বাদ পড়েন। এরপর আর জাতীয় দলের দরজা খোলেনি বিনোদ কাম্বলির সামনে।