Ind vs NZ: ঘরের মাঠে সিরাজ ম্যাজিক, ‘বিরাট’ শুভমন; ব্রেসওয়েল ঝড় থামিয়ে জয় ভারতের
শুভমন গিলের সেঞ্চুরিকে ফিকে করে দেওয়ার চেষ্টায় নেমেছিলেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। সাত নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি হাঁকালেন।
হায়দরাবাদ: এই দিনটার জন্যই বোধহয় অপেক্ষা করেছিলেন মহম্মদ সিরাজ। গ্যালারিতে পুরো পরিবার, বন্ধু-বান্ধব। তাঁদের সামনে হায়দরাবাদের উপল স্টেডিয়ামে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জ্বলে উঠলেন সিরাজ। মাইকেল ব্রেসওয়েলের সেঞ্চুরিতে ভারতীয় শিবিরের উপর চাপ বেড়েছিল কয়েকগুণ। ৪৫তম ওভারে চতুর্থ ও পঞ্চম বলে পরপর দুটি উইকেট নিয়ে চাপ কাটালেন। ভেঙে দেন ব্রেসওয়েল ও স্যান্টনারের ভয়ঙ্কর জুটি। ঝড়ের গতিতে এগোনো নিউজিল্যান্ড অনেকটাই থমকালো তাতে। ১০ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট সিরাজের। দুই দল মিলিয়ে উঠল ৬৮৬ রান। ব্রেসওয়েলের (১৪০) তাণ্ডব থামিয়ে টানটান উত্তেজনার ম্যাচ ভারত জিতল ১২ রানে। ১-০ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে ভারত। ব্যর্থ হল না হায়দরাবাদের মাঠে শুভমন গিলের দুরন্ত দ্বিশতরান।
হায়দরাবাদে প্রথম ওডিআইতে শুভমন গিলের দ্বিশতরানে ভর করে পাহাড় প্রমাণ রানের টার্গেট দেয় ভারত। জবাবে প্রথম থেকেই নড়বড়ে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডার। তবে সহজে হাল ছাড়ার পাত্র নয় ছিল না নিউজিল্যান্ড। শেষ না দেখে ছাড়লেন না মাইকেল ব্রেসওয়েল, মিচেল স্যান্টনাররা। ফিন অ্যালেন, ডেভন কনওয়ে, হেনরি নিকোলাস, ড্যারেল মিচেল, গ্লেন ফিলিপস থেকে ক্যাপ্টেন টম ল্যাথামও স্বল্প রানে ফিরে যান। ১৩১ রানে পড়ে যায় ৬ উইকেট। ভারত তখন জয়ের থেকে মাত্র ৪ উইকেট দূরে। বড় ব্যবধানে জয়ের স্বপ্ন দেখছেন ভারতীয়রা। কিন্তু সব আশায় জল ঢেলে খেলা ঘোরাল মাইকেল ব্রেসওয়েল, মিচেল স্যান্টনার জুটি। সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে প্রয়োজনের সময় সেঞ্চুরি হাঁকালেন ব্রেসওয়েল। অর্ধশতরান স্যান্টনারের। তবে সিরাজ ম্যাজিকে ভারতের লক্ষ্য টপকানো সম্ভব হল না কিউয়িদের। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে ব্রেসওয়েলকে শার্দুল ঠাকুর ফেরাতেই ১২ রান আগে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।
হায়দরাবাদে টসে জিতে শুরুতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক রোহিত। গিল-রোহিতের ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৬০ রান। ১৩তম ওভারের মাথায় অধিনায়ক রোহিতের (৩৪) উইকেট তুলে নেন ব্লেয়ার টিকনার। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শেষ ওডিআই ম্যাচে সেঞ্চুরি করা বিরাটের ব্যাট আজ জ্বলেনি। ব্যক্তিগত ৮ রানের মাথায় মিচেল স্যান্টনার ছিটকে দেন বিরাটের স্টাম্প। একের পর এক উইকেট হারালেও ভারতীয় ওপেনার গিল ক্রিজে ছিলেন। শুধু ক্রিজে ছিলেন বললে ভুল বলা হবে। দুরন্ত ছন্দে ছিলেন। ভারতের তোলা ৩৪৯ রানের মধ্যে ২০৮ রান গিলের করা। বাকি ১৪১ রান করেন টিম ইন্ডিয়ার অপর ৭ ক্রিকেটার। একটা সময় গিল যখন ১৫০ রানে ছিলেন, মনে হচ্ছিল এই ম্যাচে হয়তো আর ডাবল সেঞ্চুরি আসবে না তাঁর ব্যাটে। পর পর কয়েকটি ওভারে বেশি রান আসছিল না। এরপর ৪৮ ও ৪৯তম ওভারে মোট ৫টি ছয় মারেন গিল। যার মধ্যে ৪৯তম ওভারে লকি ফার্গুসনকে টানা তিনটি ছয় মারেন গিল। এরপরই ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ হয় গিলের।