India vs South Africa: হারের মাঝে ভারতের প্রাপ্তি লোয়ার অর্ডার ব্যাটিং
Indore: ভারতের ফিল্ডিং হতাশ করল এই ম্যাচে। অধিনায়ক রোহিত নিজে গ্রাউন্ড ফিল্ডিং মিস করলেন। জোড়া ক্যাচ মিস হল। সিরাজ শেষ ওভারে ক্যাচ নিয়ে বাউন্ডারি লাইন ছোঁয়ায় ছয় হল।
দক্ষিণ আফ্রিকা ২২৭-৩ (২০ ওভার)
ভারত ১৭৮-১০ (১৮.৩ ওভার)
ইন্দোর : অতিরিক্ত পরীক্ষার মাশুল দিল ভারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। অথচ কম্বিনেশনে একঝাঁক রদবদল। ‘ক্লিন সিটি’ ইন্দোরে দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটাররা ক্লিন হিট খেললেন। ভারতের টপ অর্ডার পারল না। ২০১৭ সালে এই মাঠেই রেকর্ড গড়েছিল ভারত। শতরানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছিলেন রোহিত শর্মা। ২২৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে এ দিন দ্বিতীয় বলেই প্লেড অন রোহিত। হাউসফুল হোলকার স্টেডিয়ামে নীরবতা। বিরাট, রাহুল না থাকায় রোহিতের ওপেনিং সঙ্গী হন ঋষভ পন্থ। ২ ওভারের মধ্যেই রোহিত, শ্রেয়সের উইকেট হারানোয় চাপে পড়ে ভারত। চারে পাঠানো হয় দীনেশ কার্তিককে। গত দুই ম্যাচে ব্যাটিং পাননি পন্থ। অনবদ্য কিছু শট খেললেও বড় ইনিংস এল না। বার্থ ডে বয় পন্থ ফিরলেন ১৪ বলে ২৭ রানে। কার্তিকের ক্যামিও স্থায়ী হল ২১ বল। ৪৬ রান করেন তিনি। ১১৪ রানে অক্ষর প্যাটেল আউট হতেই ম্যাচ পুরোপুরি হাত থেকে বেরিয়ে যায় ভারতের। শেষ অবধি ১৮.৩ ওভারে ১৭৮ রানে অলআউট ভারত। সিরিজ জিতলেও শেষ ম্যাচে ৪৯ রানে হার। প্রাপ্তি দীপক চাহারের ১৭ বলে ৩১ রানের ইনিংস।
সিরিজ আগেই নিশ্চিত হওয়ায় বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুলকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। ভারতের একাদশে তিনটি পরিবর্তন হল। অর্শদীপের সামান্য চোট রয়েছে, জানালেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বিরাট-রাহুল-অর্শদীপের জায়গায় শ্রেয়স আইয়ার, মহম্মদ সিরাজ এবং উমেশ যাদব। হোলকার স্টেডিয়ামে হাইস্কোরিং ম্যাচ দেখা যায়। ২০১৭ সালে এই মাঠে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২৬০-৫ করেছিল ভারত। টি ২০ তে ভারতের সর্বাধিক স্কোর। এ দিন টস জিতলেও রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তেম্বা বাভুমাকে শুরু থেকেই অস্বস্তিতে দেখায়। গত দুই ম্যাচে ০-তে ফিরেছিলেন। এই ম্যাচে ৩ রান। ভারতকে প্রথম সাফল্য দেন উমেশ যাদব। কুইন্টন ডি’কক রিলি রোসো জুটি ভারতকে অস্বস্তিতে রাখে। ক্রিজে দুই বাঁ হাতি থাকায় অক্ষর প্যাটেলকে বলই দিচ্ছিলেন না রোহিত। ইনিংসের মাঝপথে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ৯৬ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। শ্রেয়স আইয়ারের অনবদ্য থ্রোয়ে রানআউট কুইন্টন ডি’কক। ১২০ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার। ৪৩ বলে ৬৮ রানের অনবদ্য ইনিংস কুইন্টনের।
পরের বলেই ক্যাচ ফসকালেন দীনেশ কার্তিক। ম্যাচের দ্বিতীয় ক্যাচ মিস। ১৪তম ওভারে অক্ষরকে আক্রমণে আনেন রোহিত। এক ওভারই বোলিং করান। নন স্ট্রাইকারে ত্রিস্তান স্টাবস, ক্রিজ ছেড়ে এগিয়ে ছিলেন। দীপক চাহার বোলিং থামিয়ে তাঁকে আউট করার সতর্কবার্তা দেন। চাইলে আউট করতেই পারতেন। যদিও করেননি। ভারতের ফিল্ডিং হতাশ করল এই ম্যাচে। অধিনায়ক রোহিত নিজে গ্রাউন্ড ফিল্ডিং মিস করলেন। জোড়া ক্যাচ মিস হল। সিরাজ শেষ ওভারে ক্যাচ নিয়ে বাউন্ডারি লাইন ছোঁয়ায় ছয় হল। গত ম্যাচে ডেভিড মিলার। ইন্দোরে রিলি রোসো। মাত্র ৪৮ বলে ৭টি বাউন্ডারি এবং ৮টি ছয়ে শতরানে পৌঁছান রোসো। তাঁর কেরিয়ারের সর্বাধিক স্কোর। শেষ দিকে মিলার মাত্র ৫ বলে ১৯ রান করলেন। ভারতকে ২২৮ রানের লক্ষ্য দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ছোট মাঠ, ব্যাটিং পিচ, সব মাথায় রেখেও বলা যায়, ভারতের স্লগ ওভার বোলিং একই থাকল। কাল অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছে ভারতের বিশ্বকাপ স্কোয়াড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : দক্ষিণ আফ্রিকা ২২৭ (রিলি রোসো ১০০*, কুইন্টন ডি’কক ৬৮)। ভারত ১৭৮ ( দীনেশ কার্তিক ৪৬, দীপক চাহার ৩১, ডোয়েন প্রিটোরিয়াস ৩-২৬)