Lalit Modi: ৪০ থেকে ৪৭ হাজার ৬৮০ কোটি! একার চেষ্টায় বোর্ডের আর্থিক সমৃদ্ধি, দাবি ললিতের

সংবাদমাধ্যম বারবার তাঁকে 'পলাতক' তকমা দিতেই জ্বলে উঠেছেন। জন্মগত ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে ললিত ক্ষোভ উগরে দিয়ে লিখলেন, "আমি পলাতক নই। হীরের চামচ মুখে দিয়ে জন্মেছি।"

Lalit Modi: ৪০ থেকে ৪৭ হাজার ৬৮০ কোটি! একার চেষ্টায় বোর্ডের আর্থিক সমৃদ্ধি, দাবি ললিতের
Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 17, 2022 | 11:15 PM

লন্ডন: হটকেকের মতো বিকোচ্ছে ললিত মোদী-সুস্মিতা সেনের প্রেম কাহিনী। ৫৬ বছরের প্রাক্তন আইপিএল (IPL) কর্তা কোন জাদুতে প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরীর মন হরণ করলেন, সেই রহস্য জানতে আগ্রহী সকলেই। এরই মাঝে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে ললিতের অতীত জীবন। মৃত স্ত্রী, ছেলেমেয়েকে নিয়ে নানা তথ্য শোনা যাচ্ছে। তবে সবচেয়ে বেশি চর্চায় রয়েছে ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে ললিত মোদী (Lalit Modi) জীবন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড দ্বারা নির্বাসিত, ঘুষ নেওয়া, আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ গায়ে নিয়ে দেশ ছেড়েছেন বহুদিন। তবে সংবাদমাধ্যম বারবার তাঁকে ‘পলাতক’ তকমা দিতেই জ্বলে উঠেছেন। জন্মগত ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে ললিত ক্ষোভ উগরে দিয়ে লিখলেন, “আমি পলাতক নই। হীরের চামচ মুখে দিয়ে জন্মেছি।”

টুইটার পোস্টে ললিত মোদীর বক্তব্য, “আমার মাথা সবসময় উঁচু থাকে। সেটা আপনারাও করতে পারেন। আমাকে পলাতক বলা হচ্ছে। দয়া করে এটা জানান, কোন আদালত আজ পর্যন্ত আমাকে দোষী প্রমাণিত করতে পেরেছে? মনে হচ্ছে আপনারা মধ্যযুগে বাস করছেন। যেখানে দু’জন মানুষ ভালো বন্ধু হতে পারে না। যদি দুটি মানুষের মধ্যে কেমিস্ট্রি ঠিকঠাক থাকে তাহলে ম্যাজিক তৈরি হতে পারে। কুৎসিত মানসিকতা থেকে বাইরে বেরিয়ে আসার সময় এসেছে। কেউ যদি আপনার দেশের জন্য ভালো করছে তাহলে তাঁর উৎসাহ বাড়ান।”

স্বাভাবিকভাবেই ললিতের পোস্টের আইপিএলের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। একই সঙ্গে বিসিসিআইয়ের তৎকালীন আধিকারিকদের ‘জোকার’ বলে তোপ দাগেন। একার প্রচেষ্টায় কতটা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে লাভবান করেছেন তা তুলে ধরেছেন পোস্টে। ললিতের কথায়, “আপনারা বলতে পারবেন, আমি দেশকে যা দিয়েছি তা অন্য কেউ দিতে পেরেছে কি না? ওটা দেশের প্রতি আমার উপহার ছিল। ভারতে ব্যবসা করা কতটা সমস্যার তা সবাই জানে। ১৫টা শহর বাছলে তার মধ্যে ১২টিতেই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ২০০৮ সালে আর্থিক মন্দার সময় আইপিএলের সূচনা করেছিলাম। তখন সবাই হাসছিল। এখন যাঁরা আইপিএলের সাফল্যে আনন্দিত তাঁরা জানেন সবটা আমি একা করেছিলাম। বিসিসিআই-এর ‘জোকার’রা কেউ এগিয়ে আসেনি। আমার প্রবেশের সময় ভারতীয় বোর্ডের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৪০ কোটি টাকা ছিল। আমাকে ব্যান করার সময় ফুলে ফেঁপে ৪৭ হাজার ৬৮০ কোটিতে পৌঁছায়।”

আইপিএলের সাফল্যে নিজেকে ক্রেডিট দিতে এতটুকু কার্পণ্য করেননি ললিত। লেখেন, “আইপিএল এমন একটা টুর্নামেন্ট যা গোটা দেশকে একত্রিত করে। এর প্রতিষ্ঠাতা আমি। যা করেছি সব একার হাতে। যা এখন প্রতিটি মানুষ উপভোগ করছে। সেইসময় কোনও জোকার আমাকে সাহায্য করেনি। কেউ জানতই না কীভাবে শুরু করতে হবে। এখন তারাই নায়ক হয়ে ঘুরছে।” সংবাদমাধ্যমকে একহাত নিয়ে ললিত লেখেন, “তোমরা আমাকে পলাতক বলে বেড়াচ্ছ তাতে আমার কিছু যায় আসে না। হীরের চামচ মুখে দিয়ে জন্মেছি। না কখনও ঘুষ নিয়েছি, না ঘুষ নেওয়ার প্রয়োজন পড়েছে।”