Mithali Raj: বোর্ড প্রেসিডেন্টের শহরে এসে, নিজের স্বপ্ন মেলে ধরলেন মিতালি

কমনওয়েলথ গেমসে মেয়েদের ক্রিকেট সংযুক্ত হওয়ায় বেশ খুশি মিতালি রাজ।

Mithali Raj: বোর্ড প্রেসিডেন্টের শহরে এসে, নিজের স্বপ্ন মেলে ধরলেন মিতালি
ইডেনে রিয়াল ও রিল লাইফের মিতালি রাজ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 09, 2022 | 8:07 PM

কলকাতা: শহরে মিতালি রাজ (Mithali Raj)। ‘সাবাশ মিঠু’র প্রোমোশনে শহরে এসেছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। মিতালি রাজের বায়োপিকের মুখ্য ভূমিকায় তাপসী পান্নু। ছবির নির্মাতা সৃজিত মুখোপাধ্যায়। শুরুতে অবশ্য এই সিনেমার দায়িত্বে ছিলেন না সৃজিত। রাহুল ঢোলাকিয়া ছিলেন নির্মাতার দায়িত্বে। কিন্তু কোভিডের জন্য পরে এই সিনেমার দায়িত্ব নেন সৃজিত। তাপসী পান্নুর সঙ্গেই শনিবার শহরে আসেন মিতালি। শহরে পা রেখেই ইডেন গার্ডেন্সে চলে আসেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। নিজের বায়োপিক, তাই বেশ উচ্ছ্বসিত মিতালি। শহরের বাইরে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) এবং মিতালির দীর্ঘদিনের সতীর্থ ঝুলন গোস্বামী (Jhulan Goswami)। তাই কারও সঙ্গেই দেখা হয়নি। লন্ডনে পরিবারের সঙ্গে রয়েছেন বোর্ড সভাপতি। ঝুলন রয়েছেন এনসিএ-তে। কিছুদিন আগেই জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছেন মিতালি রাজ।

তাপসী পান্নুকে তাঁর চরিত্রে দেখে কতটা খুশি? মিতালির উত্তর, ‘প্রথম দর্শনেই আমার মন কেড়ে নেয়। ও আমার চরিত্রে অভিনয় করবে, ভেবে ভালো লাগছে। এটা আমার গর্ব। আশা করি, সবাই আমার বায়োপিক খুব উপভোগ করবে।’

বোর্ডের প্রশাসনে আসবেন? মিতালির সাফ উত্তর, ‘প্রস্তাব যদি আসে, আর সুযোগ যদি পাই তাহলে কেন আসব না?’ তাঁর উত্তরেই স্পষ্ট, ভবিষ্যতে মিতালিকে বোর্ডের প্রশাসনে দেখলে অবাক হওয়ার থাকবে না। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান মিতালি।

কমনওয়েলথ গেমসে মেয়েদের ক্রিকেট সংযুক্ত হওয়ায় বেশ খুশি মিতালি রাজ। তিনি বলেন, ‘প্রথমবার কমনওয়েলথ গেমসে ক্রিকেটের সংযুক্তিকরণ হয়েছে। আমি মনে করি আমাদের একটা সুযোগ রয়েছে। যদি ঠিকভাবে খেলতে পারি তাহলে কমনওয়েলথ গেমসে হরমনপ্রীতদের হাত ধরে পদক আসতে পারে।’

মিতালি, ঝুলনদের সৌজন্যে মেয়েদের ক্রিকেট এখন কিছুটা বদলেছে। সেই ছবিটা ধরা রয়েছে সিনেমাতেও। মিতালি সেই প্রসঙ্গে বললেন, ‘এখনও মেয়েদের ক্রিকেটকে সবাই সেভাবে গুরুত্ব দেয় না। যদিও আগের চেয়ে পরিস্থিতি এখন কিছুটা পাল্টেছে। পুরোটা পাল্টাতে সময় লাগবে। আমাদের নিজেদেরকে ভালোভাবে খেলতে হবে। তাহলেই মেয়েদের ক্রিকেট সম্পর্কে মানুষের ধ্যান-ধারণা পাল্টে যাবে। লিঙ্গ ভেদাভেদ থাকবে না।’

বায়োপিকের নাম সাবাশ মিঠু। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বলছেন, ‘যখন আমি ব্যাট করতাম, রান করতাম, সতীর্থরা আমাকে উজ্জীবিত করার জন্য বলত সাবাশ মিতু।’ বায়োপিকের নাম দেখে তাই খুশিই হয়েছেন মিতালি।

ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটকে এর আগে কী ভাবে দেখা হত, আর এখন কী ভাবে দেখা হয়, তা সবটাই রয়েছে এই সিনেমায়। বায়োপিকে মিতালির সতীর্থ ঝুলন গোস্বামীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুমতাজ সরকার।