Chris Cairns: ভাবিইনি কোনও দিন হাঁটতে পারব: ক্রিস কেয়ার্নস
"সম্পূর্ণ জীবনের ছন্দে ফিরে আসার নির্দিষ্ট কোনও সময় হয়তো নেই। পায়ের পেশিতে শক্তি ফিরে পেতে আরও মাস তিনেক সময় লাগবে। তারপর শুরু হবে নিজের পায়ে উঠে দাঁড়ানো লড়াই। আবার নিজের পায়ে হাঁটার লড়াই।"
ক্যানবেরা: চারবার ওপেন হার্ট সার্জারি। তিনি বেঁচে ফিরবেন এমন আশাও হয়তো অনেকে ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি একজন ক্রিকেটার। লড়াই তাঁর মজ্জায় মজ্জায়। তিনি ক্রিস কেয়ার্নস (Chris Cairns)। চলতি বছরের আগস্ট মাস, হার্টের পরিস্থিতি এমন যে পরপর চারবার ওপেন হার্ট সার্জারি (open heart surgery) করতে হয়। আর অপারেশন টেবিলেই স্পাইনাল স্ট্রোক। লাইফ সাপোর্টে পাঠিয়ে দিতে হয় প্রাক্তন নিউজিল্যান্ড (New Zealand) অলরাউন্ডারকে। জ্ঞান ফিরতে জানা যায় কোমরের নিচ থেকে প্যারালাইজড (paralysed)। এই অবস্থাতেই তাঁর মনে হয়েছিল, আর কোনও দিন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবেন না। পারবেন না নিজের পায়ে হাঁটতে। কিন্তু চারমাস পর ছবিটা বদলেছে। আবার নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছেন ক্রিস কেয়ার্নস। ধীরে ধীরে শুরু করেছেন শরীর চর্চা।
৫১ বছরের প্রাক্তন কিউই অলরাউন্ডার বলছেন, “কখনও ভাবিনি, আবার নিজের পায়ে উঠে দাঁড়াতে পারব। মনে হচ্ছিল, বাকি জীবনটা কাটবে হুইল চেয়ারে। সেভাবেই নিজেকে মানিয়ে নিচ্ছিলাম। ১৪ সপ্তাহের একটা অসম লড়াই। ওপেন হার্ট সার্জারি যখন চলছে, তখনকার কোনও স্মৃতি আমার মনে নেই। মনে আছে সেদিন আমার বাচ্চাদের স্কুলে ছাড়তে গিয়েছিলাম। তারপর যখন চোখ খুললাম আমি সিডনির (Sydney) হাসাপাতালে। তখন জানতে পারি ন’দিন পর জ্ঞান ফিরেছে আমার।”
3 mths post op! External chest precautions are off and I got a new set of wheels. Able to start pushing a little harder in the gym – can transfer on my own and allowed to use my chest finally!! Today is a good day. ?☀️#aorticdissection #survivor #spinalstroke #SCI #makeitcount pic.twitter.com/n5rewT98Fj
— Chris Cairns (@chriscairns168) November 10, 2021
ধীরে ধীরে জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছেন কেয়ার্নস। ডাক্তারদের পরামর্শে চলছে রিহ্যাব প্রক্রিয়া। আবার শুরু করেছেন জিম। কিছুদিন আগে সেই ছবিও নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার। কেয়ার্নস বলছেন, “একজন খেলোয়াড় বলেই হয়তো লড়াই করে আবার জীবনে ফেরার চেষ্টা করতে পারছি। চেষ্টা করছি ফিরে আসার। আগামী এক থেকে দুটো বছর খুব জরুরি। সম্পূর্ণ জীবনের ছন্দে ফিরে আসার নির্দিষ্ট কোনও সময় হয়তো নেই। পায়ের পেশিতে শক্তি ফিরে পেতে আরও মাস তিনেক সময় লাগবে। তারপর শুরু হবে নিজের পায়ে উঠে দাঁড়ানো লড়াই। আবার নিজের পায়ে হাঁটার লড়াই।
আরও পড়ুন : Afghanistan Cricket মহিলা ক্রিকেট নিয়ে চাপে আফগানিস্তান: রামিজ রাজা