Rahul Dravid: বীরু, সচিনের মতো ব্যাটসম্যান না হওয়ার আক্ষেপ! রাহুল দ্রাবিড় জানালেন…
বিন্দ্রাকে দেওয়া 'অভিনব' সাক্ষাৎকারে রাহুল দ্রাবিড় আরও জানান, খেলা থেকে বিরতি তাঁকে কী ভাবে সাহায্য করত।
নয়াদিল্লি : ধৈর্যের অপর নাম রাহুল দ্রাবিড়। ভারতীয় ক্রিকেটেই শুধু নয়, বিশ্বেও পরিচিত দ্য ওয়াল নামে। ভারতীয় দলের হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে (Rahul Dravid) শ্রদ্ধা করেন সকলেই। সচিন তেন্ডুলকর, বীরেন্দ্র সেওয়াগ (Sachin Tendulkar), সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ভিভিএস লক্ষ্মণের সঙ্গে রাহুল দ্রাবিড়। স্বপ্নের ব্যাটিং লাইন আপ ছিল ভারতের। ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান রাহুল দ্রাবিড়। তাঁর রক্ষণ ভাঙা কার্যত অসম্ভব ছিল। ভারতীয় ব্যাটিংয়ের মেরুদন্ড ছিলেন দ্রাবিড়। অলিম্পিকে প্রথম ভারতীয় হিসেবে ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনা জয়ী অভিনব বিন্দ্রার (Abhinav Bindra) সঙ্গে আলাপচারিতায় নানা তথ্য তুলে ধরেন রাহুল দ্রাবিড়।
‘ইন দ্য জোন’ পডকাস্টে রাহুল দ্রাবিড় বলেন, ‘ক্রিকেট কেরিয়ার কিছুটা এগনোর পর, অনুভব করি, আমি কখনোই দ্রুত রান তোলার মতো ব্যাটসম্যান হতে পারব না। যেমনটা সেওয়াগ করতে পারত এবং দীর্ঘ সময় ধরে সচিন করেছে। আমার ভরসা ছিল ধৈর্য। বোলারের সঙ্গে ধৈর্যের পরীক্ষা দারুণ উপভোগ করতাম। একের বিরুদ্ধে একের লড়াইয়ে পরিণত করার চেষ্টা করতাম। উপলব্ধি করেছি, এটা আমাকে আরও বেশি মনোযোগী হতে সাহায্য করত।’ আরও যোগ করলেন, ‘আমি কখনোই বীরুর (বীরেন্দ্র সেওয়াগ) মতো ক্রিকেটার হতে পারতাম না। ও দারুণভাবে নিজেকে বদলে ফেলেছিল। ওর ব্যক্তিত্বই দারুণ। তবে আমারও মনে হয়েছিল, কোনও রাস্তা বের করতেই হবে। অনুশীলনে নানা জিনিস চেষ্টা করতাম। ফিটনেস ট্রেনিংয়ে বাড়তি সময় দিতাম। কিন্তু বিষয়টা হল, মানসিকভাবে না পারলে, কোনও কিছু সম্ভব হত না।’
বিন্দ্রাকে দেওয়া অভিনব সাক্ষাৎকারে রাহুল দ্রাবিড় আরও জানান, খেলা থেকে বিরতি তাঁকে কী ভাবে সাহায্য করত। বলেন, ‘এখন কেরিয়ারে পিছন ফিরে দেখতে পাই, এনার্জিগুলোকে সঠিক ভাবে কাজে লাগানোর সুফল পেয়েছি। মানসিক শক্তি অনেক বেশি ছিল। খেলার বাইরে থাকলেও অনেক কিছু ভাবতাম। কী ভাবে মানসিক শক্তিটা কাজে লাগানো যায়। খেলার ধরণ সম্পর্কে কল্পনা করতাম। একটা সময় অবধি উদ্বিগ্নও ছিলাম। পরে বুঝতে পারি, ক্রিকেটের বাইরেও একটা জীবন আছে। অযথা উদ্বেগে নিজের ক্ষতিই করছি। সুতরাং, মানসিকভাবে তরতাজা থাকা খুবই প্রয়োজন ছিল।’
বিধ্বংসী ব্যাটিং না করলেও রাহুল দ্রাবিড়ের আন্তর্জাতিক কেরিয়ার ঈর্ষণীয়। ১৬৪ টেস্ট ম্যাচে করেছেন ১৩২৮৮ রান। ওয়েন ডে ক্রিকেটে ৩৪৪ ম্যাচে ১০৮৮৯ রান। টেস্টে ৩৬ টি শতরান এবং ৬৩ টি অর্ধশতরান রয়েছে। ওয়েন ডে ফরম্যাটে ১২ টি শতরান এবং ৮৩ টি অর্ধশতরান। খেলোয়াড় হিসেবে ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও, ক্রিকেট ছাড়েননি। অনূর্থ্ব ১৯ এবং যুব দলের কোচ হয়েছিলেন। এরপর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধান। গত নভেম্বরে সিনিয়র দলের কোচ হন রাহুল দ্রাবিড়।