Ranji Trophy: বিরাটদের হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত থেকে সামান্য দূরে বাংলা
Bengal vs Jharkhand Quarterfinals: বড় কোনও অঘটন না হলে, চতুর্থ দিন বাংলার সেমিফাইনাল নিশ্চিত সময়ের অপেক্ষা। প্রথম ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ ১৫৫ রানের লিড নেয় বাংলা। এরপরই আকাশ দীপ এবং মুকেশ কুমার জুটিতে ঝাড়খন্ডের ব্যাটারদের কাঁপুনি ধরে। মুকেশ একদিক থেকে চাপ তৈরি করেন। উইকেট নেন আকাশদীপ, আকাশ ঘটকরা।
কলকাতা : ব্য়াটারদের অনবদ্য পারফরম্যান্স, বোলারদের দাপট। মনে হয়েছিল, ইনিংসে জিতবে বাংলা। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে কোনওরকমে ইনিংস হার বাঁচিয়েছে ঝাড়খন্ড। বড় কোনও অঘটন না হলে, চতুর্থ দিন বাংলার সেমিফাইনাল নিশ্চিত সময়ের অপেক্ষা। প্রথম ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ ১৫৫ রানের লিড নেয় বাংলা। এরপরই আকাশ দীপ এবং মুকেশ কুমার জুটিতে ঝাড়খন্ডের ব্যাটারদের কাঁপুনি ধরে। মুকেশ একদিক থেকে চাপ তৈরি করেন। উইকেট নেন আকাশদীপ, আকাশ ঘটকরা। মাত্র ২১ রানে ৪ উইকেট হারায় ঝাড়খন্ড। আকাশদীপ প্রথম স্পেলে ৫ ওভারে ২টি মেডেন সহ ৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। যদিও ইনিংসে জয় এল না। বাংলা বনাম ঝাড়খণ্ড কোয়ার্টার ফাইনাল তৃতীয় দিনের রিপোর্ট TV9Bangla-য়।
প্রথম ইনিংসে ঝাড়খণ্ডকে মাত্র ১৭৩ রানে আটকে রাখে বাংলা। কোনও স্পিনারই ব্য়বহার করেননি অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। দ্বিতীয় দিনের শেষে ৮৫ রানের লিড ছিল বাংলার। তৃতীয় দিন বাংলার স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদ ব্য়াটে-বলে অনবদ্য় পারফর্ম করলেন। শাহবাজের ৮১ এবং উইকেটকিপার অভিষেক পোড়েলের ৩৩ রানের সৌজন্যে প্রথম ইনিংসে ৩২৮ এর বড় স্কোরে পৌঁছোয় বাংলা। গুরুত্বপূর্ণ ১৫৫ রানের লিড। বাংলা পেসারদের দাপটে সেই লিডটা আরও বড় দেখায়।
আকাশদীপ, আকাশ ঘটকদের সৌজন্য়ে শুরুতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে ঝাড়খণ্ড। কুমার সুরজকে অনবদ্য ডেলিভারিতে বোল্ড করেন আকাশ দীপ। ঝাড়খণ্ড ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। ওপেনার আর্যমান সেন একদিক আগলে রাখেন। মূলত তাঁর সৌজন্যেই লজ্জার ইনিংস হার বাঁচায় ঝাড়খণ্ড। দলীয় ১৫৩ স্কোরে সপ্তম উইকেট হিসেবে আউট হন আর্যমান। ৬৪ রানের ইনিংস হার বাঁচানো ইনিংস খেলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছোট দুটি জুটি গড়েন অনুকূল রায় (৪০) ও বিরাট সিং (২৯)। তৃতীয় দিনের শেষে ঝাড়খণ্ডের স্কোর ১৬২-৭। মাত্র ৭ রানে এগিয়ে তারা। বাংলার লক্ষ্য থাকবে চতুর্থ দিন দ্রুত তিন উইকেট নেওয়া এবং যতটা সম্ভব অল্প রানের লক্ষ্য সেট করা।