India vs South Africa: গ্রিনফিল্ডে গ্রিনটপ, সুইং সামলে রাহুল-সূর্য জুটিতে জয়
Arshdeep Singh: এক ওভারে ৭ রান দিয়ে তিন উইকেট অর্শদীপের। ইনিংসের প্রথম ১৫ বলের মধ্যেই ৯ রানে ৫ উইকেট আউট দক্ষিণ আফ্রিকার। তারপরও দক্ষিণ আফ্রিকা ২০ ওভার ব্যাট করল, এর জন্য কৃতিত্ব দিতেই হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকা ১০৬-৮ (২০ ওভার)
ভারত ১১০-২ (১৬.৪ ওভার)
তিরুবনন্তপুরম : গ্রিনফিল্ড স্টেডিয়ামে পিচও গ্রিন। ভারতীয় বোলারদের নতুন বলে অনবদ্য বোলিং। প্রথম ১৫ বলে ৯ রানে ৫ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ অবধি ভারতকে ১০৭ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। ভারতের তরুণ বাঁ হাতি পেসার অর্শদীপ সিং (Arshdeep Singh) প্রথম স্পেলে ৩ ওভারে ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। রান তাড়ায় ভারতকেও ভুগতে হবে এমনটাই প্রত্যাশিত ছিল। আগ্রাসী ক্রিকেটের যে বার্তা দিয়ে আসছিল টিম ম্যানেজমেন্ট, এই ম্যাচে শুরুতে তা দেখা গেল না। সুইংয়ে বেসামাল। তৃতীয় ওভারেই রাবাডার বলে ফিরলেন রোহিত। উইকেটের পিছনে এক হাতে দারুণ ক্যাচ কুইন্টন ডি’ককের। পাওয়ার প্লে-র পর স্পেল শুরু করেন নর্টজে। প্রথম বলেই ফেরান বিরাট কোহলিকে। পরিস্থিতি সামাল দেন লোকেশ রাহুল (KL Rahul) ও সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav)। তাঁদের ৬৩ বলে ৯৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৮ উইকেটে জয় ভারতের।
পিচে ঘাস রয়েছে। শুরুতে পেসাররা সাহায্য পাবেন। মাঠকর্মীরা জানিয়েছেন, রাতের দিকে শিশিরও পড়ে। ফলে টস জিতে ফিল্ডিং নিতে ভাবতে হয়নি রোহিতকে। কিন্তু তাঁর একাদশ বাছাই অবাক করে। পিঠের ব্যথায় জসপ্রীত বুমরাকে এই ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয়। হার্দিক পান্ডিয়াকে সিরিজেই বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। চাহালকেও রাখা হল না। দীপক চাহার, অর্শদীপ সিং, হর্ষল প্যাটেল, অক্ষর প্যাটেলের সঙ্গে যোগ করা হল অশ্বিনকে। এশিয়া কাপে পাঁচ বোলারের কম্বিনেশন নিয়ে ভুগেছিল ভারত। এ দিন ফের পাঁচ বোলারের কম্বিনেশন! কিছুটা হলেও চিন্তা ছিল। কোনও একজন ব্যর্থ হলে, ষষ্ঠ বোলার কে? তাহলে কি বিরাট কোহলিকে ১-২ ওভার হাত ঘোরাতে দেখা যেতে পারে? দীর্ঘ ছ’বছর পর এশিয়া কাপে বোলিং করতে দেখা যায় বিরাটকে। হংকংয়ের বিরুদ্ধে মাত্র এক ওভার করেছিলেন। মোহালিতে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ শুরুর আগে নেটে বোলিং করেন বিরাট। এই বিকল্পের দিকে এগোতে হল না। দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস শুরু হতেই সব চিন্তা যেন দূর হয়ে গেল।
নতুন বলে শুরু করেন দীপক চাহার। আউট সুইং করছিলেন। শেষ বলটি ইনসুইং, উইকেট ছিটকে দিলেন তেম্বা বাভুমার। পরের ওভারে বাঁ হাতি তরুণ পেসার অর্শদীপ সিং। তিনিও সুইংয়ে বিব্রত করলেন। সাফল্যের জন্য খুব বেশি অপেক্ষা করতে হল না। দ্বিতীয় বলেই কুইন্টন ডি’কক প্লেড অন। ওভারের শেষ দু’বলে ফেরালেন ভয়ঙ্কর রিলি রোসো এবং ডেভিড মিলারকে। এক ওভারে ৭ রান দিয়ে তিন উইকেট অর্শদীপের। বিপর্যয় যেন আটকাতেই চায় না দক্ষিণ আফ্রিকার। পরের ওভারে প্রোটিয়া সেনসেশন ত্রিস্তান স্টাবসকে ফেরালেন দীপক চাহার। ইনিংসের প্রথম ১৫ বলের মধ্যেই ৯ রানে ৫ উইকেট আউট দক্ষিণ আফ্রিকার। তারপরও দক্ষিণ আফ্রিকা ২০ ওভার ব্যাট করল, এর জন্য কৃতিত্ব দিতেই হবে। তেমনই ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টেরও চিন্তা কিন্তু মিটল না। ষষ্ঠ উইকেট থেকে তিনটি জুটি। ওয়েন পার্নেল-মার্করাম, পার্নেল-মহারাজ এবং মহারাজ-রাবাডা জুটিতে এল যথাক্রমে ৩৩, ২৬, ৩৩ রান। কেশব মহারাজের ৩৫ বলে ৪১ রানের ইনিংসের সৌজন্যে ১০০-র গণ্ডি পেরোল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১০৬। শুরুর ধাক্কা না হলে, ভারতকে বেগ দিতে পারতো দক্ষিণ আফ্রিকা। মিডল অর্ডারে রাসি ভ্যান ডার ডুসেনকে না পাওয়া, প্রোটিয়াদের জন্য বড় ধাক্কা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: দক্ষিণ আফ্রিকা ১০৬ (কেশব মহারাজ ৪১, অর্শদীপ সিং ৩-৩২, দীপক চাহার ২-২৪)। ভারত ১১০ (লোকেশ রাহুল ৫১*, সূর্যকুমার যাদব ৫০*)