রাতের পর রাত জেগে কাটিয়েছি, কারণ খোলসা করলেন সচিন
লেজেন্ডস উইথ আনঅ্যাকাডেমি অনুষ্ঠানে সচিন (Sachin Tendulkar) নিজেই একথা জানিয়েছেন।
নয়াদিল্লি: একসময় খাদের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা ম্যাচগুলো গুছিয়ে বের করে আনতেন সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar)। সেই তিনিই নাকি কেরিয়ারের দীর্ঘসময় ধরে ভুগেছেন উৎকণ্ঠায় (anxiety)! দু চোখের পাতা এক করতে পারেননি অনেক রাতে। প্রথমবার শুনলে একথা বিশ্বাস করতে চাইবে না সচিন ভক্তরা। কিন্তু সত্যিই তাই হয়েছিল লিটল মাস্টারের সঙ্গে। লেজেন্ডস উইথ আনঅ্যাকাডেমি অনুষ্ঠানে সচিন নিজেই একথা জানিয়েছেন।
এই করোনা (COVID-19) কালে কঠিন পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখা সকলের কাছেই বড় চ্যালেঞ্জ। এই মহামারির সময় ক্রিকেটাররা দীর্ঘদিন বায়ো বাবলে থাকছেন, যার ফলে তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যেও প্রভাব পড়ছে। কিন্তু সকলকেই এই কঠিন সময়ের সঙ্গে মানিয়ে চলতে হবে। এমনটাই বলছেন লিটল মাস্টার। ২৪ বছরের দীর্ঘ কেরিয়ারে তিনি বুঝেছিলেন অনেককিছুই। তার কিছু কথাই তুলে ধরেছেন এই সাক্ষাৎকারে। তিনি বলেছেন, “সময়ের সাথে সাথে আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, কোনও খেলার জন্য শারীরিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার পাশাপাশি, নিজেকে মানসিকভাবেও প্রস্তুত করতে হবে। ম্যাচের জন্য মাঠে নামার অনেক আগে থেকেই আমার মনে খেলা শুরু হয়ে যেত। আমার উদ্বেগের মাত্রা খুব বেশি ছিল। ফলে অনেক সময় আমাকে এই পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করতে হত।”
মাস্টার ব্লাস্টার আরও বলেছেন, “আমার কেরিয়ারে আমি ১০-১২ বছর ধরে প্রচন্ড উৎকণ্ঠা অনুভব করেছি। ম্যাচের আগে অনেক নিদ্রাহীন রাত্রি কেটেছিল। ধীরে ধীরে নিজেকে বোঝাতে থাকি এগুলিও আমার ম্যাচের প্রস্তুতির অঙ্গ। রাতের পর রাত চোখের পাতা এক করতে পারতাম না দেখে, একদিন ঠিক করি এভাবেই আমাকে মানিয়ে নিতে হবে।”
অনেক সময় মনকে শান্ত করার জন্য অন্য কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখা খুবই ভালো পদ্ধতি। অন্তত এমনটাই মনে করেন সচিন। উৎকণ্ঠার সময় শ্যাডো প্র্যাকটিস, ভিডিয়ো গেম খেলে নিজের মনকে অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করতেন লিটল মাস্টার। তিনি বলেছেন, “নিজের জন্য চা বানানো, আমার কাপড় ইস্ত্রি করাও আমাকে খেলার জন্য প্রস্তুত করতে সাহায্য করেছিল। আমি ম্যাচের আগের দিন আমার ব্যাগ গুছিয়ে রাখতাম, আমার দাদা আমাকে এগুলি শিখিয়েছিলেন এবং এটি আমার একটি অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। আমিও ভারতের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলার দিনও একই অভ্যাস অনুসরণ করেছি।”