Rohit Sharma-Shikhar Dhawan: স্ট্রাইক রেট দ্বন্দ্বে ধাওয়ান-রোহিত! শিখরের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন নির্বাচকরা?
পাওয়ার প্লে-র সুবিধা নিতে ব্যর্থ হচ্ছেন ধাওয়ান। অনেকটা সময় নিচ্ছেন সেট হতে। লোকেশ রাহুল ছাড়াও শুভমন গিল, ঈশান কিষান এবং ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের মতো বিকল্প ওপেনার রয়েছেন।
নয়াদিল্লি: সকলের খেলার ধরণ এক হয় না। দলের স্বার্থে নিজেকে বদলাতেও হয়। টেস্ট ক্রিকেটে চেতেশ্বর পূজারাকে নিয়ে নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন তৎকালীন অধিনায়ক বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। প্রসঙ্গ স্ট্রাইকরেট। প্রকাশ্যেই বলেছিলেন বিরাট। টেস্ট ক্রিকেটে স্ট্রাইকরেট আপাত দৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ নাই মনে হতে পারে। তবে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে অতি প্রয়োজন। ২০১৬ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর পূজারা খেলার ধরণে বদল এনেছিলেন। ডিফেন্সিভ খেললেও অন্তত যাতে স্কোর বোর্ড সচল রাখা যায় সেদিকে মন দিয়েছিলেন পূজারা। সাদা বলের ক্রিকেটে স্ট্রাইক রেট কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। শিখর ধাওয়ানের (Shikhar Dhawan) স্ট্রাইক রেট আপাতত চিন্তার বিষয়। আর যা নিয়ে অধিনায়ক রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) সঙ্গে দ্বন্দ্ব, এমনটাই সূত্রের খবর। ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামতে হয়েছে নির্বাচকদেরও।
টেস্ট, টি ২০-তে জাতীয় দলে জায়গা হারিয়েছেন শিখর ধাওয়ান। তিনি এখন শুধুই ওয়ান ডে প্লেয়ার। সেই জায়গাও কতদিন থাকবে বলা কঠিন। ২০২৩ ওয়ান ডে বিশ্বকাপ ভারতে। নতুন প্লেয়াররা উঠে আসছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ৯৯ বলে ৯৭ রান করেছিলেন শিখর। দ্বিতীয় ম্যাচে ৩১ বলে ১৩। স্ট্রাইকরেট ৪১.৯৩! টেস্ট ক্রিকেটেও এই স্ট্রাইকরেট যথেষ্ঠ কম, ওয়ান ডে-তে অবশ্যই। ইংল্যান্ড সফরেও তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজে ইনিংস অ্যাঙ্কর করছিলেন ধাওয়ান। নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মা বারবার আগ্রাসী ক্রিকেটের বার্তা দিয়ে আসছেন। সেখানে ধাওয়ানের খেলার ধরণ কি সত্য়িই মানানসই? ২০২৩ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষে ধাওয়ানের সঙ্গে ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলবেন নির্বাচকরা। তবে রোহিত-ধাওয়ানের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই বলেই দাবি করেছেন নির্বাচকরা।
সম্প্রতি নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেছেন, ‘ওয়েন ডে ক্রিকেট হল, টি ২০-র বর্ধিত সংস্করণ। সুতরাং, আমাদের খুব ভালোভাবেই বুঝতে হবে, কী ভাবে খেলব। নতুন প্লেয়াররা খেলছে। টি ২০-র তুলনায় ওডিআই-তে কম ঝুঁকি নেওয়া হয়। আমার মতে, ওডিআই ক্রিকেটও টি ২০’র মানসিকতা নিয়েই খেলতে হবে।’ অন্যদিকে স্ট্রাইকরেট প্রসঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ভারতের ওয়ান ডে অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান বলছেন, ‘আমার আত্মবিশ্বাসের অভাব নেই। এখন আর এসব মন্তব্যে কোনও প্রভাব পড়ে না। ১০ বছর ধরে শুনে আসছি। অনেকে নানা মন্তব্য করেছে, আমি পারফর্ম করে গিয়েছি। তা না হলে এখানে থাকতাম না।’
পাওয়ার প্লে-র সুবিধা নিতে ব্যর্থ হচ্ছেন ধাওয়ান। অনেকটা সময় নিচ্ছেন সেট হতে। লোকেশ রাহুল ছাড়াও শুভমন গিল, ঈশান কিষান এবং ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের মতো বিকল্প ওপেনার রয়েছেন। গত এক বছরে ধাওয়ানের স্ট্রাইক রেট নেমে এসেছে ৭৬.০৩। সেখানে শুভমন গিল এবং রোহিত শর্মার স্ট্রাইক রেট যথাক্রমে ১০৪.৯ ও ১০৭.৫৪, ঈশান কিষানের ১০৭.৩১। ধাওয়ানের স্ট্রাইক রেটে উন্নতি না হলে লোকেশ রাহুল কিংবা অন্য কোনও বিকল্প ভাবতেই পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম দু ম্যাচে ৬৪ এবং ৪৩ রানের ইনিংস খেলেছেন শুভমন। দুই ম্যাচে তাঁর স্ট্রাইক রেট ১২০.৭৫ এবং ৮৭.৭৫।