ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে আজও ডাবল হেডার। দিনের প্রথম ম্য়াচে নেমেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও রাজস্থান রয়্যালস। হোম ম্যাচে গতবারের রানার্স টিম রাজস্থান রয়্যালসের কাছে নাস্তানাবুদ হল হায়দরাবাদ। ব্যাটে-বলে হায়দরাবাদ পিছিয়ে রইল রাজস্থানের থেকে। প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৩ রান তোলে রাজস্থান। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩১ রানে আটকে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। রাজস্থানের হয়ে যশস্বী জয়সওয়াল, জস বাটলার ও সঞ্জু স্যামসন অর্ধশতরানের ইনিংস খেললেন। চারটি উইকেট নেন যুজবেন্দ্র চাহাল।
১. টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ক্যাপ্টেন ভুবনেশ্বর কুমারের
২. প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৩ রান তোলে রাজস্থান রয়্যালস
৩. তিনটি অর্ধশতরান রাজস্থানের ইনিংসে
৪. ২ বলে ৫৪ রান জস বাটলারের
৫. ৩৭ বলে ৫৪ রান যশস্বী জয়সওয়ালের
৬. সর্বাধিক ৩২ বলে ৫৫ রান সঞ্জু স্যামসনের
৭. হায়দরাবাদের হয়ে ২৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন টি নটরাজন
৮. ৪ ওভারের কোটায় ৪১ রানে ২টি উইকেট ফজলহক ফারুকীর
৯. রান তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩১ রান সানরাইজার্স হায়দরাবাদের
১০. সর্বাধিক ৩২ বলে ৩২ রান আবদুল সামাদের
১১. ৭২ রানে হার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের
শেষদিকে আবদুল সামাদ এবং উমরান মালিকের চার, ছয়ের বন্যা। তাতে হারের ব্যবধান কমল বইকি। শেষমেশ ৭২ রানে হার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। ৩২ বলে ৩২ রানের ক্যামিও ইনিংস সামাদের।
চমৎকার চাহাল। হায়দরাবাদের ক্যাপ্টেন ভুবনেশ্বর কুমারের উইকেট ছিটকে দিলেন চাহাল। ম্যাচের চতুর্থ উইকেট তাঁর ঝুলিতে। ১৭.৫ ওভারে হায়দরাবাদের স্কোর ৯৫/৮।
১৫ ওভারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের স্কোর ৮৫/৭।
সপ্তম উইকেট হারাল হায়দরাবাদ। যুজবেন্দ্র চাহালের বলে স্টাম্প আউট আদিল রশিদ। ১৪ ওভারে ৮১/৭ হায়দরাবাদ।
চাহালের বলে মায়াঙ্কের সহজ ক্যাচ জস বাটলারের হাতে। ২৩ বলে ২৭ রান। ১১ ওভারে ৫২/৬ হায়দরাবাদ।
ফজলহক ফারুকীর পরিবর্তে আবদুল সামাদ। সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামলেন সামাদ।
গ্লেন ফিলিপ্সকে (৮) ফেরালেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। হায়দরাবাদের পঞ্চম উইকেটের পতন।
জেসন হোল্ডারের বলে ওয়াশিংটন সুন্দরের (১) ক্যাচ হেটমায়ারের হাতে। চতুর্থ উইকেট হারাল হায়দরাবাদ। ম্যাচ ক্রমশ হাতের বাইরে যাচ্ছে হায়দরাবাদের।
৮ ওভারে হায়দরাবাদের স্কোর ৩৮/৩।
টেস্টে একের পর এক সেঞ্চুরি। তবে আইপিএলে অভিষেক পর্বটা মনের মতো হল না হ্যারি ব্রুকের। স্পিনারদের বিরুদ্ধে ব্রুকের দুর্বলতা কাজে লাগালেন যুজবেন্দ্র চাহাল। ২১ বলে ১৩ রান তাঁর। ৭ ওভারে ৩৪/৩ হায়দরাবাদ।
পাওয়ার প্লে ওভারে হায়দরাবাদের খাতায় উঠল ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩০ রান। প্রথম পাওয়ার প্লে-তে রাজস্থান তুলেছিল ৮৫ রান!
৩ ওভারে সানরাইজার্সের খাতায় উঠল ২ উইকেট হারিয়ে ১২ রান। জয়ের জন্য ১০২ বলে ১৯২ রানের প্রয়োজন।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই অভিষেক শর্মাকে ক্লিন বোল্ড করলেন ট্রেন্ট বোল্ট। খাতা খোলার আগেই ১ উইকেট হারাল সানরাইজার্স। পরপর দু-বলে ফেরালেন অভিষেক শর্মা এবং রাহুল ত্রিপাঠিকে। যদিও তৃতীয় আম্পায়ার চেক করছেন। তাতে সমস্য়া হয়নি। জোড়া উইকেটের পাশাপাশি মেডেন ওভার ট্রেন্ট বোল্টের।
২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৩ রান রাজস্থান রয়্যালসের। জয়ের জন্য হায়দরাবাদের সামনে বড় রানের চ্যালেঞ্জ।
১. তিনটি অর্ধশতরান এসেছে রাজস্থান রয়্যালসের ইনিংসে
২. ২২ বলে ৫৪ রান জস বাটলারের
৩. ৩৭ বলে ৫৪ রান যশস্বী জয়সওয়ালের
৪. সর্বাধিক ৩২ বলে ৫৫ রান সঞ্জু স্যামসনের
৫. হায়দরাবাদের হয়ে ২৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন টি নটরাজন
৬. ৪ ওভারের কোটায় ৪১ রানে ২টি উইকেট ফজলহক ফারুকীর
নটরাজনের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে অভিষেক শর্মার হাতে ধরা পড়লেন সঞ্জু স্যামসন। ৩২ বলে ৫৫ রান।
৪ উইকেট খুইয়ে ১৮ ওভারে রাজস্থানের স্কোর ১৮৬ রান।
২৮ বলে অর্ধশতরান সঞ্জু স্যামসনের। রাজস্থানের ইনিংসে এই নিয়ে তিনটি হাফ সেঞ্চুরি।
প্রথম ওভারে ১৭ রান দিয়েছিলেন। রিয়ান পরাগকে (৭) ফিরিয়ে চলতি আইপিএলে প্রথম উইকেট পেলেন টি নটরাজন। রাজস্থানের স্কোর ১৬.১ ওভারে ১৭০।
১৫ ওভারে ৩ উইকেট খুইয়ে রাজস্থানের খাতায় ১৬০ রান। অর্ধশতরানের দোরগোড়ায় অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন।
প্রথম দু ওভারের স্পেলে দিয়েছিলেন ২৪ রান। সেকেন্ড স্পেলে এসে প্রথম বলে দেবদত্ত পাড়িকলের উইকেট ছিটকে দিলেন উমরান মালিক। তৃতীয় উইকেট হারাল রাজস্থান। ১৪.১ ওভারে স্কোর ১৫১/৩
ফজলহক ফারুকির বলে পুল শট যশস্বীর। স্কোয়্যার লেগে ক্যাচ মায়াঙ্ক আগরওয়ালের। ৩৭ বলে ৫৪ রান। ১২.৩ ওভারে দ্বিতীয় উইকেট হারাল রাজস্থান। নতুন ব্যাটার দেবদত্ত পাড়িকাল
বাটলারের পর অর্ধশতরান যশস্বী জয়সওয়ালের। ৩৪ বলে ৫০ রান তাঁর। ১২ ওভারে ১৩৫/১ রাজস্থান রয়্যালস।
১০ ওভারে রাজস্থানের স্কোর ১২২/১। অর্ধশতরানের দোরগোড়ায় যশস্বী জয়সওয়াল।
৭.৪ ওভারে রাজস্থান রয়্যালসের স্কোর ১০০/১। ক্রিজে যশস্বী জয়সওয়াল এবং সঞ্জু স্যামসন।
পাওয়ার প্লে ওভারে উঠল ১ উইকেট হারিয়ে ৮৫ রান। প্রথম ছয় ওভারে এ বারের আইপিএলে এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক রান।
অর্ধশতরান করেই আউট জস বাটলার। সাফল্য ফজলহক ফারুকির। ২২ বলে ৫৪ রান তাঁর।
বিধ্বংসী মেজাজে বাটলার। ২০ বলে হাফ সেঞ্চুরি করলেন।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক রাজস্থানের ওপেনিং জুটি। পঞ্চম ওভারে পরপর তিন বলে নটরাজনকে বাউন্ডারি হাঁকালেন জস বাটলার। ৩.৪ ওভারে ৫০ রান পার করে যায় রাজস্থান।
রাজস্থানের ওপেনিংয়ে যশস্বী জয়সওয়াল এবং জস বাটলার। বোলিংয়ের সূচনায় ভুবনেশ্বর কুমার।
আজ সকালেই প্রয়াত হন ৮৮ বছরের প্রাক্তন ক্রিকেটার সেলিম দুরানি। ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে হায়দরাবাদের মাঠে শ্রদ্ধা জানানো হল প্রয়াত প্রাক্তন ক্রিকেটারকে।
পড়ুন: কাবুলে জন্ম, কর্ম ভারতে; প্রয়াত ছক্কা হাঁকানোর কারিগর সেলিম দুরানি
রাজস্থানের একাদশে চার বিদেশি- জস বাটলার, হেটমায়ার, জেসন হোল্ডার এবং ট্রেন্ট বোল্ট
যশস্বী জয়সওয়াল, জস বাটলার, সঞ্জু স্যামসন (ক্য়াপ্টেন/উইকেটকিপার), দেবদত্ত পাডিকল, রিয়ান পরাগ, শিমরন হেটমায়ার, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, জেসন হোল্ডার, ট্রেন্ট বোল্ট, কেএম আসিফ এবং যুজবেন্দ্র চাহাল।
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের তালিকা : ধ্রুব জুড়েল, সন্দীপ, এম অশ্বিন, নভদীপ সাইনি এবং বোনোভান ফেরেইরা।
একাদশে হায়দরাবাদের চার বিদেশি ব্রুক,ফজলহক ফারুকি, গ্লেন ফিলিপস এবং আদিল রশিদ।
মায়াঙ্ক আগরওয়াল, অভিষেক শর্মা, রাহুল ত্রিপাঠী, হ্যারি ব্রুক, ওয়াশিংটন সুন্দর, গ্লেন ফিলিপস (উইকেটকিপার), উমরান মালিক, আদিল রশিদ, ভুবনেশ্বর কুমার (ক্যাপ্টেন), টি নটরাজন, ফজলহক ফারুকি
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের তালিকা : আবদুল সামাদ, বিভ্রান্ত শর্মা, মায়াঙ্ক ডাগর, উপেন্দ্র যাদব, মায়াঙ্কা মার্কন্ডে
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অধিনায়ক ভুবনেশ্বর কুমারের।
রয়্যালসের একাদশে প্রথম ছয় মোটামুটি সেট। ওপেনিংয়ে যশস্বী জয়সওয়াল, জস বাটলার। এরপর দেবদত্ত পাডিকাল, সঞ্জু স্য়ামসন, শিমরন হেটমায়ার, রিয়ান পরাগ রয়েছেন। চমক হতে পারেন পাওয়ারফুল ব্য়াটার আকাশ বশিষ্ঠ। বোলিং বিভাবে ট্রেন্ট বোল্ট, যুজবেন্দ্র চাহালের জায়গা নিশ্চিত। পরিস্থিতি বুঝে জেসন হোল্ডার কিংবা রবিচন্দ্রন অশ্বিনের কম্বিনেশন।
বিদেশিদের মধ্যে নিঃসন্দেহে থাকবেন হ্যারি ব্রুক, গ্লেন ফিলিপ্স। পরিস্থিতি বিচার করে লেগ স্পিনার আদিল রশিদ কিংবা আফগানিস্তানের বাঁ হাতি পেসার ফজলহক ফারুকিকে খেলানো হতে পারে। পেসারদের জন্য় সহযোগিতা থাকলে দেশের এক্সপ্রেস বোলার উমরান মালিকের সঙ্গে খেলানো হতে পারে আফগান পেসারকেই। সঙ্গে থাকছেন ভুবনেশ্বর কুমার। ব্য়াটিং বিভাগে অভিষেক শর্মা, মায়াঙ্ক আগরওয়াল, রাহুল ত্রিপাঠিদের মতো ভারতীয় দক্ষ প্লেয়ার রয়েছেন।