Ukraine Cricket: যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে, ধ্বংসের আশঙ্কায় ক্রিকেটও
অলিভিয়ের বলছেন, 'আমাদের দেশের ক্রিকেট শেষ হয়ে যাবে।'
নয়াদিল্লি : সব কিছু ঠিক ছিল। হঠাৎ অন্ধকার নেমে এল। প্রাণে বাঁচার মরিয়া চেষ্টা। হারিয়েছে অনেক শৈশব। আর ক্রিকেট, সেটাও ধ্বংসের মুখে। ইউক্রেণ ক্রিকেট (Ukraine Cricket) এখন আইসিসি-র সিদ্ধান্তের ভরসায়। বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসের সময় আইসিসির বৈঠক। সেখানেই সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে। অথচ পরিস্থিতি এমনটা ছিল না। বেশ চলছিল। আইসিসি-র সদস্য হতে যা প্রয়োজন, সব বক্সেই টিক দেওয়া ছিল। ইউক্রেণ নতুন করে সব গড়ে তোলার চেষ্টায়। ইউক্রেণ ক্রিকেট বোর্ডের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক জানিয়েছেন, তারা তাদের মতো সমস্ত প্রক্রিয়া মেনেছেন, আইসিসি (ICC) জায়গা না দিলে, তাদের দেশের ক্রিকেটকে রক্ষা করা যাবে না।
আইসিসি-র দ্বিতীয় স্তরের সদস্যপদ পাওয়ায় আশাবাদী ছিল ইউক্রেণ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার কাছে টি ২০ স্বীকৃতির প্রত্যাশায় আবেদন করবে। আইসির কাছ থেকে সেক্ষেত্রে ফান্ডিংও আসবে। যা এই মুহূর্তে তাদের কাছে খুবই প্রয়োজন। গত দু-দশক ধরেই ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত ইউক্রেণ। প্রায় ১৫ হাজার ক্রিকেট শিক্ষার্থী রয়েছে। সিনিয়র স্তরে বেশিরভাগ ক্রিকেটারই ভারতীয়। মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক কোবাস অলিভিয়ের বলছেন, ‘ফেব্রুয়ারি অবধি আমরা সবদিক থেকেই প্রস্তুত ছিলাম। তারপর যুদ্ধ শুরু হল। তবে আমরা যে প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছি, তাতে ভরসা রয়েছে। আশা করছি, আমরা আইসিসি-র সদস্যপদ পাব।’ যুদ্ধও ক্রিকেট থামাতে পারেনি। ইউক্রেণ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হরদীপ সিং সমস্ত ব্যবস্থা করেছেন। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ভারতে অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছিলেন। কিভ থেকে পালিয়ে বাঁচতে হয়েছিল অলিভিয়েরকে। ক্রোয়েশিয়ার জাগ্রেবে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের অনুশীলনের সেট আপ তৈরি করেছিলেন। জাগ্রেব থেকেই জুনিয়র এবং মহিলা দলকে পরিচালনা করছেন। শরণার্থীদের ক্রিকেটে যোগ করেছেন। বেশিরভাগই মা এবং শিশু। কোবাস অলিভিয়ের বলছেন, ‘এই শরণার্থী মায়েরাই কয়েক বছরের মধ্যে ইউক্রেণ জাতীয় দলের হয়ে খেলবে।’
অলিভিয়েরের পরিকল্পনা রয়েছে, আগামী মাসে জাগ্রেবেই ‘ইউক্রেণিয়ান ফ্রিডম কাপ’ আয়োজন করার। সার্বিয়া, স্লোভেনিয়া, হাঙ্গেরি এবং চেক প্রজাতন্ত্রকে এই প্রতিযোগিতায় খেলাতে চাইছেন। তবে আইসিসি যদি ফিরিয়ে দেয়, তাদের ক্রিকেটের ইতি ঘটবে…। অলিভিয়ের বলছেন, ‘আমাদের দেশের ক্রিকেট শেষ হয়ে যাবে।’ লর্ডসের প্রতিনিধি, ব্রিটিশ চ্য়ারিটি, এমসিসি ফাউন্ডেশন, সকলেই ইউক্রেণের পাশে রয়েছে। এবার মাথার উপর আইসিসি-র হাত থাকলেই এগবে ইউক্রেণ ক্রিকেট।