Virat Kohli Controversy: ‘ফর্ম নেই যখন, টিমে কেন’ কপিলের পর প্রশ্ন আর এক প্রাক্তনের
সৌরভ, সেওয়াগ, যুবরাজ, জাহির, ভাজ্জি, সকলেই বাদ পড়েছেন। তাঁরা ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে জাতীয় দলে প্রত্য়াবর্তন করেছেন। এখন বোধ হয় সব নিয়ম বদলে গিয়েছে।
নয়াদিল্লি : ফর্মে না থাকা ক্রিকেটারকে বয়ে বেড়ানো নিয়ে এবার মুখ খুললেন ভারতের প্রাক্তন পেসার। নাম না করলেও তাঁর লক্ষ্য যে বিরাট কোহলিই (Virat Kohli), বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে না কারও। নির্বাচকদের দিকেই সরাসরি আঙুল তুলেছেন (Venkatesh Prasad)। সম্প্রতি বিশ্বজয়ী ভারত অধিনায়ক কপিল দেব (Kapil Dev) প্রশ্ন তুলেছিলেন- তরুণ ক্রিকেটাররা ভাল পারফর্ম করলে তাদের সুযোগ দেওয়া হোক। নির্বাচকরা কঠিন সিদ্ধান্ত নিক। তাতে যদি বিরাট কোহলির মানের কোনও ক্রিকেটারকেও বাদ দিতে হয়, নির্বাচকরা এমন কঠিন সিদ্ধান্তই নিক। সব ফরম্য়াট মিলিয়ে গত তিন বছর কোনও শতরান নেই। ইংল্য়ান্ডে এজবাস্টন টেস্ট হোক বা টি ২০-তে দুটো ম্য়াচ। রান পাননি বিরাট। অতীতের পারফরম্যান্স এবং পরিসংখ্য়ান দিয়ে দলে কতদিন! প্রশ্ন উঠলেও ভারতীয় শিবিরে ভ্রুক্ষেপ নেই।
নিজেদের সময়কার উদাহরণ দিয়ে দেশের প্রাক্তন পেসার ভেঙ্কটেশ প্রসাদ সোশ্য়াল মিডিয়ায় লিখেছেন, একটা সময় ছিল, ফর্মে না থাকলে যে কোনও ক্রিকেটারকেই বাদ দেওয়া হত। কে কত বড় তারকা সেটা দেখা হত না। সৌরভ, সেওয়াগ, যুবরাজ, জাহির, ভাজ্জি, সকলেই বাদ পড়েছেন। তাঁরা ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে জাতীয় দলে প্রত্য়াবর্তন করেছেন। এখন বোধ হয় সব নিয়ম বদলে গিয়েছে। কেউ ফর্মে না থাকলে বিশ্রাম দেওয়া হয়। দেশে প্রতিভার অভাব নেই। কিন্ত তারকাদের রেপুটেশনের জন্য সুযোগ পায় না। দেশের অন্যতম সেরা ম্য়াচ উইনার অনিল কুম্বলেও বহুবার জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের জন্য বোধ হয় ভাবা প্রয়োজন।
ভেঙ্কটেশ প্রসাদের নিশানায় যে বিরাট কোহলির মতো ক্রিকেটার, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। তাঁর মতো অনেক তারকা ক্রিকেটারই দীর্ঘ রানের খরাতেও দল থেকে বাদ পড়েন না। ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে পারফর্ম করে তাদের জায়গা ফেরত পেতে হয় না। বরং তাদের বিশ্রাম দেওয়া হয়। পরিবর্তে কোনও তরুণ ক্রিকেটার খেলে পারফর্ম করলেও তারকা ক্রিকেটারকে জায়গা ছাড়তে হয়। সম্প্রতি যেমনটা হয়েছে দীপক হুডার ক্ষেত্রে। আয়ারল্যান্ডে দুটি টি ২০ ম্য়াচে অপরাজিত ৪৭ এবং দেশের চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি ২০-তে শতরান করেছিলেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টি ২০-তে প্রায় ২০০ স্ট্রাইক রেটে ৩৩ রানের ইনিংসের পরও বাকি দুই ম্যাচে বাদ পড়েন দীপক।
সম্প্রতি কপিল দেব মন্তব্য করেছিলেন, রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে যদি বাদ দেওয়া যায়, তাহলে অন্যদের কেন নয়। তৃতীয় টি ২০-র পর অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে ফর্মহীন বিরাট কোহলি এবং কপিল দেবের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন করা হলে রোহিত সাংবাদিক সম্মেলনে এক হাত নেন কপিল দেব এবং ক্রিকেট ‘বিশেষজ্ঞদের’।