Kapil Dev: কপিল দেবকে অবসর নেওয়ার ব্যপারে ভাবতে বলেছিলেন এই ভারতীয় ক্রিকেটার

একজন নির্বাচকের পক্ষে একজন ক্রিকেটারকে বলা সহজ হয় না যে তাঁর কেরিয়ারের শেষ সময় চলে এসেছে। সামনে যখন কপিল দেবের মতো কিংবদন্তি থাকেন, তখন তো সেটা আরও কঠিন হয়।

Kapil Dev: কপিল দেবকে অবসর নেওয়ার ব্যপারে ভাবতে বলেছিলেন এই ভারতীয় ক্রিকেটার
কপিল দেবকে অবসর নেওয়ার ব্যপারে ভাবতে বলেছিলেন এই ভারতীয় ক্রিকেটারImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 20, 2022 | 7:30 AM

মুম্বই: কিংবদন্তি ক্রিকেটাররাও কেরিয়ারের কোনও না কোনও সময় খারাপ ফর্মের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। ৮৩-র বিশ্বকাপজয়ী ভারত অধিনায়ক কপিল দেবও (Kapil Dev) তাঁর বর্ণময় কেরিয়ারের শেষের দিকে খারাপ ফর্মের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন। কপিল দেবের মতো এত বড় মাপের ক্রিকেটারকে তো কেউ বলতে পারে না, আপনি আর নিজের ক্রিকেট কেরিয়ার টেনে নিয়ে যাবেন না। তাতে ফুলস্টপ দিন। একজন নির্বাচকের পক্ষে একজন ক্রিকেটারকে বলা সহজ হয় না যে তাঁর কেরিয়ারের শেষ সময় চলে এসেছে। সামনে যখন কপিল দেবের মতো কিংবদন্তি থাকেন, তখন তো সেটা আরও কঠিন হয়। প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার ও বর্তমানে বিসিসিআই অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য অংশুমান গায়কোয়াড় (Anshuman Gaekwad) স্মৃতির পাতা উল্টে জানিয়েছেন, তিনি জাতীয় দলের নির্বাচক কমিটির সদস্য থাকার সময়, কীভাবে কপিল দেবের সঙ্গে এই ব্যপার নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।

সালটা ১৯৯৪। সে বছর ফেব্রুয়ারিতে আমদাবাদ টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে রিচার্ড হ্যাডলির ৪৩১ উইকেটের রেকর্ড টপকে গিয়েছিলেন কপিল দেব। তিনি গড়ে ফেলেছিলেন নতুন বিশ্বরেকর্ড। এরপর সকলে ভেবে নিয়েছিল, কপিল দেব হয়তো অবসর ঘোষণা করে দেবেন। কপিল কিন্তু তা করেননি। এই ব্যপারে অংশুমান বলেন, “এত বড় খেলোয়াড়কে বাদ দিতে আপনি পারবেন না। আমরা ওকে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলার অনুমতি দিয়েছিলাম, এবং ও আমেদাবাদ টেস্টে বিশ্ব রেকর্ড (সর্বাধিক উইকেট শিকারী হওয়ার জন্য) ভেঙেছিল। আমরা ভেবেছিলাম বিশ্ব রেকর্ড ভেঙে ও অবসর ঘোষণা করবে। তবে ওইদিন সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে ও আরও দুই বছর খেলবে বলে জানিয়ে দেয়। পরের দিন, বিরক্ত ভিশি (প্রধান নির্বাচক গুন্ডাপা বিশ্বনাথ) আমাকে বলেছিল ‘পত্রপত্রিকার শিরোনাম দেখেছো? কপিল বলেছে যে ও আরও দুই বছর খেলবে’।

তিনি আরও বলেন, “সেদিন সন্ধ্যায়, একটি নির্বাচন কমিটির বৈঠক হয়েছিল। (জগমোহন) ডালমিয়া বিসিসিআই সেক্রেটারি ছিলেন। তাই আমরা একসঙ্গে বসেছিলাম এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে কপিলের (আন্তর্জাতিক ক্রিকেট) ছেড়ে দেওয়ার সময় এসেছে এটা ওকে জানাতে হবে। আমি ডালমিয়াকে পরামর্শ দিয়েছিলাম যে, একজন নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান এবং সিনিয়র হিসেবে, ভিশির ওর সঙ্গে কথা বলা উচিত। এরপর চায়ের সময়, আমরা ড্রেসিং রুমে কপিলের কাছে গিয়েছিলাম। আমরা জানি ভিশি লাজুক এবং কোনও বিতর্কে জড়াতে চায় না। ও স্পষ্টবাদী ছিল না, তাই আমি উদ্যোগ নিয়েছিলাম।”

এরপর অংশুমান কথা বলেন কপিলের সঙ্গে। এই বিষয়ে অংশুমান বলেন, “আমি কপিলকে বলেছিলাম, ‘ক্যাপস, আমাদের তোমার সঙ্গে কথা বলা দরকার।’ আমি ওকে বলেছিলাম, ‘নির্বাচকরা মনে করেন যে তোমার এখনই ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়া দরকার। এবং তুমিও এটা জানো। আমরা তোমাকে তোমার পছন্দ অনুযায়ী একটি বিদায়ী ম্যাচে খেলার সুযোগ করে দেব। কিন্তু এখন তোমাকে তার জন্য একটা দিন বলতে হবে।’ যা শুনে কপিল দেব বলেছিল, ‘আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনি আমাকে যা বলছেন তার আমি সত্যিই প্রশংসা করি।’ একজনকে মাঝে মাঝে এই ধরণের কাজ করতেই হয়, কপিল দেবের সময় যেটা আমি করেছিলাম।”