Wriddhiman Saha : দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন? অফিস লিগে খেললেন, রানও করলেন ঋদ্ধি
বাংলা বনাম ত্রিপুরা ম্য়াচে কি ধর্মসংকটে পড়বেন! আমি চাইব, আমার দল জিতুক, বলছেন ঋদ্ধি।
কলকাতা : দীর্ঘ ১৫ বছর বাংলার হয়ে খেলেছেন। সাফল্য়ও পেয়েছেন। ৪০ টি টেস্ট, ৯টি ওডিআই, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দীর্ঘ কেরিয়ার। আইপিএলেও সফল কেরিয়ার। ঋদ্ধিমান সাহার (Wriddhiman Saha) দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার জায়গা নেই। কিছুদিন আগে অবশ্য সেটিই করেছেন বাংলা ক্রিকেট সংস্থার যুগ্মসচিব। এবারের রঞ্জি ট্রফিতে ব্যক্তিগত সমস্য়ায় গ্রুপ পর্বে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এরপরই তাঁর দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন যুগ্মসচিব। যার ফল, ঋদ্ধি এখন বাংলার ‘প্রাক্তন’ ক্রিকেটার। ক’দিন আগেই বাংলা ক্রিকেট সংস্থার থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেটও নিয়েছেন। এবার খেলবেন অন্য রাজ্যের হয়ে। তবে দায়বদ্ধতা যে তাঁর কম নয়, সেটা আরও একবার প্রমাণ করলেন ঋদ্ধিমান সাহা। এদিন ইডেনে ব্য়াট হাতে নামলেন অফিস লিগের ম্য়াচে। টি ২০ ম্য়াচ। পুরো ইনিংসে উইকেটকিপিংও করলেন।
আইপিএলে এবার গুজরাত টাইটান্সের হয়ে খেলেছেন ঋদ্ধিমান সাহা। অভিষেক মরসুমেই ট্রফির স্বাদ। শুরুর দিকে একাদশে সুযোগ পাচ্ছিলেন না ঋদ্ধিমান। সুযোগ পেয়ে কাজে লাগিয়েছেন। বেশকিছু ম্য়াচ জেতানো ইনিংস খেলেছেন। এদিন অফিস লিগে সিইএসসি-র হয়ে সেমিফাইনালে ২৮ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেললেন ঋদ্ধিমান সাহা। তিনটি ওভার বাউন্ডারি এবং একটি বাউন্ডারি মেরেছেন। ইনকাম ট্যাক্সের বিরুদ্ধে দল হারলেও ব্যাট হাতে সফল ঋদ্ধি।
ম্যাচ শেষে বাংলার অন্যতম সফল উইকেটকিপার ব্যাটার বলেন, ‘কী হয়েছে, কেন বাংলা ছেড়েছি, এটা নতুন কিছু নয়। সকলেই জানে। তবে আমি যে কোনও খেলাতেই নিজের একশো শতাংশ দেওয়ার চেষ্টা করি। অফিসের প্রতিও আমার দায়বদ্ধতা রয়েছে। কেন খেলব না!’
ত্রিপুরায় খেলা নিয়ে অবশ্য সরকারিভাবে স্বীকার করলেন না ঋদ্ধি। ত্রিপুরা ক্রিকেট সংস্থার সচিব অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, ত্রিপুরার হয়ে ঋদ্ধির খেলা প্রায় নিশ্চিত। ঋদ্ধি এই বিষয়েই জানালেন, তিনি তো ‘প্রায়’ বলেছেন। এখনও ফাইনাল হয়নি। কাগজে কলমে সই না হওয়া অবধি সরকারিভাবে জানাতে চাইছেন না ঋদ্ধি। তবে ত্রিপুরায় প্লেয়ার কাম মেন্টর হিসেবে তিনি যে যোগ দিচ্ছেন, তা নিশ্চিত। দ্বৈত ভূমিকা প্রসঙ্গে জানালেন, ‘ছোট থেকে ক্রিকেট খেলেছি এবং অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি এটার জন্যই। অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। যেখানেই যাব, নিজের সেরাটাই দেওয়ার চেষ্টা করব।’
জাতীয় দল, বাংলা এবং আইপিএলে খেলার পর, ত্রিপুরার মতো ছোট রাজ্যে খেলবেন! ঋদ্ধি তা নিয়ে ভাবিত নন। পরিষ্কার বলছেন, ‘আমি খেলাটাকে উপভোগ করি। কোথায় বা কার হয়ে খেলছি, ম্যাটার করে না।’ বাংলা বনাম ত্রিপুরা ম্য়াচে কি ধর্মসংকটে পড়বেন! ত্রিপুরা প্রসঙ্গে না ঢুকে বললেন, ‘এখনও জানি না কোন দলে যাচ্ছি। তবে যে দলের হয়েই খেলি, আমি চাইব, আমার দল জিতুক।’