Afghanistan Football: ৩২জন মেয়ে আফগান ফুটবলার থেকে পালিয়ে পাকিস্তানে
ফুটবল খেলেন বলে তালিবান হুমকি দিয়েছিল ওই মেয়েদের। ২৬ আগস্ট কাবুলে বোমা বিস্ফোরণের পর পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে ওই মেয়েদের। এমনকি, তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
ইসলামাবাদ: যতই তালিবান (Taliban) তরফে বলা হোক, মেয়েদের অধিকার খর্ব হবে না। নতুন সরকার নাকি মেয়েদের খেলাধুলোকেও গুরুত্ব দেবে। যাই বলা হোক না কেন, আসলে আফগানিস্তান (Afghanistan) পাল্টায়নি। তালিবানি রোষে পড়ে দেশ ছেড়ে পাকিস্তানে পা দিলেন ৩২জন মেয়ে ফুটবলার (Female Footballer)। শুধু তাঁরাই নন, তাঁদের পরিবার নিয়েও রাজনৈতিক আশ্রয় নিলেন প্রতিবেশী দেশে।
ফুটবল (Football) খেলেন বলে তালিবান হুমকি দিয়েছিল ওই মেয়েদের। ২৬ আগস্ট কাবুলে বোমা বিস্ফোরণের পর পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে ওই মেয়েদের। এমনকি, তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও হুমকি দেওয়া হয়েছিল। আর তাই ৩২ জন মেয়ে ফুটবলার পাকিস্তানের কাছে আশ্রয় চেয়েছিলেন। জরুরিকালীন মানবিক ভিসা জারি করা হয় তাঁদের জন্য। তাই নিয়েই বুধবার পাকিস্তানে পৌঁছে গিয়েছেন তাঁরা। ৩২ জনের ওই টিমে রয়েছেন আফগানিস্তানের মেয়েদের জুনিয়র ফুটবল টিমের প্লেয়াররাও।
পেশায়ার হয়ে লাহোরে পৌঁছনোর কথা ওই ফুটবলারদের। যেখানে তাঁরা অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত থাকার সুযোগ পাবেন, যত দিন না আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ঠিক হয়। ভিসার আবেদন করা এবং তা মঞ্জুর হওয়ার পরও চিন্তায় ছিলেন ওই মেয়েরা। কী ভাবে পৌঁছবেন পাকিস্তান (Pakistan)। রাস্তায় তালিবানি রোষে পড়তে হতে পারে। তা হতেও পারত, যদি না একটি ব্রিটিশ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তাঁদের পাশে দাঁড়াত। ওই সংস্থাই কাবুল থেকে তাঁদের নিয়ে বর্ডার পার করে পৌঁছে দিয়েছেন পাকিস্তানে।
তালিবান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আফগানিস্তানে মেয়েদের পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করেছে। সব দিক থেকেই তাদের সুযোগ সুবিধা আরও সঙ্কুচিত করে ফেলা হয়েছে। চাকরি থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই মেয়েদের কোণঠাসা করে ফেলা হয়েছে। সেখান থেকেই মুক্তির রাস্তা যে নেই, সারা বিশ্ব সেটা বুঝতে পারছে। আর তাই, দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসা লোকের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।
আরও পড়ুন: Afghanistan Cricket: মেয়েদের ক্রিকেটে তালিবান-থাবা, রশিদদের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ বাতিল অস্ট্রেলিয়ার