FIFA World Cup 2022: সমকামিতার পতাকা নিয়ে রোনাল্ডোদের ম্যাচে এক দর্শক! তীব্র চাপে কাতার

কাতার বিশ্বকাপে এমনিই বিতর্ক চলছে। দর্শকদের পোশাক, আচরণ, মদ্যপান--- হাজারো নিষেধাজ্ঞা মরুদেশে। মেয়েদের ছোট পোশাক পরা কিংবা প্রকাশ্যে চুম্বন--- কোনও কিছুই কাতারে বৈধ নয়।

FIFA World Cup 2022: সমকামিতার পতাকা নিয়ে রোনাল্ডোদের ম্যাচে এক দর্শক! তীব্র চাপে কাতার
সমকামিতার পতাকা নিয়ে রোনাল্ডোদের ম্যাচে এক দর্শক! তীব্র চাপে কাতারImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 29, 2022 | 2:37 PM

দোহা: বিতর্কের কাতারে আরও এক নতুন বিতর্ক। বিশ্বকাপ শুরুর অনেক আগে থেকেই আলোচনায় কাতার। স্টেডিয়াম তৈরি থেকে শুরু করে নানা বিষয় নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা। সে সব মিটিয়ে মরুভূমির দেশে শেষ পর্যন্ত শুরু হয়েছে বিশ্বকাপ (FIFA World Cup 2022)। তাতেও রেহাই নেই কাতারের। বিশ্বকাপের ঠিক আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে বিয়ার বিতর্ক, পোশাক নিয়ে ফতোয়া, ‘করা যাবে না’র লম্বা তালিকা নিয়ে রীতিমতো সরব বহির্বিশ্ব। তার মধ্যে আবার সমকামিতা নিয়ে কাতারের রক্ষণশীল মনোভাব নিয়ে চলছে তীব্র সমালোচনা। এই পরিস্থিতিতে কাতারকে আরও কোণঠাসা করে ফেলল এক নতুন ঘটনা। পর্তুগাল-উরুগুয়ের (Portugal vs Uruguay) ম্যাচ চলাকালীন এক ব্যক্তি মাঠে ঢুকে পড়েন। যে বার্তা তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বকাপের মঞ্চে, তা নিয়ে নতুন করে শুরু হয়ে গিয়েছে ঝামেলা। কী সেই বিতর্ক, তুলে ধরল TV9Bangla

মারিও ফারি নামের এক ইতালিয়ান ফুটবলারের কাণ্ড রীতিমতো নড়িয়ে দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলকে। রোনাল্ডোদের ম্যাচ চলাকালীন তিনি মাঠে ঢুকে পড়েন। নীল রংয়ের সুপারম্যানের টি-শার্ট ছিল তাঁর গায়ে। তাতে লেখা ছিল ‘ইউক্রেনকে বাঁচাও’। এতেই শেষ নয়, ইরানের মেয়েদের পাশে দাঁড়িয়েও দিয়েছেন বার্তা। এই ঘটনা আরও চাপে ফেলে দিয়েছে কাতারকে। বিশ্বকাপের কোনও মাঠেই ‘লাভ ওয়ান’ ব্যান্ড পরে ঢোকা যাবে না, কড়া বার্তা দিয়ে রেখেছে কাতার। তার পরও কী করে এমন ঘটল, তা নিয়ে চলছে আলোচনা।

বিশ্বকাপের মঞ্চে অভিনব প্রতিবাদ জানানো এই মারিও ফারির সঙ্গে আবার ভারতীয় যোগ রয়েছে। ইতালির দ্বিতীয় ডিভিশনের ক্লাব ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাবে খেলেন। যা ভারতীয়দের ক্লাব। একই সঙ্গে মারিও কাজ করেন ইউক্রেনে। সেখান থেকে শরনার্থীদের পোল্যান্ডে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন। এমন কাজ তাঁর প্রথম নয়। এর আগেও বহুবার আন্তর্জাতিক ম্যাচ চলাকালীন মাঠে ঢোকার চেষ্টা করেছেন। সফলও হয়েছেন বেশ কয়েকবার।

মারিওর হাতে ছিল সমকামিতার প্রতীক রামধনু পতাকা। কাতারে আইনগত ভাবে স্বীকৃত নয় সমকামিতা। ফলে এ নিয়ে যে তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছে বিশ্বকাপের আয়োজকরা, সন্দেহ নেই। মারিওর জামায় লেখা ছিল ইরানের মেয়েদের সম্মান জানানোর দাবি। ইরানের হিজাব-বিরোধী আন্দোলনের পাশাপাশি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার প্রতিবাদ জানান। জামায় লেখা ছিল, ইউক্রেনকে বাঁচাও। মারিওকে সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীরা মাঠ থেকে বের করে দেন।

কাতার বিশ্বকাপে এমনিই বিতর্ক চলছে। দর্শকদের পোশাক, আচরণ, মদ্যপান— হাজারো নিষেধাজ্ঞা মরুদেশে। মেয়েদের ছোট পোশাক পরা কিংবা প্রকাশ্যে চুম্বন— কোনও কিছুই কাতারে বৈধ নয়। বিশ্বকাপের শুরুতে হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিয়ার বিক্রি। আলবিদা পার্কের ফ্যান জোনে শুধু মিলছে বিয়ার। বিতর্কের তালিকায় জুড়ে গেল মারিও ফারির নামও।