ISL:ডার্বির গুরুত্ব বোঝাতে আসরে নেতা অরিন্দম
শনিবারের ডার্বি (derby) ম্যাচ নিয়ে উন্মাদনা তুঙ্গে। দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে কথার লড়াই শুরু হয়েছে চায়ের আড্ডা থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায়। গত মরসুমের ফলাফল হোক বা নতুন মরসুমের প্রথম ম্যাচ, লাল-হলুদ (SC East Bengal) সমর্থদের যে একটু চাপেই থাকতে হচ্ছে সবুজ মেরুন জনতার সামনে।
মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের লড়াইয়ে শুধু আর একটা ম্যাচ নয় এটা ইস্টবেঙ্গলের কয়েকজন ফুটবলার জানেন। অরিন্দম, রফিক, হীরা, বিকাশরা জানেন বড় ম্যাচের গুরুত্ব। সেই মতোই তাঁরা বিদেশিদের বোঝাচ্ছেন, কোথায় ডার্বি (derby) ম্যাচটা অন্য ম্যাচগুলোর থেকে আলাদা। শহর থেকে অনেক দূরে তারা। সঙ্গে রয়েছে বায়ো বাবল। মাঠেও উপস্থিত থাকছেন না দর্শকরা। কলকাতায় খেলা হলে এই ম্যাচের আবহটা টের পেতেন পরোসেভিচরা। তবে চিমা চুকু বলছেন, তিনি বুঝতে পেরেছে কত বড় একটা ম্যাচ অপেক্ষা করে আছে শনিবার। নিজেদের সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপানোর কথা তাঁর মুখে।
গত মরসুমে আইএসএলে মঞ্চে প্রথমবার দেখা হয়েছিল দুই দলের। সেই দিনটাও ছিল ২৭ নভেম্বর। আজকের লাল-হলুদ অধিনায়ক তখন ছিলেন প্রতিপক্ষের শিবিরে। রয় কৃষ্ণা, ডেভিড উইলিয়ামসদের প্লাস পয়েন্ট থেকে মাইনাস পয়েন্ট, সব জানেন তিনি। সেটা নিশ্চয়ই শেয়ার করছেন কোচ ম্যানুয়েল দিয়াজের সঙ্গে। লাল-হলুদ কোচের সব থেকে বড় মাথা ব্যথা তাঁর দলের মাঝমাঠে। জামশেদপুরের বিরুদ্ধে যা চূড়ান্ত ফ্লপ ছিল। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে কি মাঝমাঠের রোগ সারিয়ে তোলা যাবে? চেষ্টার কসুর করছেন না তিনি।
শনিবারের ডার্বি ম্যাচ নিয়ে উন্মাদনা তুঙ্গে। দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে কথার লড়াই শুরু হয়েছে চায়ের আড্ডা থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায়। গত মরসুমের ফলাফল হোক বা নতুন মরসুমের প্রথম ম্যাচ, লাল-হলুদ সমর্থদের যে একটু চাপেই থাকতে হচ্ছে সবুজ মেরুন জনতার সামনে। অরিন্দমের নেতৃত্বে সেই চাপ থেকে বেড়িয়ে আসতে পারবে লাল-হলুদ? উত্তর দেবে শনিবারের ৯০ মিনিট।
আরও পড়ুন : ISL: তারকা নয়, দল হিসেবে খেলতে চাই: হাবাস