Sunil Chhetri: পুসকাসকে ছুঁয়ে ফেলা ভারতের সুনীলকে নিয়ে বিশেষ তথ্যচিত্র ফিফার
কলকাতার জামাইকে নিয়ে বিশেষ তথ্যচিত্র বানিয়ে ফেলল বিশ্ব ফুটবল নিয়ামক সংস্থা।
নয়াদিল্লি: আর্জেন্টিনা (Argentina), ব্রাজিলের (Brazil) বিরুদ্ধে কখনও খেলেননি তিনি। বিশ্বকাপেও (FIFA World Cup) কখনও দেখা যায়নি তাঁকে। তবু ভারতের সুনীল ছেত্রীকে (Sunil Chhetri) নিয়ে আগ্রহ কম নেই ফিফার। কলকাতার জামাইকে নিয়ে বিশেষ তথ্যচিত্র বানিয়ে ফেলল বিশ্ব ফুটবল নিয়ামক সংস্থা। প্রথম সারির আন্তর্জাতিক টিমে না খেললেও লিওনেল মেসি (Messi), ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Ronaldo), নেইমারদের দুনিয়ায় প্রবল ভাবে ঢুকে পড়েছেন তিনি। সদ্য ৮৪তম গোল করে ছুঁয়ে ফেলেছেন ফ্র্যাঙ্ক পুসকাসকে। যতই এশিয়ান ফুটবলেই সীমাবদ্ধ থাকুন সুনীল, তাঁর স্কোরিং এবিলিটিই রীতিমতো আলোচনা এনে ফেলেছে। বাকি কাজটা সেরে ফেলেছে ফিফা। আন্তর্জাতিক স্তরে আরও বেশি করে তাঁকে তুলে ধরার জন্য বিশেষ তথ্যচিত্র তৈরি করেছে তারা। যা খুব শিগগিরি প্রকাশ্যে আসবে।
একটি সূত্র বলছেন, ‘ফিফার তথ্যচিত্রের কিছুটা শুটিং করা হয়েছে বেঙ্গালুরুতে, যেখানে থাকেন সুনীল। কিছুটা করা হয়েছে দিল্লিতে। যেখানে তাঁর বাবা-মা থাকেন, যে শহরে বড় হয়ে উঠেছেন সুনীল। ফিফার আঞ্চলিক ফুটবলের অংশ হিসেবে তুলে ধরা হবে এটা। ভারতীয় ফুটবল নিয়ে কথা বলতে হলে যে সুনীল ছেত্রীকে নিয়ে আলোচনা করতে হবে, এটা তারই প্রমাণ।’
৩৭ বছরের সুনীলকে ঘিরে বিস্ময়ের শেষ নেই। বয়সকে তুড়ি মেরে যে ভাবে ধারাবাহিক পারফর্ম করে যাচ্ছেন তিনি, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে ভারতকে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। যোগ্য পর্বে সব মিলিয়ে মোট ৪টে গোল করেছেন তিনি। পুসকাসকে ছুঁয়ে ফেলার পর অনেকেই তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ইংল্যান্ডের জনপ্রিয় ক্লাব টটেনহ্যাম টুইট করে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতীয় টিমের অধিনায়ককে। তাঁর সামনে রয়েছেন মেসি। আর্জেন্টিনার সুপারস্টারের গোল সংখ্যা ৮৬। সুনীলকে ১০০ গোল করতে দেখতে চান তাঁর ভক্তরা। ভারতীয় ফুটবল তো বটেই, এশিয়ান ফুটবলেও চিরকাল সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে ভারতীয় তারকার নাম।
সুনীল অবশ্য রেকর্ড নিয়ে কোনও দিনই ভাবেন না। এখনও ভাবছেন না। ভারতকে টানা দ্বিতীয় বার এশিয়ান কাপের মূলপর্বে তোলার পর সুনীল বলেছেন, ‘রেকর্ড নিয়ে আমি কোনও দিনই ভাবি না। এ সব ব্যক্তিগত বিষয়ে মাইলস্টোনের দিকে তাকানোর কোনও জায়গা নেই। আমি মাঠে নেমে প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করার চেষ্টা করি। সেটাই শেষ ম্য়াচ পর্যন্ত করব।’