AFC Asian Cup Qualifier: যুবভারতীতে বিরাট সমর্থনের আহ্বান প্রীতম-সুনীলদের
বাকি তিনটে দলকে শুধু আমাদের বিরুদ্ধেই নয়, আপনাদের বিরুদ্ধেও খেলতে দিন। সেটা বিরাট পার্থক্য গড়ে দেবে। সুতরাং সম্ভব হলে আপনারা অবশ্যই আসুন, আপনারা যাতে ভালো অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরতে পারেন, সেই চেষ্টাই করবো।
কলকাতা: বাকি আর মাত্র তিনদিন। ৮, ১১ ও ১৪ জুন এএফসি এশিয়ান কাপের (AFC Asian Cup Qualifier) যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ। প্রস্তুতি তুঙ্গে ভারতীয় ফুটবল দলের (Blue Tigers)। দীর্ঘ সময় পর ঘরের মাঠের সমর্থকদের সামনে খেলার সুযোগ। কলকাতায় ম্যাচ। বাড়তি উত্তেজনায় ফুটছেন ঘরের ছেলে প্রীতম কোটাল (Pritam Kotal) এবং দীর্ঘ সময় ময়দানে খেলা সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri)। ফেডারেশনের এক ভিডিও বার্তায় প্রীতম বলছেন, ‘ভারতের জন্য এই তিন ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এএফসি এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন করা আমাদের জন্য খুবই জরুরি। দেশ হিসেবে এবং আমরা ফুটবলাররাও মিলে চেষ্টা করবো যোগ্যতা অর্জনের। প্রতিটা ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচ সবসময়ই বাড়তি গুরুত্ব রাখে। প্রতিটা ম্যাচ ধরে এগোতে চাই। প্রথমে কম্বোডিয়া, তারপর আফগানিস্তান ও হংকং। আমরা সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করবো।‘
3️⃣ days to go for AFC Asian Cup Qualifiers 2️⃣0️⃣2️⃣3️⃣ and our #BlueTigers ? defender @KotalPritam share his thoughts ahead of the match.
Watch the video here ?#BackTheBlue ? #IndianFootball ⚽ pic.twitter.com/EH8oHMFOTO
— Indian Football Team (@IndianFootball) June 5, 2022
যোগ্যতা অর্জনের কতটা সুযোগ দেখছেন প্রীতম? তাঁর মতে, ‘গ্রুপে প্রতিটা দলই শক্তিশালী, যে কেউ একে অপরকে হারাতে পারে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। নিজেদের ইতিবাচক দিকগুলোয় বেশি জোর দিতে হবে। মাঠে নেমে একশো শতাংশ দিতে হবে, মরিয়া চেষ্টা করতে হবে।‘ প্রায় তিন বছর পর ঘরের মাঠের দর্শকদের সামনে নীল জার্সিতে খেলবেন। প্রীতমের কথায়, ‘সমর্থকদের সামনে খেলার সুযোগ আমাদের কাছে বিরাট সুবিধা। বহুদিন পর আমরা সমর্থকদের সামনে খেলবো। সবাইকে অনুরোধ করছি, আপনারা মাঠে আসুন, আমাদের সমর্থন করুন। আপনারাই আমাদের দ্বাদশ ব্যক্তি। আপনাদের সামনে আমরা সর্বস্ব দিয়ে খেলার চেষ্টা করবো এবং দলকে এগিয়ে নিয়ে যাব।‘
শুরুটা ইংরেজিতে করলেও সমর্থকদের জন্য বাংলায়ও বার্তা অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীর। বলছেন, ‘শেষবার আমরা এখানে এসেছিলাম, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ ছিল, আপনারা প্রায় ৫০ হাজার জনের বেশি মাঠে ছিলেন, কতটা খুশি হয়েছিলাম, বোঝাতে পারবো না। তবে সেবার যেরকম সমর্থন পেয়েছিলাম, সেরকম ফল পাইনি। আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। সেই ম্যাচটা সত্যিই ভালো খেলতে পারিনি, কিন্তু আপনারা প্লিজ আবার আসবেন। আমরা এবার সব দিয়ে চেষ্টা করবো। আপনারা পাশে থাকলে আরও ভালো খেলার আত্মবিশ্বাস পাবো। বাকি তিনটে দলকে শুধু আমাদের বিরুদ্ধেই নয়, আপনাদের বিরুদ্ধেও খেলতে দিন। সেটা বিরাট পার্থক্য গড়ে দেবে। সুতরাং সম্ভব হলে আপনারা অবশ্যই আসুন, আপনারা যাতে ভালো অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরতে পারেন, সেই চেষ্টাই করবো।‘