Neymar: বিশ্বকাপের আগে চাপে ব্রাজিল, জালিয়াতির দায়ে অভিযুক্ত নেইমার
২৯ বছর বয়সী তারকা ফুটবলারের ওপর জালিয়াতির অভিযোগ এসেছে।
বার্সেলোনা: শিয়রে কড়া নাড়ছে ফুটবল বিশ্বকাপ। ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে কাতার বিশ্বকাপ (Qatar World Cup 2022) নিয়ে উত্তেজনার পারদ তরতরিয়ে বাড়ছে। এরই মধ্যে নেইমারকে (Neymar) নিয়ে ব্রাজিল (Brazil) শিবিরে চিন্তা বাড়ল। স্যান্টোস থেকে ২০১৩ সালে নেইমার যখন বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছিলেন, সেই সময় তাঁর আর্থিক চুক্তিতে নাকি অস্বচ্ছতা ছিল। তার ফলে নেইমারকে নিয়ে জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করেছিল ব্রাজিলের এক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ডিআইএস। আগামী সপ্তাহে সেই মামলার জন্যই কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারকে। এই মামলায় ডিআইএস দোষীদের পাঁচ বছর কারাবাসের শাস্তি দাবি করেছে। যা নেইমারের কাছে এবং ব্রাজিলের কাছে বড় ধাক্কা হতে পারে।
২৯ বছর বয়সী তারকা ফুটবলারের ওপর জালিয়াতির অভিযোগ এসেছে। সোমবার বার্সেলোনায় এই মামলার শুনানি শুরু হবে। নেইমারের সঙ্গে এই মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে রয়েছেন তাঁর বাবা-মা, দুই ক্লাব বার্সেলোনা ও স্যান্টোস এবং ক্লাব দুটির প্রাক্তন তিন সভাপতি। বার্সার প্রাক্তন দুই সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ, স্যান্দ্রো রসেল এবং স্যান্টোসের প্রাক্তন সভাপতি ওদিলো রদ্রিগেজ।
নেইমার স্যান্টোসে থাকাকালীন তাঁর ৪০ শতাংশ স্বত্বের মালিক ছিল ডিআইএস। সেই প্রতিষ্ঠানটির অভিযোগ, ব্রাজিলিয়ান ক্লাব থেকে নেইমারের বার্সেলোনায় যোগদানের সময় দল বদলের আসল অঙ্কটি প্রকাশ করা হয়নি। ফলে, ডিআইএসের স্বত্ব অনুযায়ী যে পরিমাণ টাকা পাওয়ার কথা ছিল, তারা তা পায়নি। পিএসজি তারকা নেইমার এই অভিযোগ অস্বীকার করে ২০১৭ সালে স্পেনের উচ্চ আদালতে আপিল করেন। এরপর সেখানে তিনি হেরে যাওয়ার পর বিচারের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
ডিআইএসের দাবি, ২০১৩ সালে নেইমারকে ৫৭.১ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে কিনেছিল বার্সেলোনা। তখন ৪০ মিলিয়ন ইউরো পেয়েছিল নেইমারের পরিবার। সেখান থেকে ২০ শতাংশ অর্থাৎ ১৭.১ মিলিয়ন পায় ডিআইএস। কিন্তু তাদের অভিযোগ, নেইমারকে প্রকৃত মার্কেট ভ্যালুর থেকে কম দামে কিনেছিল বার্সা।
নেইমারের দুই বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১ কোটি ইউরো জরিমানার দাবি করেছেন ডিআইএসের পক্ষের আইনজীবীরা। এ ছাড়া বার্সার ওই সময়ের সভাপতি রসেলের বিরুদ্ধে পাঁচ বছরের কারাবাস এবং কাতালান ক্লাবটিকে ৮৪ লাখ ইউরো জরিমানার দাবিও করা হয়েছে। বার্সেলোনায় সোমবার আদালতের প্রথম দিনের কার্যক্রমে স্বশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে নেইমারকে। এই মামলার শুনানি দুই সপ্তাহ ধরে চলতে পারে।