Diego Maradona: প্রথম মৃত্যবার্ষিকীর দু’দিন আগে ধর্ষনের দায়ে অভিযুক্ত মারাদোনা

বুয়েনস আইরেসে সাংবাদিক সম্মেলনে মাভিস বলেছেন, 'মারাদোনা আমার মুখ চেপে ধরে ধর্ষন করেছিল। ওই ঘটনা নিয়ে আজও ভাবতে আমার ভালো লাগে না। মেয়ে হিসেবে আমি থামানোর চেষ্টা করেছিলাম ওকে। কিন্তু আমার সব কিছু খোয়া গিয়েছিল। খুব কঠিন পরিস্থিতি ওটা। ওই রকম ঘটনা কোনও বাচ্চা মেয়ের সঙ্গে ঘটলে, সে কার্যত সবই হারিয়ে ফেলে।'

Diego Maradona: প্রথম মৃত্যবার্ষিকীর দু'দিন আগে ধর্ষনের দায়ে অভিযুক্ত মারাদোনা
মারাদোনার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ। ছবি: টুইটার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 23, 2021 | 4:34 PM

হাভানা: আর দু’দিন পর প্রথম মৃত্য়ুবার্ষিকী দিয়েগো মারাদোনার (Diego Maradona)। গত বছর ২৫ নভেম্বর মারা গিয়েছেন কিংবদন্তি ফুটবলার। আর তার আগেই মারাদোনা এক নতুন বিতর্কে। কিউবার এক মহিলা দাবি করলেন, তাঁকে ১৬ বছর বয়সে ধর্ষন করেছিলেন ফুটবলের রাজপুত্র। এই বিতর্ক ঘিরে নতুন করে উত্তাল ফুটবল বিশ্ব।

ওই মহিলা, মাভিস আলভারেসের (Mavys Álvarez) বয়স এখন ৩৭। দু’দশক আগে ধর্ষনের শিকার হয়েছিলেন তিনি। ২০ বছর আগের ঘটনা হলেও আর্জেন্টিনার মিনিস্ট্রি অফ জাস্টিস কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মাভিস। ওই ঘটনা তদন্ত করে তাঁকে ন্যায় বিচার দেওয়া হোক, দাবি তুলেছেন তিনি। সোমবার এ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন মাভিস।

২০ বছর আগের ওই ঘটনা খুলে বলেছেন মাভিস। দাবি করেছেন, হাভানার যে ক্লিনিকে থাকতেন মারাদোনা, সেখানে ঘটেছিল ঘটনাটা। তাঁর মা তখন ছিলেন ঠিক পাশের রুমেই। বুয়েনস আইরেসে সাংবাদিক সম্মেলনে মাভিস বলেছেন, ‘মারাদোনা আমার মুখ চেপে ধরে ধর্ষন করেছিল। ওই ঘটনা নিয়ে আজও ভাবতে আমার ভালো লাগে না। মেয়ে হিসেবে আমি থামানোর চেষ্টা করেছিলাম ওকে। কিন্তু আমার সব কিছু খোয়া গিয়েছিল। খুব কঠিন পরিস্থিতি ওটা। ওই রকম ঘটনা কোনও বাচ্চা মেয়ের সঙ্গে ঘটলে, সে কার্যত সবই হারিয়ে ফেলে।’

মারাদোনা মারা যাওয়ার আগে তাঁর আইনজীবী ছিলেন যিনি, সেই মাতিয়াস মোর্লা এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। মারাদোনা বরাবর বিতর্কিত চরিত্র। মৃত্যুর পরও যে তাঁকে বিতর্ক পিছু ছাড়বে না, তা অবশ্য আন্দাজ করা যায়নি। প্রশ্ন হল, এতদিন পর কেন এ নিয়ে মুখ খুললেন মাভিস? কিউবা সরকারের জন্যই যে পারেননি, তা সহজেই অনুমেয়। ফিদেল কাস্ত্রো ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন মারাদোনার।

বয়সে অনেক বড় হলেও ওই ঘটনার পরও বেশ কিছুদিন মারাদোনার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল মাভিসের। যা নিয়ে তিনি বলছেন, ‘আমার পরিবার কখনওই এটা মেনে নিতে পারত না, যদি না কিউবা সরকার এর মধ্যে ঢুকে পড়ত। আমার পরিবার বাধ্য হয়েছিল অন্য ভাবে সম্পর্কটা মেনে নিতে।’

কিউবা সরকার এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। মাভিস কিন্তু স্পষ্ট করে দিয়েছেন, পুরনো ঘটনা নতুন করে তুলে আনার পিছনে কারণই হল, তাঁর মতো অসংখ্য মেয়ে, যাঁরা দিনের পর দিন নির্যাতিক হচ্ছেন, অপরাধের শিকার হচ্ছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়াতে চান। যাতে তাদের মেয়েবেলা কেউ কেড়ে নিতে না পারে।

আরও পড়ুন: India vs New Zealand: টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই ধাক্কা ভারতীয় শিবিরে