East Bengal FC: কনস্ট্যান্টাইনের রক্ষণাত্মক মানসিকতাতেই নিভল মশাল

কেরালা ম্যাচের আগের দিন কনস্ট্যান্টাইন হুঙ্কার দেন, তাঁরা এখানে হারতে আসেননি। টেবিলের শেষ স্থানেও থাকবে না তাঁর দল। এ রকম স্ট্র্যাটেজি দেখলে চিন্তার ভাঁজ ফেলতে বাধ্য সমর্থকদের। ব্রিটিশ কোচ যত তাড়াতাড়ি নিজের ভুল শোধরাবেন ততই এই দলের জন্য মঙ্গল।

East Bengal FC: কনস্ট্যান্টাইনের রক্ষণাত্মক মানসিকতাতেই নিভল মশাল
East Bengal FC: কনস্ট্যান্টাইনের রক্ষণাত্মক মানসিকতাতেই নিভল মশালImage Credit source: East Bengal Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 07, 2022 | 10:32 PM

কলকাতা: না। ছবিটা বদলাল না। আইএসএল (ISL) অভিযানের শুরুতেই সেই হারের মুখে পড়ল ইস্টবেঙ্গল। হার, ড্র, হার। ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) আইএসএল অভিযানের পরিসংখ্যান। কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে ১-৩ গোলে বিধ্বস্ত লাল-হলুদ। প্রথমার্ধে লড়াই চালাল। দ্বিতীয়ার্ধে সেই লড়াই থেকে কয়েক যোজন দূরে সরে গেল ইস্টবেঙ্গল। শুধু রক্ষণ সামলে কি আর ফুটবল হয়! ব্রিটিশ কোচের দল গঠন নিয়ে প্রথম দিনই থাকল প্রশ্ন। অতি রক্ষণাত্মক স্ট্র্যাটেজি নিয়ে দল সাজালেন কনস্টানটাইন। আর তারই মাসুল গুনতে হল লাল-হলুদকে।

অনেক দেরিতে দল তৈরি করেছে ইস্টবেঙ্গল। আইএসএলের অন্যান্য দলগুলোর থেকে কিছুটা পিছিয়েই আছে স্টিফেনের দল। তবু হাতে থাকা ২৭ জনকে নিয়েই ২০ জনের স্কোয়াড তৈরি করতে হয়। আর সেখান থেকে বাছাই করতে হয় প্রথম একাদশ।

ইভান গঞ্জালেজ আর কিরিয়াকু দুই ডিফেন্ডারকে রেখেই এগারো জনের দল সাজান কনস্টানটাইন। ডুরান্ড কাপ আর আইএসএলের মধ্যে অনেক ফারাক। সেটা টের পেলেন কিরিয়াকু। ইস্টবেঙ্গলের দুটো উইংই এ দিন শুরু থেকে নিষ্প্রভ ছিল। মাঝমাঠে একা লিমাই চেষ্টা চালালেন। ক্লেটন সিলভা বলের জোগানই পেলেন না। আক্রমণের জন্য ইস্টবেঙ্গলের ডান প্রান্তকেই বেছে নেয় কেরালা ব্লাস্টার্স। শুরু থেকেই একের পর এক ভুল করেন অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়। গোলকিপার কমলজিতের তৎপরতায় ব্যবধান বাড়েনি। প্রথম গোল হজমের সময় সঠিক জায়গাতেই পৌঁছতে পারলেন না অঙ্কিত। দ্বিতীয় গোল হজমের সময়ও একসঙ্গে কেটে গেল ৩ ডিফেন্ডার। দ্বিতীয় গোলও কেরল তুলে নেয় ইস্টবেঙ্গলের ডান দিকের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে।

তুহিন দাস এখনও পরিণত নন। তবু তাঁকে ৮০ মিনিট পর্যন্ত রেখে দিলেন স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন। সুমিত পাসিকে নিয়ে যত কম বলা যায় ততই ভালো। ভিপি সুহেরের ফর্ম একেবারে তলানিতে। ডহার্তিকে মাঠে নামালেন ৮৯ মিনিটে। ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার এলিয়ান্দ্রো মাঠে নামলেন ৮০ মিনিটে। এই দলের অধিকাংশ ফুটবলারেরই ফিটনেসের অভাব। পরিবর্তনগুলো সঠিক সময়ে করলে হয়তো ফলাফল অন্যরকম হতেই পারত।

রিজার্ভ বেঞ্চে ২ জন গোলকিপারকে রেখে দিলেন স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন। রাকিপ, অনিকেত, আঙ্গুসানা, মহেশ, হিমাংশুরা জায়গাই পেলেন না। কেরালা ম্যাচের আগের দিন কনস্ট্যান্টাইন হুঙ্কার দেন, তাঁরা এখানে হারতে আসেননি। টেবিলের শেষ স্থানেও থাকবে না তাঁর দল। এ রকম স্ট্র্যাটেজি দেখলে চিন্তার ভাঁজ ফেলতে বাধ্য সমর্থকদের। ব্রিটিশ কোচ যত তাড়াতাড়ি নিজের ভুল শোধরাবেন ততই এই দলের জন্য মঙ্গল।