East Bengal: বোর্ডে ক্লাবের ৩ ডিরেক্টর থাকার সম্ভাবনা বাড়ছে
নতুন কোম্পানির বোর্ড অব ডিরেক্টরে ৩ জন প্রতিনিধিকে পাওয়ার ব্যাপারে বেশ আশাবাদী ইস্টবেঙ্গল। ক্লাব কর্তারা মনে করছেন, লগ্নিকারী সংস্থার এ বিষয়ে কোনও আপত্তি না থাকারই কথা। সেই সম্ভাবনাও অনেকটা বাড়ছে।
কলকাতা: ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)-ইমামি (Emami) চূড়ান্ত চুক্তি কবে? এই উত্তরের সন্ধানেই লাল-হলুদ সমর্থকরা। গত ২১ জুন ইস্টবেঙ্গলকে চুক্তিপত্রের খসড়া পাঠায় লগ্নিকারী সংস্থা। ২৬ তারিখ ইনভেস্টরকে একটি প্রস্তাবিত চুক্তিপত্রের খসড়া পাঠায় ক্লাব। ২৯ জুন একটি বৈঠকে বসে ইস্টবেঙ্গল আর ইমামি। চুক্তিপত্র নিয়ে আলোচনা করে দুই পক্ষই। ১ জুলাই, রথযাত্রার দিন ক্লাবকে সংশোধিত চুক্তিপত্রের খসড়া পাঠায় ইনভেস্টর। আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনার পর শনিবার রাতে লগ্নিকারী সংস্থাকে সবুজ সংকেত দেয় ক্লাব। কিন্তু প্রশ্ন একটাই, কবে চূড়ান্ত ভাবে গাঁটছড়া বাঁধবে ইমামি-ইস্টবেঙ্গল? ট্রান্সফার উইন্ডো খুলে গিয়েছে প্রায় একমাস হতে চলল। সমস্ত দলই ঘর গুছিয়ে ফেলেছে। ইস্টবেঙ্গলে সেই কাজ এখনও থমকে। ফুটবলারদের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু হলেও, ক্লাব-ইনভেস্টরের চূড়ান্ত সই না হওয়ায় থমকে আছে সেই কাজ। একই সঙ্গে ট্রান্সফার ব্যানের কবলেও পড়ে আছে ক্লাব। যদিও সেই বিষয়টা পুরনো ইনভেস্টর শ্রী সিমেন্টের উপরেই ছেড়েছে ইস্টবেঙ্গল।
সূত্রের খবর, ৭৬-২৪ শতাংশ শেয়ারেই গাঁটছড়া বাঁধছে চলেছে ইস্টবেঙ্গল আর ইমামি। শুরুতে ফুটবল স্বত্বের ৮০ শতাংশ শেয়ার চেয়ে চুক্তিপত্রের খসড়া পাঠিয়েছিল লগ্নিকারী সংস্থা। ক্লাব প্রাথমিক ভাবে নিজেদের জন্য আরও কিছুটা বেশি শেয়ার চেয়েছিল। শোনা যায়, দুই তরফের আলোচনার পরই ৭৬-২৪ শতাংশ শেয়ারে রফা হয়। এ ছাড়া বোর্ড অফ ডিরেক্টরে ৩ জন প্রতিনিধি রাখতে চেয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। ২ জন প্রতিনিধি চূড়ান্ত। আলোচনার মাধ্যমেই সেটাকে ২ থেকে বাড়িয়ে ৩ করার চেষ্টায় ক্লাব। নতুন কোম্পানির বোর্ড অব ডিরেক্টরে ৩ জন প্রতিনিধিকে পাওয়ার ব্যাপারে বেশ আশাবাদী ইস্টবেঙ্গল। ক্লাব কর্তারা মনে করছেন, লগ্নিকারী সংস্থার এ বিষয়ে কোনও আপত্তি না থাকারই কথা। সূত্রের খবর, বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তারা মৌখিক ভাবে এখনও পর্যন্ত তাতে সম্মতি জানিয়েছেন। কাগজে কলমে সেই সম্ভাবনাও নাকি অনেকটা বাড়ছে।
পারিবারিক অনুষ্ঠানে ব্যস্ত রয়েছে বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তারা। শোনা যাচ্ছে, আর ১-২ দিনের মধ্যেই ক্লাবের সঙ্গে আলোচনা করে দুই পক্ষের আইনজীবীরা মিলে চূড়ান্ত চুক্তিপত্র তৈরি করবেন। এরপরই সই সাবুদ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। সব কিছু ঠিকঠাক চললে, আসন্ন সপ্তাহের মাঝামাঝিই হয়তো দুই পক্ষ আনুষ্ঠানিক ভাবে গাঁটছড়া বাঁধতে পারে।
আরও পড়ুন: KL Rahul: স্পোর্টস হার্নিয়ার সার্জারি রাহুলের, আপনার হলে কী করবেন?