East Bengal Club: ‘ফুটবল চলুক, সই তো পরেও করা যাবে’

সমর্থকদের দু'দলে ভাগ হয়ে এই লড়াই দেখার পর ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অন্যতম কর্তা সন্তোষ ভট্টাচার্যের (বাবু) বক্তব্য কিন্তু বেশ পরিস্কার।

East Bengal Club: 'ফুটবল চলুক, সই তো পরেও করা যাবে'
East Bengal Club: 'ফুটবল চলুক, সই তো পরেও করা যাবে'
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 21, 2021 | 7:28 PM

কলকাতা: লেসলি ক্লডিয়াস সরণি বুধবার বিকেলে দেখল এক অন্য ছবি। শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবে যে ঘটনা বিরল। লেসলি ক্লডিয়াস সরণি বিভিন্ন সময় ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান (East Bengal vs Mohun Bagan) সমর্থকদের ঝামেলা দেখেছে। হাতাহাতিও দেখেছে। কিন্তু সেখানে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) সমর্থকদের দুটো ভাগে ভাগ হতে দেখেনি কখনও। দুই গোষ্ঠীতে ভাগ হয়ে গিয়েছেন ক্লাবেরই সমর্থকরা। ইস্টবেঙ্গলের শাসক দলের সমর্থক যারা তারা রয়েছে এক দলে। অপর দলে রয়েছে ইস্টবেঙ্গলরে শাসক দলের বিরোধীরা। এই লড়াই লাল-হলুদ শিবিরে চিরকাল এক দাগ তৈরি করে রাখল।

সমর্থকদের দু’দলে ভাগ হয়ে এই লড়াই দেখার পর ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অন্যতম কর্তা সন্তোষ ভট্টাচার্যের (বাবু) বক্তব্য কিন্তু বেশ পরিস্কার। এই বিষয়ে তিনি বলছেন, “এই রকম একটা ঘটনা ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের জন্য একটা খারাপ বিজ্ঞাপণের ছবি। কারণ, ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে মারামারি করছে, যেটা একটা ক্লাবের পক্ষে খুব খারাপ বিজ্ঞাপণ বলেই আমি মনে করি।”

ক্লাব কর্তারা কেন শ্রী সিমেন্টের চুক্তি পত্রে সই করছেন না, সেটা দেখার জন্য সমর্থকেরও স্বাগত জানাচ্ছেন লাল-হলুদের কর্তারা। এই ব্যাপারে সন্তোষ ভট্টাচার্য বলেন, “এটা কখনোই কাম্য নয়। আমরা চাই সমর্থকদের যারা বিরোধিতা করছে তাদের কোন প্রতিনিধি এসে চুক্তিপত্র দেখে যান। তারপর এই বিষয়টা নিয়ে বিক্ষোভ দেখালে, ধর্না দিলে ঠিক আছে। সব থেকে আগে দরকার তারা এসে চুক্তিপত্রটা ভালো করে পড়ুক। কেন সই করা হচ্ছে না, তার কারণগুলো সবাই জানুক। তার পর যা করার করুক।”

২৩ তারিখ অবধি ক্লাবের প্রাক্তনীদের ক্লাবের তরফে চুক্তিপত্র দেখার জন্য আমন্ত্রন জানানো হয়েছে। তার পর তাঁরা সংবাদমাধ্যমে বা বিভিন্ন ওপেন ফোরামে কথা বলতে পারেন। ৩১ জুলাই অবধি ইস্টবেঙ্গলের হাতে সময় রয়েছে জানানোর, যে তারা এই চুক্তিপত্রে রয়েছে কিনা। এই মর্মে ইনভেস্টরদের প্রতিও ক্লাবের বক্তব্য খুব স্পষ্ট। এ ব্যাপারে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অন্যতম কর্তা সন্তোষ ভট্টাচার্য (বাবু) বলেন, “দেখুন অযথা সময় নষ্ট হচ্ছে। যারা ইনভেস্টর তাদের উদ্দেশ্যে আমরা বলব, আপনাদের একগুয়েমি বা এক জায়গায় আটকে থাকাটা বন্ধ করতে হবে। সই করতে বলা হচ্ছে বার বার। সই না করলে কোনও কথা হবে না বলা হচ্ছে। এই একগুয়েমিটা বন্ধ করতে হবে। আপনারা আসুন আলোচনার মাধ্যমে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপে এগোই। কয়েকটা ধারা আমরা ছেড়ে দিই, কয়েকটা মেনে নিই। এভাবে আলোচনার মাধ্যমে আমাদের এগিয়ে যাওয়া দরকার। আপনারা যে ধারাগুলো দিয়েছেন তার সবকটাই মানতে হলবে এই একগুয়েমিটা ছাড়তে হবে। একটা নমনীয়তা তৈরি করে আমাদের আলোচনায় বসা দরকার।”

কিন্তু একটার পর একটা আলোচনা হতে থাকলে আবার আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের খেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। তাই আপাতত ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অন্যতম কর্তা সন্তোষ ভট্টাচার্যের (বাবু) বক্তব্য, “আলোচনার রাস্তা খোলা থাকুক। সই তো যখন খুশি করা যায়। ইনভেস্টরদের দল গঠন করা দরকার। দল গঠন করার প্রক্রিয়াটা সেরে ফেলা দরকার। আলোচনা, সই সেসব কিছুই পরে করা যাবে।”

আরও পড়ুন: East Bengal Club: ইস্টবেঙ্গলে ধুন্ধুমার, পুলিশের লাঠিতে আহত সমর্থকরা, গ্রেপ্তার ৪