East Bengal Club: ইস্টবেঙ্গলে ধুন্ধুমার, পুলিশের লাঠিতে আহত সমর্থকরা, গ্রেপ্তার ৪

লাল-হলুদ শিবিরের সমর্থকরাই ভাগাভাগি হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য পুলিশ হস্তক্ষেপ করলেও, তা সামাল দেওয়া দুস্কর হয়ে ওঠে। লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয় পুলিশ।

East Bengal Club: ইস্টবেঙ্গলে ধুন্ধুমার, পুলিশের লাঠিতে আহত সমর্থকরা, গ্রেপ্তার ৪
East Bengal Club: ইস্টবেঙ্গলে ধুন্ধুমার, পুলিশের লাঠিতে আহত সমর্থকরা, গ্রেপ্তার ৪
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 21, 2021 | 5:33 PM

কলকাতা: চুক্তি বিতর্কে তুলকালাম ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। পোস্টারে, স্লোগানে ছয়লাপ লেসলি ক্লডিয়াস সরণি। শুধু তাই নয়, নজিরবিহীন ভাবে দুই গোষ্ঠীতে ভাগ হয়ে গিয়েছেন ক্লাবেরই সমর্থকরা। পুলিশের লাঠি চার্জে আহত হয়েছেন বেশ কিছু সমর্থক। গ্রেপ্তার করা হয়েছে চারজনকে।

শ্রী সিমেন্টের (Shree Cement) পাঠানো চুক্তিপত্রে সই না করার সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই নিয়েছে ক্লাব সদস্যরা। তার পর থেকেই একটাই প্রশ্ন জোরালো হয়েছে, ইস্টবেঙ্গলে ফুটবল কবে ফিরবে? আজ, বুধবার বিকেল ৩টে থেকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সমর্থকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয় পুলিশ। বিক্ষোভ থামানোর জন্য নামানো হয় মাউন্টেড পুলিশ। বেশ কয়েকজন সমর্থক আহত হয়েছে।

ফেডারেশনের সচিব কুশল দাস টিভি নাইন বাংলাকে বললেন, ‘ইস্টবেঙ্গলের এই বিক্ষোভ শুনে খুবই খারাপ লাগছে। কিন্তু এর সমাধান ফেডারেশনের হাতে নেই। ক্লাব আর ইনভেস্টারকেই সমস্যা মেটাতে হবে। এটুকু বলতে পারি, আইএসএল খেলার জন্য হাতে যথেষ্ট সময় নেই ইস্টবেঙ্গলের। তাই যত দ্রুত সম্ভব সমস্যা মেটাতে হবে ওদের।’

ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে চুক্তি জটেই ইস্টবেঙ্গলের আইএসএলে (ISL) খেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে এক বেনজির ঘটনা ঘটল। লাল-হলুদ শিবিরের সমর্থকরাই ভাগাভাগি হয়ে গিয়েছে। একদল সমর্থকরা শাসক দলকে সমর্থন জানাচ্ছে। তাদের মতে, ক্লাব কর্তারা শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে চুক্তি না করে ঠিকই করছে। কারণ, তারা মনে করে শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে চুক্তি করা ক্লাব বিক্রি করে দেওয়ার সমান। অপর সমর্থকগোষ্ঠীর দাবি, এই চুক্তিজটে আটকে থাকলে ইস্টবেঙ্গল তো ফুটবলই খেলতে পারবে না। এই পরিস্থিতিতে ক্লাবের সামনে সমর্থরা বিক্ষোভ দেখান।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশ হস্তক্ষেপ করলেও, তা সামাল দেওয়া দুস্কর হয়ে ওঠে। লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয় পুলিশ। যার জেরে কয়েকজন সমর্থক আহতও হয়। কয়েকজন সমর্থক গুরুতর আহত হওয়ায় অ্যাম্বুলেন্সে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় ২ ঘণ্টা ঘরে বিক্ষোভ দেখায় সমর্থকরা।