FIFA World Cup: কাতার বিশ্বকাপে সাতরঙা আর্মব্যান্ড পরবেন না ফ্রান্স দলের অধিনায়ক লরিস
Hugo Lloris: ফিফার নিময় এবং ফুটবল ফেডারেশনের অনুমোদন ব্যতীত কোনও কাজ করতে চান না ফ্রান্সের অধিনায়ক হুদো।
প্যারিস: কাতারের পরিযায়ী শ্রমিকদের অধিকার লঙ্ঘনের পাশাপাশি সমকামিতা নিয়েও কাতারের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ তুলেছে ইউরোপের দেশগুলি। এ নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচিও নিয়েছে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ইউরোপের দেশগুলি। সমকামীদের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে সাতরঙা আর্মব্যান্ড পরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কাতার বিশ্বকাপে তা করার পথ থেকে সরে এলেন ফ্রান্সের অধিনায়ক হুগো লরিস। এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ বিষয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন তিনি।
ইউরোপের অংশগ্রহণকারী ১৩টি দেশের মধ্যে ৮টি দেশ ‘ওয়ানলাভ’ নামে একটি কর্মসূচি নিয়েছিল। নেদারল্যান্ডে শুরু হয়েছিল এই অভিযান। কিন্তু এই বিষয়গুলি নিয়ে কাতারে প্রতিবাদ দেখানোর বিষয়টি ভালভাবে দেখছে না ফিফা। ফিফার নিময় এবং ফুটবল ফেডারেশনের অনুমোদন ব্যতীত কোনও কাজ করতে চান না ফ্রান্সের অধিনায়ক হুদো। সে জন্যই হাতে সাতরঙা আর্মব্যান্ড বাধা থেকে বিরত থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। কারণ বিশ্বকাপে খেলোয়াড়রা যা পরে মাঠে নামবেন তা সরবরাহ করে ফিফা। অধিনায়কদের জন্য তাঁদের নিজস্ব আর্মব্যান্ড রয়েছে। তা না পরে সাতরঙা ব্যান্ড পরলে ফিফার রোষে পড়তে হতে পারে। তা মাথায় রেখেই লরিসের এই ইঙ্গিত।
ফ্রান্সের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে অনুশীলনের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসেছিলেন লরিস। সেখানেই সংশয়ী লরিস আর্মব্যান্ডের বিষয়ে বলেছেন, “কোনও কিছু শুরুর আগে ফিফা এবং ফ্রেঞ্চ ফেডারেশনের সম্মতি প্রয়োজন। এ বিষয়ে অবশ্যই আমার ব্যক্তিগত মতামত রয়েছে। এবং সেটা ফ্রেঞ্চ ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টের মতের সঙ্গে প্রায় একই।” দিন কতক আগেই ফ্রেঞ্চ ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট নোয়েল লে গ্রেট জানিয়েছিলেন, আমাদের উপযাজক হয়ে অন্য দেশকে জ্ঞান দেওয়ার দরকার নেই।
অন্য দেশে খেলতে গিয়ে সে দেশের সংস্কৃতিকে সম্মান করার কথা এ দিন উঠে এসেছে লরিসের কথায়। তিনি বলেছেন, “ফ্রান্সে আমরা বিদেশিদের স্বাগত জানাই তখন আমাদের দেশের রীতিনীতি ও সংস্কৃতিকে সম্মানের কথা বলি। আমাদেরও একই কাজ করা উচিত যখন আমরা কাতারে যাব। আমি তাঁদের নীতির সঙ্গে সহমত বা বিপক্ষে সেটা অন্য আলোচনা। কিন্তু আমাদের সম্মান জানানো উচিত।”