Lionel Messi: নজিরে নজর কাড়লেন মেসি, পেরোলেন গোলের সেঞ্চুরি, কীভাবে!
মেসির সম্পর্কে নতুন করে কী বলা উচিত, জানি না। খুব কঠিন কাজ। ওকে বর্ণনা করার আর কোনও বিশেষণ বাকি নেই। শুধু এটুকু বলতে পারি, ওকে ধন্যবাদ। ওর খেলা দেখতে পাওয়াটা আনন্দের।
প্যামপ্লোনা (স্পেন) : জুয়ান অগাস্টিন গার্সিয়া। নামটি কারও মনে থাকার কথা নয়। তরুণ লিওনেল মেসির (Lionel Messi) প্রথম শিকার। ২০০৪ সালের, ২৯ জুন। অনূর্ধ্ব ২০ আর্জেন্টিনা বনাম প্যারাগুয়ে ম্যাচ। ৮-০ গোলে জিতেছিল আর্জেন্টিনা (Argentina)। মেসির অনবদ্য ফ্রি-কিক থেকে পঞ্চম গোলটি করেছিলেন পাবলো ভিত্তি। ম্যাচের সপ্তম গোলটি করেছিলেন লিওনেল মেসি। মাঝমাঠ থেকে চার-পাঁচ জনকে পিছনে ফেলে, গোলকিপারকে কাটিয়ে বাঁ পায়ের শটে গোল। তেমনই এস্তোনিয়ার (Estonia) গোলরক্ষক মাতভেই ইগোনেনের নামটাও কারও মনে থাকবে না। যেটা থেকে যাবে, লিওনেল মেসির পাঁচ গোলের মুহূর্ত। সোমবার এস্তোনিয়ার বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচে (FIFA Friendly) ৫-০ গোলে জিতল আর্জেন্টিনা। পাঁচটি গোলই সর্বকালের অন্যতম সেরা লিওনেল মেসির।
এক এবং অনেকের মাঝেই ১০০ গোলের মাইলফলক পার করলেন আর্জেন্টিনা জার্সিতে। কীভাবে সেই একশো গোল! সঠিক নম্বরটি ১০২। শতকের মাইলফলক পেরোতে হ্যাটট্রিক প্রয়োজন ছিল ১০ নম্বর জার্সির আর্জেন্টাইন তারকার। স্পেনের প্যামপ্লোনায় প্রীতি ম্যাচে দলের পাঁচটি গোলই করলেন তিনি। ১০২ গোলের মধ্যে ৮৬টি আর্জেন্টিনা সিনিয়র দলের হয়ে। বাকি গোলগুলি অনূর্ধ্ব ২০ স্তর, প্রীতি ম্যাচ, বেজিং অলিম্পিক সব মিলিয়ে। সাতবার প্রতিপক্ষ দলের বিরুদ্ধে তিনটি করে গোল করেছিলেন। প্রতিপক্ষগুলি হল-বলিভিয়া, ব্রাজিল, সুইৎজারল্যান্ড, গুয়াতেমালা, পানামা, ইকুয়েদর এবং হাইতি। কিন্তু চার গোল? করেননি। এবার এস্তোনিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি পাঁচ গোল। কাতার বিশ্বকাপের আগে নিঃসন্দেহে মেসির এই পারফরম্যান্স আত্মবিশ্বাস জোগাবে আর্জেন্টিনা সতীর্থদের। সম্প্রতি দু’টি আন্তর্জাতিক ট্রফি জিতেছেন মেসি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর কোপা আমেরিকা এবং কিছুদিন আগেই ফিনালিসমা জেতে মেসির আর্জেন্টিনা।
ক্লাবের হয়ে অনবদ্য একটা মরসুম কাটিয়েছেন মেসি। এবার দেশের জার্সিতেও সোনালী সময় চলছে তাঁর। কাগজে কলমে অনেকটা পিছিয়ে এস্তোনিয়া। ইউরোপের দেশ হলেও ফিফা ক্রমতালিকায় ১১০ নম্বরে রয়েছে এস্তোনিয়া। তাদের বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনার ৫-০ জয় হয়তো বিরাট কিছু নয়। তবে এক ম্যাচে ক্লাব এবং দেশের জার্সিতে কেরিয়ার সেরা পাঁচ গোলের পারফরম্যান্স, মেসির জন্য স্মরণীয়। ২০১২’তে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বেয়ার লেভারকুসেনের বিরুদ্ধে ম্যাচে একাই পাঁচ গোল করেছিলেন মেসি। এস্তোনিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের প্রথম গোলটি ৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে বক্সের ডানদিক থেকে বাঁ পায়ের শটে দ্বিতীয় গোল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ফের বাঁ পায়ের শটে গোল। ৭০ মিনিটে ডান পায়ের শটে চতুর্থ গোলটি করেন লিও মেসি। পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে বাঁ পায়ের শটে পঞ্চম গোল পাঁচতারা মেসির।
আর্জেন্টিনা ফুটবল দলে মেসির সতীর্থ আলেজান্দ্রো গোমেজ বলেন, ‘লিও অনবদ্য। আমরা জানি, গোলের সামনে পৌঁছে গেলে কাউকে ক্ষমা করে না।’ আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি বলছেন, ‘মেসির সম্পর্কে নতুন করে কী বলা উচিত, জানি না। খুউব কঠিন কাজ। ওকে বর্ণনা করার আর কোনও বিশেষণ বাকি নেই। শুধু এটুকু বলতে পারি, ওকে ধন্যবাদ। ওর খেলা দেখতে পাওয়াটা আনন্দের।’