East Bengal: ‘আমি এখানে হারতে আসিনি’, প্রথম দিনই বার্তা স্টিফেনের

শেষ ৩ বছর ডার্বি জেতেনি ইস্টবেঙ্গল। গত বছর আইএসএলে লিগ টেবলের একেবারে তলানিতে ছিল। এ বার সাম্প্রতিক অতীত ভুলিয়ে দিতে চাইছে শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব। এ বার শুরু থেকেই যেন চার্জড আপ।

East Bengal: 'আমি এখানে হারতে আসিনি', প্রথম দিনই বার্তা স্টিফেনের
'আমি এখানে হারতে আসিনি', প্রথম দিনই বার্তা স্টিফেনের Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 04, 2022 | 8:31 PM

কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায়

দেরিতে হলেও মাঠে নেমে পড়ল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। লাল-হলুদকে ঘিরে এ বার একরাশ প্রত্যাশা। গত দু’বছর বছর শুধুই ব্যর্থতা ইস্টবেঙ্গলে। কনস্ট্যান্টাইনের হাত ধরে সাফল্য খুঁজতে চাইছে লাল-হলুদ শিবির। শেষ ৩ বছর ডার্বি জেতেনি ইস্টবেঙ্গল। গত বছর আইএসএলে লিগ টেবলের একেবারে তলানিতে ছিল। এ বার সাম্প্রতিক অতীত ভুলিয়ে দিতে চাইছে শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব। এ বার শুরু থেকেই যেন চার্জড আপ। প্রথম দিনের অনুশীলন দেখে সেটা বোঝাও গেল। ভারতীয় টিমের প্রাক্তন কোচ স্টিফেনের হাত ধরে প্রথম দিনই কড়া অনুশীলন ফুটবলারদের। টিমে এ বার অনেক নতুন মুখ। একই সঙ্গে আছেন অভিজ্ঞ ফুটবলারও। বিদেশি বাছাইয়ের কাজ করছেন কোচ স্টিফেনই। সূত্রের খবর, ভারতে না খেলা বিদেশিদেরই আনতে চলেছেন কনস্ট্যান্টাইন। ইভান গঞ্জালেজকে আগেই সই করিয়েছিল ক্লাব। স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের সঙ্গে প্রাথমিক চুক্তি থাকলেও, তাঁকে নিয়ে একটা ধোঁয়াশা রয়েই গেল। এ দিকে দেশিয় ফুটবলারদের স্কোয়াড অনেকটাই তৈরি। সাপোর্ট স্টাফরা এসে গেলে পুরোদমে অনুশীলন শুরু হবে ইস্টবেঙ্গলের। কলকাতা লিগের জন্য আলাদা দল তৈরি। সেই দলই ডুরান্ডে খেলবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আইএসএলের কয়েকজন ফুটবলারও ডুরান্ডে খেলতে পারেন। পুরো বিষয়টাই কোচ কনস্ট্যান্টাইন নিজে সামলাচ্ছেন। এ সবের মাঝে ১৬ তারিখ নৈহাটি গোল্ড কাপে ইস্টবেঙ্গলকে খেলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ক্লাব সরকারি ভাবে এখনও কিছু না জানালেও, সেখানে খেলতে পারে ইস্টবেঙ্গল।

ভারতীয় ফুটবলে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা আছে কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনের। ক্লাব ফুটবল যে কঠিন ঠাঁই, বিশেষ করে ইস্টবেঙ্গলের মতো ক্লাবে কোচিং করাতে হলে, সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলতে হলে তাঁকে এবং তাঁর টিমকে যে পরিশ্রম করতে হবে, সন্দেহ নেই। তবে অনেকের থেকেই ভারতীয় ফুটবলকে ভালো বোঝেন স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন। তৃতীয় বার ভারতে কোচিং করাতে এসে তিনি বলে দিলেন, ‘আমি এখানে হারার জন্য আসিনি। আশা করি, আমি ঠিক সফল হব। অনেকটা সময় ক্লাবের ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। অ্যাকাডেমি থেকে ফুটবলার তুলে আনতে হবে। পরিশ্রম করলে ঠিক সফল হব।’ ইস্টবেঙ্গল জনতা সাদর অভ্যর্থনায় গ্রহণ করে নেন কনস্ট্যান্টাইনকে। মাঠে নামার পর লাল-হলুদ কোচ বলেন, ‘এত সমর্থক মাঠে এসেছে অনুশীলন দেখতে। খুব ভালো লাগছে দেখতে। কোভিড কাঁটা পেরিয়ে আবার সমর্থকরা মাঠে ফিরেছে।’

সমর্থকদের জন্য স্টিফেনের বার্তা, ‘সফল হওয়ার জন্যই এখানে কোচিং করাতে এসেছি। তবে সফল হতে গেলে যা যা দরকার, তা আগে করতে হবে। আমাদের কঠোর অনুশীলন করতে হবে। সেই সঙ্গে মানসিকতাও পাল্টাতে হবে‌। অন্যান্য দলগুলো প্রাক মরসুম প্রস্তুতির জন্য অনেক আগেই মাঠে নেমে পড়েছে। কিছু কারণের জন্য আমাদের দেরি হয়েছে মাঠে নামতে। তবে মাঠে আমরা ভালো ফুটবলই উপহার দেব। প্রথম বার দায়িত্ব নিয়েই ইস্টবেঙ্গলকে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন করাব, সমর্থকদের এখনই সে কথা দিতে পারব না। তবে, ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে আইএসএলের অন্যান্য দলগুলো খেলতে ভয় পাবে।’

গত কয়েক মরসুমের ব্যর্থতা, ইনভেস্টর বিভ্রাট, অনেক কিছুর মধ্যে আটকে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। স্টিফেন সেখান থেকে লাল-হলুদকে আবার আলোয় ফেরাতে পারবেন কি? প্রাক্তন ভারতীয় কোচ সময় চাইছেন। ইস্ট-মোহনে কোচিংয়ের এটা রোমাঞ্চ কিংবা চাপ— সময় কোচকে দেওয়া হয় না। প্রথম দিন থেকেই তিন পয়েন্ট দিতে হবে। এ হেন ময়দানি সংস্কৃতি স্টিফেনের ভালো আর কে জানেন!