Indonesia Football Stampede: ইন্দোনেশিয়ায় এমন ঘটনা ঘটল কেন?

ফুটবল ইতিহাসে এমন ঘটনার সাক্ষী থাকল গোটা বিশ্ব, যা আর কখনও কেউ চাইবে না।

Indonesia Football Stampede: ইন্দোনেশিয়ায় এমন ঘটনা ঘটল কেন?
Indonesia Football Stampede: ইন্দোনেশিয়ায় এমন ঘটনা ঘটল কেন?Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 02, 2022 | 11:16 AM

জাকার্তা: ফুটবল (Football) বিশ্বে কালো শনিবার হয়ে রইল ১ অক্টোবর। ফুটবল ইতিহাসে এমন ঘটনার সাক্ষী থাকল গোটা বিশ্ব, যা আর কখনও কেউ চাইবে না। পূর্ব ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) মালাংয়ের কানজুরহা স্টেডিয়ামে ম্য়াচ ছিল জাভার দু’টি ক্লাব পার্সিবায়া সুরাবায়া ও আরেমার। পার্সেবায়া এই ম্যাচে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে দেয় আরেমাকে। প্রথমে জানা গিয়েছিল, দুই দলের মাঠের লড়াইয়ের শেষে, দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১২৯ জন। পরে মৃতের সংখ্যাটা আরও বেড়ে হয়েছে ১৫০ জন। এই ঘটনার জেরে আহত হয়েছেন ১৮০ জন। আরেমা সেই ম্য়াচে হারতেই ওই দলের সমর্থকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। আরেমার ক্ষুব্ধ দর্শকরা ম্যাচের শেষে মাঠে ঢুকে পড়েন। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশরা প্রচুর টিয়ার গ্যাসের ব্যবহার করেছিল। কিন্তু ওই সময় স্টেডিয়ামের একটি গেটই সেই সময় খোলা ছিল, সেই কারণে সকলেই ওই গেট দিয়ে বেরোনোর চেষ্টা করে। তার ফলেই হুড়মুড়িয়ে দর্শকরা পড়ে যেতে থাকেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আরেমার অন্তত ৩ হাজার সমর্থক ম্যাচের পর মাঠে ঢুকে পড়েছিল। পূর্ব জাভার পুলিশ প্রধান নিকো আফিন্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “সমর্থকরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে থাকলে, এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশকে কাঁদুনে গ্যাস ছুড়তে হয়।” সেই সময় মাঠে ঢুকে পড়া সমর্থকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং হুড়োহুড়ি শুরু হয়। চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে পদদলিত হয়ে, শ্বাসরুদ্ধ হয়ে আহত হন বহু সমর্থক। নিকো জানান, প্রায় ১৮০ জন দর্শক আহত হয়েছেন। তাদের অনেকের অবস্থা খুবই খারাপ। এই ঘটনায় দুই পুলিশ কর্তাও নিহত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

পিটি লিগা ইন্দোনেশিয়া বারু (LIB) এর সভাপতি আখমাদ হাদিয়ান লুকিতা বলেন, “আমরা এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন এবং গভীরভাবে অনুতপ্ত। আমরা আমাদের সমবেদনা জানাই এবং আশা করি এটি আমাদের সকলের জন্য একটি মূল্যবান শিক্ষা হয়ে থাকবে।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার একাধিক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে সমর্থকরা চিৎকার করতে করতে মাঠে ঢুকে পড়েন। পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিল না। অনেক পুলিশকে দেখা যায়, সমর্থকদের ওপর লাঠি চার্জ করতে, এবং লাথি মারতে।

ইন্দোনেশিয়ার ক্রীড়ামন্ত্রী জয়নুদিন আমালি জানান, কর্তৃপক্ষ ফুটবল ম্যাচের নিরাপত্তার পুনর্মূল্যায়ন করবে। এই ঘটনার পর, ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ লিগ বিআরআই লিগা ১ এর ম্যাচ গুলি এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার ম্যাচগুলিতে এর আগেও বিশৃঙ্খলা ঘটেছে। তবে এ দিনের মতো ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকতে হয়নি।