Lionel Messi: কোন খাবার নিশ্চিতভাবে লিও মেসি রাখেন তাঁর পাতে?
চিনি ও চর্বিযুক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার একসময় মাত্রাতিরিক্ত খেতেন এলএম টেন। সেখান থেকে মেসিকে ভালো, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পথে নিয়ে আসেন পেপ গুয়ার্দিওলা।
দোহা: লিওনেল মেসি (Lionel Messi), ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর মতো তারকা ফুটবলাররা বয়সকে যে তোয়াক্কা করেন না, তা তাঁদের পারফর্ম্যান্সই বলে দেয়। বয়সকে থুড়ি মেরে এখনও মাঠে নেমেই গোলের দর্শন পান লিও মেসি, সিআর সেভেনরা। কাতার বিশ্বকাপই (FIFA World Cup 2022) আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিও মেসির শেষ বিশ্বকাপ। বয়স শুধু সংখ্যা ধরলেও, ৩৫ বছর বয়সী লিওনেল মেসি জানেন এই বয়সে তাঁর শরীরে কী কী খাবার প্রয়োজন। আপনি কি জানেন কোন খাবার নিশ্চিতভাবে মেসি রাখেন তাঁর ডায়েটে (Lionel Messi’s Diet)? সেই খাবারের হদিশ দিল TV9Bangla।
একটা সময় মেসি নিজের দৈনিক খাদ্যতালিকা নিয়ে অত্যন্ত অনিয়ম করতেন। চিনি ও চর্বিযুক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার একসময় মাত্রাতিরিক্ত খেতেন এলএম টেন। সেখান থেকে মেসিকে ভালো, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পথে নিয়ে আসেন পেপ গুয়ার্দিওলা। চিকিৎসক অ্যাড্রিয়ান কোরমিলোট জানিয়েছিলেন যে, মেসির খারাপ খাদ্যাভাসের কারণে ব্রাজিলে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের সময় তাঁকে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। এবং তখনই মেসি তাঁর খাদ্যাভাস পরিবর্তন করার এবং ঊচ্চ মানের পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
মেসির ডায়েটে থাকা খাবারকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়। একদিকে চিনি এবং অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং অন্যদিকে ফল, প্রোটিন এবং লেগুমজাতীয় খাবার। সব খাবারই মেপে মেপে খান মেসি। বার্সেলোনার অফিসিয়াল সাইটে এক সময় পিএসজি তারকা লিওনেল মেসির প্রিয় খাবার ‘রোস্টেড চিকেন উইথ রুট ভেজিটেবলস’-এর ব্যপারে তথ্য তুলে ধরা হয়েছিল। স্বাস্থ্যকর থাকার জন্য প্রচুর পরিমানে জল পান করেন মেসি। অলিভ অয়েলে রান্না করা খাবার, তাজা ফল ও শাক সবজি এবং রুটিজাতীয় খাবারও খেয়ে থাকেন আর্জেন্টাইন তারকা। পাশাপাশি মেসির পছন্দের খাবারের তালিকায় রয়েছে আর্জেন্টিনার বিশেষ খাবার ‘মিলানেসা’-ও। এটি ব্রেডেড বিফ কাটলেট নামেও পরিচিত।
মেসি-রোনাল্ডো-বেঞ্জেমা সিউইড (সামুদ্রিক শৈবাল) প্রতিদিন খান। এই সামুদ্রিক শৈবালে রয়েছে স্পিরুলিনা। যার ৭০ শতাংশ প্রোটিন রয়েছে। এবং এতে ভিটামিন এ, বি১, বি২, সি, ডি, ই ও কে রয়েছে। পাশাপাশি এতে ক্লোরেলাও রয়েছে। যার ৬০ শতাংশ প্রোটিন রয়েছে। যা বার্ধক্য কমাতে সাহায্য করে। শরীর থেকে টক্সিন দূর করে।