Mohun Bagan: এ বার ক্রিকেট বিপ্লব শুরু বাগানে, ইস্টবেঙ্গল থেকে ছিনিয়ে নিল কোচ প্রণবকে
তিন বছরের চুক্তিতে কোচ মোহনবাগানে এলেন প্রণব।
কলকাতা: ফুটবলের রং এ বার লাগতে শুরু করল ক্রিকেটেও! কিংবা বলা যেতে পারে, নতুন সচিবের হাত ধরে মোহনবাগানে (Mohun Bagan) শুরু হয়ে গেল ‘ক্রিকেট বিপ্লব’ও। আর তার মধ্যে দিয়ে আবার জড়িয়ে পড়ল ইস্টবেঙ্গলও (East Bengal)! দেবাশিস দত্ত সচিব হওয়ার পর আধুনিক পথই বেছে নিতে শুরু করেছে মোহনবাগান। ফুটবলের মতো ক্রিকেটেও তারই ছোঁয়া। দুই ভাইকে ক্রিকেট টিমের কোচিং মঞ্চে তুলে ফেলল বাগান। দুই ভাই মানে, পলাশ নন্দী ও প্রণব নন্দী (Pranab Nandy)। যাঁদের বাংলার ক্রিকেট কাঠামোর সেরা দুই কোচ হিসেবে ধরা হয়। দাদা পলাশ গত মরসুমেও মোহনবাগানের কোচ ছিলেন। এ বার তাঁকেই দেখা যাবে মেন্টর হিসেবে। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হল, ইস্টবেঙ্গলের কোচকে এ বার ছিনিয়ে নিল মোহনবাগান।
প্রণব মোহনবাগানে খেলেছেন ২১ বছর। কিন্তু সবুজ-মেরুনের ক্রিকেট টিমে কখনও কোচিং করাননি। ১৮ বছর তাঁকে লাল-হলুদের কোচ হিসেবেই দেখা গিয়েছে। সেই তাঁকেই উল্টো পারের ক্লাব থেকে তুলে নিল দেবাশিস দত্ত অ্যান্ড কোং। শনিবার বিকেলে আনুষ্ঠানিক ভাবে তিনি কোচিং শুরু করে দিলেন বাগানে। ইস্টবেঙ্গল ছাড়লেন কেন? বিস্ফোরক যুক্তি খাড়া করলেন প্রণব। ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন কোচ বললেন, ‘ইস্টবেঙ্গল ছাড়ার কারণ হল, ওদের ক্রিকেট সিস্টেমটা ভেঙে পড়েছে। আমার টাকার প্রতি কোনও মোহ নেই। মোহনবাগান ক্লাবের সচিব দেবাশিস দত্ত যখন আমাকে কোচ হওয়ার অফার দেয়, ওকেও তখন বলি সিস্টেমের কথা। দেবাশিস সেই কথা দিয়েছে বলেই মোহনবাগানে এলাম। ইস্টবেঙ্গলের থেকে অনেক কিছু পেয়েছি। যেখানেই কোচিং করাই না কেন, সব সময় একটা সিস্টেমের মধ্যে দিয়ে চলার চেষ্টা করি। ক্রিকেটারের ভালো-মন্দ দেখাটা যে কোচের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। সেটা ওখানে পাচ্ছিলাম না।’
তিন বছরের চুক্তিতে কোচ মোহনবাগানে এলেন প্রণব। সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর দাদা পলাশ পাশে বসে বলে দিলেন, ‘ও এর আগেও সাফল্য় পেয়েছে। মোহনবাগানের কোচ হিসেবে এ বারও সাফল্য় পাবে।’ চুক্তির ক্ষেত্রে ক্রিকেট টিমে এ বার যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিতে চলেছে মোহনবাগান। ফুটবল টিম গড়ার সময় যেমন ফুটবলার ও কোচের সঙ্গে লিখিত চুক্তি করা হয়, মোহনবাগানে এ বার তাই দেখা যাবে। ময়দানের ক্রিকেটে যা কার্যত বিরল ঘটনা।
সচিব দেবাশিস বলে দিলেন, ‘ফুটবল টিমের সঙ্গে যেমন চুক্তি হয়, ক্রিকেটের ক্ষেত্রেও তেমনই করা হবে। সচিব হয়ে আসার পর মাত্র সাতদিন ক্রিকেট সিস্টেমে ঢুকেছি। অবাক হয়ে গিয়েছি এটা দেখে যে, ক্রিকেটারদের জন্য কোনও চুক্তি নেই। যা হয়, সবটাই মৌখিক। অন্য ক্লাব থেকে কোনও ক্রিকেটারকে নিতে যাওয়ার সময় দেখছি, ওরা চুক্তিপত্র দেখাতে পারছে না। এই কাঠামোটার বদল দরকার। এ বার ক্রিকেটাররাও থেকে চুক্তি মাফিক সই হবে।’
শুধু প্রণবকে তুলেই নয়, ইস্টবেঙ্গলের ক্রিকেটকে আরও ধাক্কা দিল মোহনবাগান। লাল-হলুদের সহকারী কোচ কাঞ্চন মাইতিও চলে এলেন মোহনবাগানে। সেই সঙ্গে বাংলার রঞ্জি টিমের ক্যাপ্টেন অভিমন্যু ঈশ্বরণের সঙ্গে এক বছরের চুক্তি করল ক্লাব।