Dani Alves: ধর্ষণ মামলায় আরও বিপাকে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার!
Physical Harassment: প্রাথমিক ভাবে সেই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেন বার্সেলোনার প্রাক্তন তারকা। পরে তিনি বয়ান বদলেছিলেন।
বার্সেলোনা : ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার দানি আলভেস আরও বিপাকে। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিলেন বার্সেলোনার এক তরুণী। বার্সেলোনার একটি নাইটক্লাবের শৌচাগারে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে, দানি আলভেসের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলেছিলেন সেই তরুণী। যদিও প্রাথমিক ভাবে সেই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেন বার্সেলোনার প্রাক্তন তারকা। পরে তিনি বয়ান বদলেছিলেন। যদিও স্প্য়ানিশ সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, দানি আলভেসের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে। যার জেরে আরও বিপাকে ব্রাজিলের ডিফেন্ডার। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
দানি আলভেসের বিরুদ্ধে যে তরুণী অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর বয়ান অনুযায়ী, বাথরুমে তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন ব্রাজিলের এই ফুটবলার। তখন অবশ্য দানি আলভেস পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেন। যদিও পরবর্তীতে বয়ান দেন, অভিযোগকারীর সম্মতিতেই সঙ্গম হয়েছে। প্রথমে তাঁর অস্বীকার করার কারণ হিসেবে জানিয়েছিলেন, স্ত্রী-য়ের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন, সেটা লুকোতেই পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেছিলেন, দাবি আলভেসের। এখন অবশ্য বলছেন, সম্মতিতেই সমস্ত কিছু হয়েছে। বার্সেলোনার তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে বার্সেলোনার প্রাক্তন ফুটবলারকে হেফাজতে নিয়েছিল পুলিশ। কঠিন পরিস্থিতিতে লিও মেসির আইনজীবিকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন দানি আলভেস।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমে খবর অনুযায়ী, বিচারক জানিয়েছেন, দানি আলভেসের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। আপাতত তাঁর জামিন মঞ্জুর হলেও বেশ কিছু শর্তাবলী রয়েছে। প্রথমত স্পেনের বাইরে যেতে পারবেন না আলভেস। তাঁর পাসপোর্টও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, অভিযোগকারীর বাড়ির ৫০০ মিটারের মধ্যেও থাকতে পারবেন না আলভেস। তাঁর শরীরে জিপিএস ট্র্য়াকারও সেট করা হয়েছে। যাতে তাঁর গতিবিধি সমস্তটাই নজরে রাখা যায়। প্রতিদিনই তাঁকে পুলিশ স্টেশনে হাজিরা দিতে হবে এবং ২৪ ঘণ্টাই জিপিএস ট্র্য়াকার ব্য়বহার করতে হবে।