Pele: প্যালিয়াটিভ ইউনিটে নেই পেলে! দুই মেয়ে কী বলছেন?

৮২ বছরের প্রাক্তন ফুটবলারের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। একে কোলন ক্যান্সারে ভুগছেন। তার উপর আবার ফুসফুসে সংক্রমণ। প্যালিয়াটিভ কেয়ার ইউনিটে তাঁদেরই রাখা হয়, চিকিৎসায় যাঁরা আর সাড়া দেন না।

Pele: প্যালিয়াটিভ ইউনিটে নেই পেলে! দুই মেয়ে কী বলছেন?
Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 05, 2022 | 3:17 PM

সাও পাওলো: দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত কিংবদন্তি ফুটবলারকে নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই। ক্যান্সারে ভুগছেন গত বছর থেকেই। প্রতি মাসেই তাঁকে হাসপাতালে যেতে হয়, কেমো থেরাপির জন্য। নভেম্বরের শেষ সাও পাওলোর হাসপাতালে সেই কারণেই ভর্তি হয়েছেন তিনি। হঠাৎই তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটে। ফুসফুসে সংক্রমণের জন্য তাঁকে প্যালিয়াটিভ ইউনিট কেয়ারে রাখা হয়েছে। সেখান থেকেই পেলে (Pele) জানিয়েছেন, তিনি খানিকটা হলেও সুস্থ বোধ করছেন। তিনবার বিশ্বকাপ জেতা কিংবদন্তি ফুটবলারকে নিয়ে বিশ্ব জুড়ে চলছে প্রার্থনা। তারই মধ্যে আবার অন্য একটি তথ্যও শোনা যাচ্ছে। পেলে প্যালিয়াটিভ কেয়ার ইউনিটে রয়েছেন কিনা, তা নিয়ে খানিকটা হলেও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। পেলের মেয়ে কী বললেন, তুলে ধরল TV9 Bangla

৮২ বছরের প্রাক্তন ফুটবলারের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। একে কোলন ক্যান্সারে ভুগছেন। তার উপর আবার ফুসফুসে সংক্রমণ। প্যালিয়াটিভ কেয়ার ইউনিটে তাঁদেরই রাখা হয়, চিকিৎসায় যাঁরা আর সাড়া দেন না। পেলের ক্ষেত্রেও তেমনই হয়েছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ফ্লাবিয়া নাসিমেন্টো বলেছেন, ‘লোকে যেটা বলছে, সেটা ঠিক নয়। একেবারেই শেষ অবস্থায় নেই বাবা। প্যালিয়াটিভ কেয়ার ইউনিটেও রাখা হয়নি। বিশ্বাস করুন, যা বলা হচ্ছে তা সত্যি নয়।’

ফ্লাবিয়া যা বলছেন তা যে ঠিক, তাঁর বোন কেলির কথা শুনলেই বোঝা যাবে। সপ্তাহ তিনেক আগে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন পেলে। যে কারণে ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছে তাঁর। মূলত সেই কারণেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। কেলি বলছেন, ‘বাবা অসুস্থ। বয়সও তো হয়েছে। এই মুহূর্তে কিন্তু ফুসফুসে সংক্রমণের জন্য চিকিৎসা চলছে বাবার। শরীর একটু ভালো হলেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন। যত দিন না সুস্থ হয়ে উঠছেন, ততদিন হাসপাতালেই থাকতে হবে।’

গত কয়েক দিন ধরেই পেলেকে নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছে সারা বিশ্ব। শুধু ফুটবল নয়, পেলের ব্যপ্তি ছিল সব মহলে। ফুটবল, রাজনীতি থেকে শুরু করে আমজনতার সঙ্গেও গভীর যোগাযোগ ছিল তাঁর। সেই যোগ আজও রয়ে গিয়েছে। যে কারণে বিশ্ব জুড়ে পেলের ভক্তের সংখ্যা কম নয়। সেই পেলে যাতে সুস্থ হয়ে ওঠেন, তার জন্য প্রার্থনা চলছে সর্বত্র।