Manchester Derby: হালান্ড-ফোডেনের গোলের প্রতিযোগিতা, ম্যাঞ্চেস্টার ডার্বিতে নয় গোল
Erling Haaland : ম্যাচের ৬৪ মিনিটে হালান্ডের হ্যাটট্রিকে লজ্জা বাড়ে লাল ম্যাঞ্চেস্টারের। মরসুমের তৃতীয় হ্যাটট্রিক হালান্ডের। ম্যাচে মনে হচ্ছিল ফোডেন-হালান্ডের মধ্যে গোলের প্রতিযোগিতা চলছে। হালান্ডের হ্যাটট্রিকের ৮ মিনিটের মধ্যে ফোডেনও হ্যাটট্রিক করেন।
ম্যাঞ্চেস্টার : লজ্জার হার! নাকি এর চেয়েও হতাশার কোনও বিশেষণ ব্যবহার করা যায় ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের জন্য? প্রথমার্ধের স্কোরলাইন, দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা হলেও লজ্জা ঢাকল ম্যান ইউ। মরসুমের প্রথম ম্যাঞ্চেস্টার ডার্বি। প্রথমার্ধেই চার গোল দিল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। তরুণ ফুটবলার ফিল ফোডেন এবং বিধ্বংসী স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ড প্রথমার্ধেই জোড়া গোল করেন। ম্যাচের আগে ম্যান ইউ কোচ এরিক টেন হ্যাগ জানান, ম্যাঞ্চেস্টার সিটিকে (Manchester City) কমফোর্ট জোন থেকে বের করতে চান। ম্যাচ শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যাক ফুটে তাঁর দলই। প্রথমার্ধে ৪, দ্বিতীয়ার্ধে ২। মোট ৯ গোলের ম্যাঞ্চেস্টার ডার্বিতে সিটি জিতল ৬-৩ গোলে। সিটির হয়ে হ্যাটট্রিক আর্লিং হালান্ড (Erling Haaland) ও ফিল ফোডেনের (Phil Foden)।
ম্যাচের ৮ মিনিটের মধ্যেই ১-০ এগিয়ে যায় ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। বার্নার্দো সিলভার লো ক্রস, সুযোগ হারাননি ফোডেন। সঠিক সময়, সঠিক জায়গায় উপস্থিত ছিলেন। ৭৫ শতাংশ বল পজেশন নিয়ে গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল সিটি। তা কাজেও লাগিয়েছে। ম্যান ইউ বক্সে দ্বিতীয় ধাক্কা ৩৪ মিনিটে। এ বার আর্লিং হালান্ড। কেভিন ডি ব্রুইনের কর্নার থেকে পাওয়ারফুল হেডারে গোল আর্লিং হালান্ডের। ২-০ এগিয়ে যেতেই আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠে সিটি। ৩ মিনিটের মধ্যেই আরও একটি গোল, ৩-০ এগিয়ে যায় সিটি। এ বারও আর্লিং হালান্ড। অ্যাসিস্ট সেই কেভিন ডি ব্রুইনের। দারুণ ক্রস রেখেছিলেন হালান্ডের জন্য। স্লাইড করে গোল হালান্ডের। মরসুমে এটি তাঁর ১৩ তম গোল। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে আবারও ধাক্কা ম্যান ইউ শিবিরে। একে হালান্ডে রক্ষে নেই, ফোডেন দোসর। ডি ব্রুইন গোলের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছেন, দারুণ কাজে লাগাচ্ছেন হালান্ড, ফোডেন। ৪৪ মিনিটে ফোডেনের গোলে হালান্ডের অ্যাসিস্ট হলেও মাঝ মাঠে অনবদ্য ডি ব্রুইন। ৪-০ স্কোর লাইন নিয়ে বিরতিতে যায় ম্যাঞ্চেস্টার সিটি।
ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ৬ (হালান্ড-৩, ফোডেন-৩)
ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ৩ (অ্যান্থনি মার্শিয়াল ২, অ্যান্টনি)
ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করেছিল ম্যান ইউ। তবে ৪ গোল খাওয়ার পর কাঁধ সোজা রাখা খুবই কঠিন। লুক শ কে নামাতে ম্যান ইউয়ের খেলায় কিছুটা উন্নতি হয়। সেটাও সাময়িক। ক্রিশ্চিয়ান এরিকসনের অ্যাসিস্টে গোল ম্যান ইউয়ের নতুন তারকা অ্যান্টনি স্যান্টোসের। জ্যাক গ্রিলিসেরও ভুল রয়েছে সিটির এই গোল খাওয়ার ক্ষেত্রে। দ্রুত নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে ফের আক্রমণ সিটির। ম্যাচের ৬৪ মিনিটে হালান্ডের হ্যাটট্রিকে লজ্জা বাড়ে লাল ম্যাঞ্চেস্টারের। মরসুমের তৃতীয় হ্যাটট্রিক হালান্ডের। ম্যাচে মনে হচ্ছিল ফোডেন-হালান্ডের মধ্যে গোলের প্রতিযোগিতা চলছে। হালান্ডের হ্যাটট্রিকের ৮ মিনিটের মধ্যে ফোডেনও হ্যাটট্রিক করেন। ম্যান সিটি এগিয়ে যায় ৬-১। ফোডেনের কেরিয়ারে এটিই প্রথম হ্যাটট্রিক। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে ম্যান ইউয়ের হয়ে আরও একটি গোল শোধ করেন পরিবর্ত হিসেবে নামা অ্যান্থনি মার্শিয়াল। ইনজুরি টাইমে পেনাল্টি থেকে আরও একটি গোল মার্শিয়ালের। লজ্জা কিছুটা হলেও কমল।