Lionel Messi: মেক্সিকো ম্যাচের পর চরম বিতর্কে মেসি, কী ঘটেছে জানেন?

Qatar 2022: ফাব্রেগাসও বলেছেন, যে কোনও প্লেয়ার ম্যাচ খেলার পর যখন ড্রেসিংরুমে ঢোকেন, তিনি বিশ্রাম নেন। নিজেদের জার্সিও খুলে ফেলে। তারপর স্নান করতে যান। মেসির ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছিল। এই ব্যাপার নিয়ে অহেতুক বিতর্ক বাঁধানোর কোনও মানে হয় না।

Lionel Messi: মেক্সিকো ম্যাচের পর চরম বিতর্কে মেসি, কী ঘটেছে জানেন?
Image Credit source: twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 28, 2022 | 8:20 PM

দোহা: মেক্সিকো বরাবরের কঠিন প্রতিপক্ষ। সৌদি আরবের কাছে প্রথম ম্যাচে হারের পর মেক্সিকো ম্যাচই হয়ে উঠেছিল বিশ্বকাপে টিকে থাকার ‘ফাইনাল’। সেই ম্যাচে আর্জেন্টিনা জিতেছে। আর তারপরই কিনা চরম বিতর্কে পড়েছেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। এতটাই যে, মেক্সিকোর এক বক্সার রীতিমতো হুমকি দিলেন এলএম টেনকে। কী করেছেন মেসি? মেক্সিকো ম্যাচের পর ড্রেসিংরুমে সেলিব্রেশনের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। তাতে জয়ের আনন্দে মশগুল মেসি-এনজোদের সেলিব্রেশন তুলে ধরা হয়েছে। ওই ভিডিয়োতেই লুকিয়ে রয়েছে বিতর্কের আগুন। আর তাতে মেসি দগ্ধ হয়েছেন। ঘটনা কী, তুলে ধরল TV9 Bangla

ঘটনা হল, মেক্সিকো ম্যাচে জিতে কাতার বিশ্বকাপে আবার ছন্দে ফিরেছে আর্জেন্টিনা। নক আউটে যাওয়ার সোনালি রেখাও দেখা যাচ্ছে। সৌদির বিরুদ্ধে হারের পর তীব্র সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছিল মেসিদের। ওচোয়াদের হারিয়ে সে সব থামিয়ে দিয়েছে নীল-সাদা ব্রিগ্রেড। তার পরই দেখা দিয়েছে এক নতুন বিতর্ক। যার কেন্দ্রে খোদ মেসি। ম্যাচের পর সেলিব্রেশন চলছিল ড্রেসিংরুমে। মাটিতে পড়েছিল মেক্সিকোর পতাকা ও জার্সি। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বুট খোলার সময় মেসির পা লেগে গিয়েছে পতাকা ও জার্সিতে। ওই ভিডিয়ো দেখে অনেকেই অবশ্য বলছেন, মেসি ইচ্ছা করে ওই কাজ করেননি। তিনি হয়তো খেয়াল করেননি। না হলে তাঁর মতো আপাদমস্তক ভদ্র ফুটবলার কোনও ভাবেই অন্য দেশের পতাকাকে অসম্মান করতেন না। যদিও মেক্সিকোর সমর্থকরা তা মানতে নারাজ। তাঁরা কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন মেসিকে।

সব দেশই তাদের জাতীয় পতাকা সম্পর্কে সমান সংবেদনশীল, শ্রদ্ধাশীল। একই সঙ্গে স্পর্শকাতরও। মেসির ওই ভিডিও দেখে মেক্সিকোর বক্সার কান্সেলো আলভারেস টুইটারে লিখেছেন, ‘মেসি যে আমাদের জাতীয় টিমের জার্সি ও জাতীয় পতাকা দিয়ে মেঝে পরিষ্কার করছে, সেটা দেখেছেন তো সবাই? ঈশ্বরের কাছে মেসির অনুরোধ করা উচিত, আমার সঙ্গে যেন কখনও ওর দেখা না হয়।’

মেসি কোনও দোষ করেননি, পুরো ব্যাপারটাই যে জোর করে দাঁড় করানো হচ্ছে, তা নিয়ে এককাট্টা হয়েছেন আর্জেন্টেনিয়ানরা। সেই তালিকায় রয়েছেন সের্গিও আগুয়েরো, স্প্যানিশ তারকা সেস ফাব্রেগাসও। আগুয়েরো পাল্টা আলভারেসকে লিখেছেন, ‘মিস্টার কান্সেলো, জোর করে ঝামেলা পাকিও না। ফুটবল কী, তা একেবারেই জানো না তুমি। একটা ম্যাচের পর ড্রেসিংরুমে কী হয়, সেটা সম্পর্কেও অবগত নও। একটা ম্যাচ খেলে ওঠার পর ফুটবলাররা ঘেমে-নেয়ে একসা থাকে। ড্রেসিংরুমে পৌঁছে ওরা নিজেদের জার্সিও খুলে ফেলে। সেটাই দেখা গিয়েছে।’

ফাব্রেগাসও বলেছেন, যে কোনও প্লেয়ার ম্যাচ খেলার পর যখন ড্রেসিংরুমে ঢোকেন, তিনি বিশ্রাম নেন। নিজেদের জার্সিও খুলে ফেলে। তারপর স্নান করতে যান। মেসির ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছিল। এই ব্যাপার নিয়ে অহেতুক বিতর্ক বাঁধানোর কোনও মানে হয় না।