FIFA World Cup 2022: সেনেগাল থেকে সৌদি, বিশ্বকাপের দুই ‘বড়’ অঘটন ও এক সুন্দরী
Viviane Dieye: কাকতালীয়ভাবে বিশ্বকাপের অন্যতম বড় দুই অঘটনের সঙ্গে জড়িয়ে এক মহিলা। কীভাবে বলুন তো?
দোহা: ২০০২ থেকে ২০২২। মাঝখানে বিশ বছরের ফারাক। আরও চারটে ফুটবল বিশ্বকাপ দেখে ফেলেছে ক্রীড়া বিশ্ব। ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপের শুরুতেই গুরুতর অঘটনের সাক্ষী ক্রীড়াপ্রেমীরা। বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে কাতার পাড়ি দেওয়া দিয়েগো মারাদোনার দেশ হেরে বসেছে সৌদি আরবের কাছে। ফিফা ব়্যাঙ্কিংয়ে যে দেশটি মেসিদের আশেপাশেও নেই। এখনও শোকে কাতর আর্জেন্টিনা ফ্যানরা। এ বার ফিরে যান কুড়ি বছর আগে। ২০০২ সালের বিশ্বকাপ। বিস্ময় জাগিয়েছিল পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সেনেগাল। গোনা গুণতির বাইরে থাকা সেনেগালের কাছে ফ্রান্সের হার! বিশ্বকাপের এই দুই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে এক মহিলা! দুটি ম্যাচের নেপথ্য নায়কের পাশে থেকে অঘটনের সাক্ষী থেকেছিলেন ওই সুন্দরী। কে তিনি? কীই বা তাঁর পরিচয়? জানাবে TV9 Bangla।
ব্রুনে মেটসুকে মনে পড়ে? ঝাঁকড়া লম্বা চুলের মানুষটি সেনেগাল নামক বিস্ময়কে বিশ্ববাসীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। ২০০২ সালের ৩০ মে সিওলের স্টেডিয়ামে ৩০ মিনিটে গোল করেন পাপা বৌবা দিওপ। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জিতে ইতিহাস। সে বার কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত সেনেগালকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল মেটসুর ছেলেরা। কোচ ব্রুনো মেটসুর ঠিকুজি, কুষ্ঠি বের করতে বাকি রাখেনি সংবাদমাধ্যমগুলি। আদতে ফরাসি মেটসু মন দিয়েছিলেন সেনেগালিজ সুন্দরী ভিভিয়ান ডিয়ে-কে। আফ্রিকার মানুষকে স্বপ্ন দেখানো মেটসুর স্ত্রী-তিন সন্তান নিয়ে সুখের সংসার। স্বামীর সাফল্য খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন ভিভিয়ান। ২০১৩ সালে ছন্দপতন। ক্যান্সারে মৃত্যু হয় ব্রুনো মেটসুর।
২০ বছর পর বিশ্বকাপে সৌদি আরবের রূপকথার সূচনা হয়েছে তেমনই এক ফ্রেঞ্চম্যানের হাত ধরে। লিওনেল মেসিদের চোখে জল এনে দিয়েছেন কোচ সৌদি আরবের কোচ হার্ভে রেনার্ড। দিন দুয়েকের মধ্যে তাঁর পরিচয় জেনে ফেলেছে বেশিরভাগ ফুটবলপ্রেমী। জিনেদিন জিদানের প্রাক্তন সতীর্থ। খেলোয়াড় হিসেবে সাফল্য পাননি। কিন্তু কোচ হিসেবে ড্রেসিংরুমে তাঁর ম্যান ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা প্রথমেই নজর কেড়েছিল। বরাবরই ডাকাবুকো হিসেবে পরিচিত রেনার্ডের নামের পাশে ‘আর্জেন্টিনা বধ-এর নায়ক’ কথাটি জুড়ে গিয়েছে। তবে রেনার্ডের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে খোঁজ করতেই ভিরমি খেতে হয়। সৌদি কোচের বর্তমান সঙ্গিনী কে জানেন? ভিভিয়ান ডিয়ে। আফ্রিকান স্বপ্নের কারিগর ব্রুনো মেটসুর বিধবা স্ত্রী!
ইতালিতে প্রথম দেখা ব্রুনো ও ভিভিয়ানের। স্বামীর মৃত্যুর পর তিন সন্তানের জননী প্রেমে পড়েন মরক্কোর তৎকালীন কোচ, ফ্রান্সের রেনার্ড হার্ভের। রেনার্ড ও ভিভিয়ানেরও তিন সন্তান। শীঘ্রই বিয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। অনেকের বিশ্বাস, ভিভিয়ান মেটসুর লাকি চার্ম ছিলেন। এখন রেনার্ডের। ২০ বছর পর এই লাকি চার্মকে পাশে রেখেই বিশ্বকাপ স্বপ্ন বুনছেন আর্জেন্টিনা-বধের নেপথ্য নায়ক।