FIFA World Cup 2022: জাপানকে একেবারেই হালকাভাবে নিচ্ছেন না কে?
Qatar 2022 : জীবন কতটা কঠিন হতে পারে তা অজানা নয় তাঁর। তাই কোন লড়াইকেই লঘু করে দেখেন না তিনি, সেটা মাঠের ৯০ মিনিটের হোক কিংবা জীবনের।
দোহা : কোস্টারিকাকে ৭-০ ব্যবধানে পরাজিত করে বিশ্বকাপের দুর্দান্ত সূচনা করেছিল স্পেন। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে তাঁদের প্রতিপক্ষ ছিল জার্মানি। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ড্র হয় ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে কোস্টরিকাকে ৭ গোল দিয়েও আত্মতুষ্টিতে ভুগতে দেখা যায়নি স্পেন কোচ লুইস এনরিকেকে। কারণ, জাপানের কাছে হারলেও জার্মানি যে হার না মানা দল তা তিনি জানতেন। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে স্পেনের প্রতিপক্ষ জাপান। ঠিক একইভাবে পরবর্তী প্রতিপক্ষ জাপানকেও একেবারেই হালকা হিসেবে নিচ্ছেন না কোচ এনরিকে। পরবর্তী ম্যাচের আগে কী বলছেন কোচ? তুলে ধরল TV9 Bangla।
এক সময় ফুটবলে কৌলিন্য ছিল স্পেনের। ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বিশ্ব ফুটবলে রাজত্ব করেছে তারা। ইউরোপীয় ফুটবলে সেরা দল হিসাবে উঠে এসেছিল স্পেন। জিতেছিল ইউরো কাপ। তার পর ২০১০ সালে বিশ্ব ফুটবলে সেরার শিরোপা স্পেনের। ২০১২ সালে আবারও ইউরো জয়। তার পর কেটে গিয়েছে ১০ বছর। জাতীয় ফুটবলে স্পেনের কৌলিন্য আর নেই। মাত্র একবার বিশ্বকাপ জেতা স্পেন এইবার এক ঝাঁক তরুণকে নিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করেছে। নিঃসন্দেহে বিশ্বকাপের শুরুটা তাদের ভালোই হয়েছে।প্রথম ম্যাচে কোস্টারিকাকে ৭ গোল দিয়েও আত্মতুষ্টিতে ভুগতে দেখা যায়নি তাদের। বরং কোচকে বলতে শোনা যায়,বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিতলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে তা স্বাভাবিক। তবে আগামী কোনও ম্যাচকেই হালকা নিলে চলবে না। জার্মানির বিরুদ্ধে ম্যাচকে শেষ ১৬-য় পৌঁছনোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছিলেন তিনি। কারণ, তিনি জানতেন জার্মানির ম্যাচ তাঁদের হাতে না থাকলে নকআউট পর্বে পৌঁছতে জাপানের সঙ্গে ম্যাচ অবধি অপেক্ষা করতে হবে। রবিবার জার্মানির সঙ্গে ম্যাচ ড্র হওয়ায় ১ পয়েন্ট পেয়ে নকআউট পর্ব প্রায় নিশ্চিত করতে পারলেও এই গ্রুপের শীর্ষস্থানে থাকতে চান তিনি। তাই জাপানের সঙ্গে পরবর্তী ম্যাচকে একেবারেই হালকা হিসেবে নিচ্ছেন না তিনি।
রবিবার জার্মানির বিপক্ষে ম্যাচ ড্র হওয়ার পর এনরিকে বলেন, “জার্মানিকে হারানোর সুযোগ পেয়েও তা হাত ছাড়া হয়ে গেল আমাদেরই খামতির জন্য। এটা আমাদের কাছে লজ্জার।” তিনি আরও জানিয়েছেন, জার্মানির বিরুদ্ধের ম্যাচে তাঁদের মানসিক শান্তির কিছুটা অভাব ছিল। তবে চাপ সামলেই পরবর্তী ম্যাচের জন্য সবদিক থেকে তৈরি হচ্ছেন তাঁরা। জীবনের অনেক কঠিন লড়াই পেরিয়েছেন এনরিকে। ক্যানসারে হারিয়েছেন ১০ বছরের ছোট্ট মেয়েকে। তাই জীবন কতটা কঠিন হতে পারে তা অজানা নয় তাঁর। তাই কোন লড়াইকেই লঘু করে দেখেন না তিনি, সেটা মাঠের ৯০ মিনিটের হোক কিংবা জীবনের।