প্রয়াত সুধীন চট্টোপাধ্যায়
১৯৬৪ সালে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ক্রিকেট দলের সদস্য ছিলেন সুদিন চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরে কলকাতা ময়দানে দুই প্রধানের ম্যাচে রেফারিং করেছেন। এ ছাড়া বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ম্যাচে সহকারী রেফারির ভূমিকাও পালন করেছেন সুদিন চট্টোপাধ্যায়। তবে তাঁর নাম স্মরণীয় হয়ে থাকবে ১৯৮০ সালের ডার্বির জন্য। সে বছর ১৬ অগাস্ট ইডেন গার্ডেন্সে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। কলকাতা লিগের সেই ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের দিলীপ পালিত আর মোহনবাগানের বিদেশ বসুকে লাল কার্ড দেখান সুদিন চট্টোপাধ্যায়।
কলকাতা: প্রয়াত প্রাক্তন ফিফা রেফারি সুধীন চট্টোপাধ্যায় (Sudin Chatterjee)। কলকাতা ময়দানের ডাকসাঁইটে রেফারির প্রয়াণে গভীর শোকের ছায়া নেমে এল ক্রীড়াজগতে। রেফারিংয়ের পাশাপাশি হকি এবং ক্রিকেট ম্যাচে আম্পায়ারিংও করেছেন তিনি। কলকাতা ফুটবলে দ্বিতীয় ডিভিশনে খেললেও হকি এবং ক্রিকেট খেলেছেন প্রথম ডিভিশন ক্লাবে। অনেকদিন ধরেই রোগে ভুগছিলেন। বার্ধক্যজনিত কারণেই মৃত্যু। গতকাল রাতে প্রয়াত হন। বয়স হয়েছিল পঁচাশি বছর।
১৯৬৪ সালে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ক্রিকেট দলের সদস্য ছিলেন সুধীন চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরে কলকাতা ময়দানে দুই প্রধানের ম্যাচে রেফারিং করেছেন। এ ছাড়া বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ম্যাচে সহকারী রেফারির ভূমিকাও পালন করেছেন। তবে তাঁর নাম স্মরণীয় হয়ে থাকবে ১৯৮০ সালের ডার্বির জন্য। সে বছর ১৬ অগাস্ট ইডেন গার্ডেন্সে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। কলকাতা লিগের সেই ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের দিলীপ পালিত আর মোহনবাগানের বিদেশ বসুকে লাল কার্ড দেখান সুধীন চট্টোপাধ্যায়। তারপরই গ্যালারিতে শুরু হয় প্রবল গণ্ডগোল। ওই ঘটনায় প্রাণ হারান ১৬ জন ফুটবলপ্রেমী। যে ঘটনা আমৃত্যু ভুলতে পারেননি এই প্রাক্তন ফিফা রেফারি। রাজকীয় মেজাজেই রেফারিং করতেন। কঠোর হাতে কলকাতা ময়দানে ফুটবল ম্যাচে দায়িত্ব সামলাতেন। সুধীর কর্মকার, গৌতম সরকার, মহম্মদ হাবিব, আকবর, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, সুভাষ ভৌমিকদের মতো তারকাদের মাঠে সামলেছেন।
ফুটবলে রেফারিং করার পাশাপাশি দক্ষতার সঙ্গে হকিতে আম্পারিংও করতেন। টানা ১২ বছর বেটন কাপ (Beighton Cup) ফাইনাল খেলানোর কৃতিত্ব রয়েছে সুধীন চট্টোপাধ্যায়ের ঝুলিতে। তাঁকে ঘিরে অনেক বিতর্ক, অনেক সমালোচনার পাশাপাশি রয়েছে অনেক প্রশংসাও।
আরও পড়ুন: Exclusive: দ্রাবিড় স্যারের পরামর্শই আমার সম্পদ: ভেঙ্কটেশ আইয়ার