Breaking: চুক্তিপত্রের খসড়া পাঠাল ইমামি, জট ছাড়াতে আলোচনা শুরু ইস্টবেঙ্গলে
আপাতত ইস্টবেঙ্গলের কোর্টেই বল
কলকাতা: প্রায় মাস খানেক আগে নবান্নে বসে আইএসএলের (ISL) নতুন ইনভেস্টর হিসেবে ইমামির নাম ঘোষণা করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সপ্তাহের পর মাস ঘুরতে চলল, দু’পক্ষের মধ্যে চুক্তিই হয়নি। দলগঠনেও যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) অপেক্ষায় থেকে অনেক ফুটবলারই অন্য টিমে সই করে ফেলেছেন। এই পরিস্থিতিতে লাল-হলুদের ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। আপাতত ইস্টবেঙ্গলের কোর্টেই বল। মঙ্গলবার বিকেলে চুক্তিপত্রের খসড়া ক্লাবে পাঠিয়ে দিল ইমামি গ্রুপ। এ দিনই বিকেলে কার্যকরী সমিতির (Executive Committee) সদস্যরা আলোচনায় বসেছেন। চুক্তির শর্তাবলী নিয়ে তাঁরা আলোচনা করবেন। তার পরই সিদ্ধান্ত জানানো হবে, ইমামির সঙ্গে আগামী মরসুমে ইস্টবেঙ্গল গাঁটছড়া বাঁধবে কিনা।
ময়দানে একটাই প্রশ্ন, ইমামির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে কোনও সমস্যা আছে কি ইস্টবেঙ্গলের? দুটো যুক্তি তুলে ধরা যায়। এক, শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে ইমামির খসরা চুক্তিপত্রকে মেলানো যাবে না। শ্রী সিমেন্ট স্পোর্টিং স্বত্ব নিতে চেয়েছিল। সেই সঙ্গে ক্লাব পরিচালনার ভারও অনেকখানি তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেয়েছিল। এমন কিছু ইমামি চায় না। তারা শুধু ফুটবল স্বত্বই নেবে। অনেকটা কোয়েস কর্পোরেশনের মতো ভূমিকা হবে তাদের। দুই, চুক্তিপত্র পাঠাতে দেরি হওয়ার পিছনে একটা যুক্তি, আইনী কাজ সারতে সময় লেগেছে ইমামির কর্তাদের। তা মিটতেই চুক্তিপত্রের খসড়া পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন কি এতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে? না! ইমামি গ্রুপ আশি শতাংশ শেয়ার চেয়েছে। তা নিয়ে কিছুটা আপত্তি থাকতে পারে ইস্টবেঙ্গলের। ডিরেক্টর বোর্ডে দুই পক্ষের ক’জন প্রতিনিধি থাকবেন, তাও আলোচ্য বিষয়। তবে, জটিলতার খুব বেশি জায়গা আছে বলে মনে করছে না ওয়াকিবহাল মহল। ক্লাবের প্রাক্তন ফুটবলাররা অবশ্য দ্রুত পুরো প্রক্রিয়ার নিষ্পত্তি চান। অর্থের অভাবে আইএসএলের জন্য দলগঠন করতে পারছে। গত দুটো মরসুম আইএসএল খেললেও ইস্টবেঙ্গল কার্যত কিছুই করতে পারেনি। এ বার যেন তেমন না হয়, এমনটাই চাইছেন কর্তারা।
ইমামি গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আদিত্য আগরওয়াল কিন্তু বলে দিচ্ছেন, ‘চুক্তিপত্রের খসড়া পাঠানো হয়েছে ক্লাবে। আশা করি এই সপ্তাহের মধ্যেই পুরো প্রক্রিয়াটা মিটে যাবে।’
ইমামি তাদের প্রাথমিক কাজ সেরে ফেলেছে। এ বার ইস্টবেঙ্গলের কোর্টে বল। ইমামির প্রস্তাবে তারা সাড়া দেবে কিনা, নাকি আবার শুরু হবে দড়ি টানাটানি, তাই এখন দেখার।