Pele: স্যান্টোসের ড্রেসিংরুমে পেলের বন্ধ লকারে লুকিয়ে কোন রহস্য?
Santos: কী রয়েছে পেলের স্যান্টোসের ড্রেসিংরুমের বন্ধ লকারে? যা নিয়ে পেলে-ভক্তদের কৌতূহলের অন্ত নেই।
সাও পাওলো: এখনও এক মাস হয়নি ফুটবল সম্রাট পেলে (Pele) প্রয়াত হয়েছেন। গোটা বিশ্ব যেন এখনও মেনে নিতে পারছে না এই পৃথিবীতে আর নেই ব্রাজিলিয়ান তারকা। ৮২ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন পেলে। মৃত্যুর আগে দীর্ঘ সময় হাসপাতালে কাটাতে হয়েছিল পেলেকে। তিনটি বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি কোলন ক্যান্সারে ভুগছিলেন। শেষ মেশ ক্যান্সারকে (Cancer) হারাতে পারেননি পেলে। তিনি চলে গিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু ফুটবল দুনিয়ায় রেখে গিয়েছেন তাঁর বিরাট ছাপ। বলা চলে, কোটি কোটি ভক্তদের মনে অমর থাকবে পেলের কীর্তি। এরই মধ্যে তাঁর ছেলেবেলার ক্লাব স্যান্টোসে (Santos) থাকা তাঁর বন্ধ লকার নিয়ে শুরু হয়ে জল্পনা। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
স্যান্টোস ক্লাবের ড্রেসিংরুমে এখনও অবধি অক্ষত রয়েছে কিংবদন্তি পেলের একটি লকার। সেটি বন্ধই রয়েছে। আর সেই বন্ধ লকার নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা। পেলে স্যান্টোস ক্লাবের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলে যাওয়ার পরও সেটি তাঁর নামেই রয়ে গিয়েছে। ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার পরও স্যান্টোসের সেই লকার কখনও খোলা হয়নি। জানা গিয়েছে, পেলের কাছেই থাকত ওই লকারের চাবি।
পেলে এখন আর নেই। এ বার কি খুলতে পারে স্যান্টোসের ড্রেসিংরুমে ফুটবল সম্রাটের লকার? জোরাল হয়েছে প্রশ্ন। হয়তো এ বার পেলের বন্ধ লকার রুমের রহস্যের উন্মোচন হবে। কারণ, পেলে একটা সময় ক্লাব কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন, তিনি যখন থাকবেন না, তখনই ওই ড্রেসিংরুমের লকার খোলা যাবে।
কী রয়েছে পেলের স্যান্টোসের ড্রেসিংরুমের বন্ধ লকারে? যা নিয়ে পেলে-ভক্তদের কৌতূহলের অন্ত নেই। অনেকেই মনে করছেন, পেলে নিজের ব্যবহার করা ফুটবলের সরঞ্জাম রেখে যেতে পারেন। এ বার প্রশ্ন স্যান্টোস ক্লাবের পক্ষ থেকে পেলের ওই লকার খুলে দেওয়ার অনুমতি কি পাওয়া যাবে? কিংবদন্তির রেখে যাওয়া লকার হয়তো চিরকাল বন্ধই থেকে যেতে পারে। আর যদি তা কোনও দিন খোলা হয়, তা হলে কী রেখে গিয়েছেন ফুটবল সম্রাট, তা দেখার জন্য সে দিন সকলে নিশ্চিত জড়ো হবেন স্যান্টোসে। প্রশ্ন প্রচুর, তবে উত্তর নেই। উল্লেখ্য, স্যান্টোস ক্লাবের পক্ষ থেকে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।