Neeraj Chopra: সহজ কাজ জটিল করতে নারাজ নীরজ
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতি মন্দ হয়নি নীরজের। স্টকহোম ডায়মন্ড লিগে ৮৯.৯৪ মিটার দূরত্ব ছুঁড়েছেন নীরজ। জাতীয় রেকর্ড এবং ব্যক্তিগত রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছেন। তাঁর লক্ষ্য অবশ্যই ৯০ মিটার।
নয়াদিল্লি: জীবন হোক বা অ্যাথলেটিক্সের ট্র্যাক। সবকিছু সহজ রাখতে চান নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)। অলিম্পিকে (Olympics) সোনা জয়ী দেশের একমাত্র ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড অ্যাথলিট। অলিম্পিকের লক্ষ্য পূরণের পর এবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ। অ্যাথলেটিক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের একমাত্র পদক জিতেছেন অঞ্জু ববি জর্জ। নীরজের জ্যাভেলিনে এবার কি পদক এবং সোনার আক্ষেপ মিটবে! সম্ভাবনা একটা নিঃসন্দেহে রয়েছে। নীরজ যে টুর্নামেন্টেই নামছেন, সাফল্য তাঁর কাছে ছুটে আসছে যেন। সম্প্রতি স্টকহোম ডায়মন্ড লিগে অল্পের জন্য ৯০ মিটারের লক্ষ্য ছোঁয়া হয়নি নীরজের। অ্যাথলেটিক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে (Athletics World Championship) তেমন কিছুই প্রয়োজন। তার জন্য বাড়তি চাপ নিতে নারাজ নীরজ। কোনও জটিলতা না রাখাই যেন মন্ত্র নীরজের।
অ্যাথলেটিক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হয়েছে। নীরজ নামছেন শুক্রবার। তার আগে সোনার ছেলে বলছেন, ‘অ্যাথলেটিক্স, আমার কাছে খুব সহজ বিষয়। যদি আমি ছুঁড়ছি, সবচেয়ে দূরে ছুঁড়তে হবে। যদি কেউ হাই জাম্প করছে, তো সর্বোচ্চ লাফাতে হবে। আর যদি কেউ দৌড়ায়, সবচেয়ে জোরে দৌড়তে হবে।’ নীরজের কাছে এর চেয়ে সহজ কিছু নয়। স্পপ্ন বড় না হলে, সাফল্যও আসবে না। হয়তো শুরুতেই সাফল্য পাওয়া কঠিন। তবে একদিন না একদিন লক্ষ্য পূরণ হবেই। অলিম্পিকের পর আরও একটা বড় মঞ্চে নামতে চলেছেন নীরজ।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতি মন্দ হয়নি নীরজের। স্টকহোম ডায়মন্ড লিগে ৮৯.৯৪ মিটার দূরত্ব ছুঁড়েছেন নীরজ। জাতীয় রেকর্ড এবং ব্যক্তিগত রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছেন। তাঁর লক্ষ্য অবশ্যই ৯০ মিটার। মাত্র ৬ সেন্টিমিটারের খামতি পূরণ করার সঙ্গে অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে পদক এলে তার চেয়ে ভলো কিছু হয় না। স্টকহোম ডায়মন্ড লিগে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন নীরজ। প্রথম যে হন, গ্রেনাডার অ্যান্ডারসন পিটার্স ৯০.৩১ মিটার ছোঁড়েন। বারবার তাঁকে ৯০ মিটারের প্রশ্ন করা হয়। তা নিয়ে ভাবা কমিয়ে দিয়েছেন নীরজ। নিজে যতটা সম্ভব দূরে ছুঁড়তে চান, সেটা ৯০ মিটার পেরোলো কী না ভাবতে নারাজ। নীরজ বলছেন, ‘আমি আগেও বলেছি, সবসময়ই বলি, এখন আর দূরত্ব নিয়ে ভাবছি না। প্রতিটা প্রতিযোগিতায় একশো শতাংশ দেওয়ার চেষ্টা করব। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপেও একই মানসিকতা নিয়ে নামছি। সমস্ত শক্তি দিয়ে জ্যাভেলিন ছুঁড়তে হবে।’
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে পুরুষদের জ্যাভেলিনে যোগ্যতা অর্জন পর্ব হবে ২২ জুলাই। ফাইনাল ২৪ জুলাই। প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্মুখীন হতে হবে, খুব ভালো উপলব্ধি করতে পারছেন নীরজ। ভারতীয় ক্রীড়াপ্রেমীরা নিঃসন্দেহে চাইবেন। অলিম্পিকের মতোই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপেও প্রথম সোনার পদক আসুক নীরজের হাত ধরেই। নীরজ বলছেন, ‘টোকিও অলিম্পিকে বিশ্বমানের জ্যাভেলিন থ্রোয়াররা ছিলেন। অনেকেও আমার চেয়েও দক্ষ ছিলেন। তারপরও আমি সোনা জিতেছিলাম। কখনও এমন হয়। সঠিক সময়ে সংশ্লিষ্ট অ্যাথলিটের শরীর ঠিক মতো কাজ করে না।’ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে আরও অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে বলেই মনে করেন নীরজ।