করোনার আবহে অন্য মানবিক লড়াই জেজের

জেজের (Jeje Lalpekhlua) কথায় পরিবেশ রক্ষায় সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে। অতিমারির মধ্যেও জেজে ও তাঁর গ্রামের বেশ কয়েকজন যুবক মিলে মডেল ভেঙ্গ হেন্থিয়াল নামে একটি দল গড়েছেন।

করোনার আবহে অন্য মানবিক লড়াই জেজের
সৌজন্যে- জেজে লালপেখলুয়া টুইটার
Follow Us:
| Updated on: May 15, 2021 | 6:51 PM

নয়াদিল্লি: করোনা (COVID-19) পরিস্থিতিতে ফুটবল মাঠে তাঁকে দেখা যাচ্ছে না। মিজোরামের (Mizoram) তুইচাং নদীর (Tuichang river) প্রান্তে এখন টহলদারি চালাচ্ছেন ভারতীয় দলের স্ট্রাইকার জেজে লালপেখলুয়া (Jeje Lalpekhlua)। অনেক দিন ধরেই তুইচাং নদীতে অতিরিক্ত মাছ ধরার (overfishing) ঘটনা উঠে আসছে। এ বার জেজে ও তাঁর গ্রামের স্থানীয় যুবকরা এই অতিরিক্ত মাছ ধরা রুখতে নজরদারি চালাচ্ছেন। অতিরিক্ত মাছ ধরার ফলে জেজের গ্রামের জেলেদের জীবিকা নির্বাহে খুবই সমস্যা হচ্ছিল। যার জন্যই অতিমারির মধ্যেও জেজে ও তাঁর গ্রামের বেশ কয়েকজন যুবক মিলে মডেল ভেঙ্গ হেন্থিয়াল নামে একটি দল গড়েছেন। এই দলটি তাঁদের বাড়ির কাছাকাছি নদীর পরিবেশতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য দিনরাত কাজ করছে।

এসসি ইস্টবেঙ্গলের (SC East Bengal) ফরোয়ার্ড জেজে বলেছেন, “এক বছরের বেশি সময় ধরে অতিরিক্ত মাছ ধরার কারণে তুইচাং নদীতে মাছের সংখ্যা কমে গেছে। স্থানীয় জেলেরা, যারা জীবিকা নির্বাহের জন্য নদীর ওপরই নির্ভর করে। তাদের কাছে এটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।” জেজে ও তাঁর দল মডেল ভেঙ্গয়ের মাধ্যমে তুইচাংয়ের তীরে ৫০০ মিটার জায়গা শনাক্ত করেছেন। যেখানে মাছ বেশি ধরা পড়ার জায়গা বলে মনে করা হয়। সেখানে তারা অতিরিক্ত মাছ ধরা রোধ করার জন্য, বিভিন্ন শিফট করে ২৪ ঘন্টা টহলদারি করছে।

ব্লু টাইগার্সদের জেজে বলেছেন, “গত এক বছরে, এই অঞ্চলে যাতে মাছ বেশি না ধরা হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা এই নদীর প্রান্তে টহল দেওয়ার পালা করেছি। স্পাভিং অঞ্চলগুলিতে মাছদের একা রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ছোট পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই সফল হয়েছে। আমরা তার ফলাফলগুলি দেখতে পাচ্ছি। এখন নদীতে প্রচুর মাছ রয়েছে। স্থানীয় জেলেরা বলে, তারা এর আগের কয়েক বছর গুলিতে, এত মাছ একসঙ্গে এই নদীতে দেখেননি।” তিনি আরও বলেছেন, “গ্রামের ছেলেরা সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করেছে। তারা নদীর তীরে নজর রাখার জন্য ২৪ ঘন্টাই কাজ করে। আমি যখনই গ্রামে যাই তখন আমিও তাদের সাহায্য করেছিলাম।”

জেজের কথায় পরিবেশ রক্ষায় সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেছেন, “আমরা মিজোরামের বন বিভাগের সাথে যোগাযোগ করেছি। যদি কোনও সমস্যা থাকে তবে আমরা তাদের জানাই। তারাও আমাদের সাহায্য করে। তবে আমি মনে করি, এটি কেবল মিজোরামের ইস্যু নয়। সম্পদের হ্রাস এখন এমন একটি বিষয়, যার সঙ্গে পুরো বিশ্বই মোকাবিলা করছে। পৃথিবী আরও গরম হচ্ছে এবং অন্যান্য প্রাণীরাও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।”

আরও পড়ুন: ম্যান সিটির ফেরান তোরেস ভাঙলেন মেসির রেকর্ড